সোমবার, ১৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৩০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
আল্লাহ তাআলা মানুষকে ইবাদাত-বন্দেগির জন্য পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন। এ ইবাদাত-বন্দেগি করতে হবে সঠিক পন্থায়। কিভাবে ইবাদাত-বন্দেগি করলে আল্লাহ তাআলা মানুষের চাওয়া-পাওয়া কবুল করবেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তা হাদিসে উল্লেখ করেছেন-
হজরত উবাদাই ইবনে সামিত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেছেন, যে ব্যক্তি রাতে জেগে উঠে এ দোয়া পাঠ করে-
উচ্চারণ : লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু, ওয়াহদুহু লা শারিকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শায়্যিন ক্বাদির। আল হামদু লিল্লাহি, ওয়া সুবহানাল্লাহি, ওয়া লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু, ওয়াল্লাহু আকবার, ওয়া লা হাওলা ওয়া লা কুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ।’
অর্থ : আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নেই। তিনি একক, তাঁর কোনো শরিক নেই। রাজত্ব তারই, যাবতীয় প্রশংসা তাঁরই, তিনিই সবকিছুর উপর শক্তিমান। সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্যই, আল্লাহ পবিত্র, আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নেই। আল্লাহ মহান, গুনাহ থেকে বাঁচার এবং নেক কাজ করার কোনো শক্তি নেই আল্লাহর তাআলার তাওফিক ছাড়া।`
অতপর বলে, হে আল্লাহ আমাকে ক্ষমা করুন।` বা অন্য কোনো দোয়া করে, তার দোয়া কবুল হয়। অতপর অজু করে (নামাজ আদায় করলে) তার নামাজ কবুল হয়। (বুখারি, তিরমিজি, ইবনে মাজাহ)
উক্ত হাদিস থেকে জানা যায়, ব্যক্তির দোয়া এবং নামাজ আল্লাহ তাআলার দরবারে কবুল হওয়ার জন্য রাতে জেগে উক্ত দোয়া পাঠ করে তারপর আল্লাহর দরবারে নিজের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করবে এবং নামাজ আদায় করবে। তাহলে আল্লাহ তাআলা ঐ ব্যক্তির দোয়া এবং নামাজ কবুল করবেন।
আল্লাহ উক্ত দোয়ার মাধ্যমে মুসলিম উম্মাহকে তাঁর নৈকট্য অর্জনের তাওফিক দান করুন। আমি