রবিবার, ৫ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৯শে রজব, ১৪৪৬ হিজরি
আরাকানের উত্তরাঞ্চলে অবরুদ্ধ রোহিঙ্গাদের মধ্যে তীব্র খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। সেখানের শত শত রোহিঙ্গা পরিবার অনাহারে-অর্ধাহারে দিন পার করছে।
অনেক স্থানে রোহিঙ্গাদের গ্রাম অবরুদ্ধ করে খাবার কেড়ে নিচ্ছে সৈন্যরা।
ফলে খাদ্যের জন্য রোহিঙ্গাদের মধ্যে হাহাকার চলছে।
অন্যদিকে বুচিডং টাউনশীপের আলিয়ং’র বাজারে রোহিঙ্গা মুসলমানদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগ করেছে সেনা সদস্যরা।
গত শনিবার সকালে এক প্লাটুন সৈন্য বাজারটি ঘেরাও করে বন্ধ দোকানপাটে আগুন দেয়। এতে বহু রোহিঙ্গা ব্যবসায়ীর দোকান পুড়ে য়ায়।
এছাড়া বুচিডং শহরের আশেপাশের রোহিঙ্গা গ্রামে প্রতিদিন আগুন দেয়া অব্যাহত থাকায় তাদের কোটি কোটি টাকার সম্পদ পুড়ে গেছে।
মিয়ানমারের সৈন্যরা গত দেড়মাস ধরে উত্তর আরাকানের রোহিঙ্গা পল্লীগুলোতে তান্ডব চালাচ্ছে।
সেনারা রোহিঙ্গাদের গ্রামগুলো অবরুদ্ধ করে রাখায় কেউ ঘর থেকে বের হতে পারছেন না। ফলে তাদের মজুদ খাবার শেষ হয়ে গেছে। কেউ খাবারের সন্ধানে বের হলেই তাদের খাবার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে,
আবার খাবারের সন্ধানে গিয়ে অনেকে নিখোঁজ হচ্ছেন।
রোহিঙ্গাদের ধান, গরু, ছাগল, দোকানের মালামাল, হ্যাচারী ও ফিশারীর মাছও লুট করছে সেনা ও মিলিশিয়ারা।
ফলে তীব্র খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে সেখানে।
গত শুক্রবার রাতে মংডু সুধাপাড়া এলাকায় সৈন্যরা কয়েকশ’ রোহিঙ্গার বাড়িঘর পুড়িয়ে দিয়েছে।
গুম করে ফেলছে অনেককে।
একারণে শাহপরীর দ্বীপ দিয়ে শুক্রবার রাতে ও সকালে কয়েক হাজার রোহিঙ্গা ঢুকেছেন বাংলাদেশে।