বৃহস্পতিবার, ১৩ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৬শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
রাষ্ট্রপতি মো: আব্দুল হামিদ কর্তৃক দুর্গাপূজা উপলক্ষে রাজধানীর বনানী পুজামন্ডপে দেয়া বক্তব্য “ বিশ্বকে ধর্মভিত্তিক রাষ্ট্রধারনা থেকে বের হতে হবে” এর তীব্র সমালোচনা করেছেন বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের আমীরে শরীয়ত আল্লামা শাহ আতাউল্লাহ হাফেজ্জী।
তিনি বলেন, কোন মুসলিমকে ধর্মভিত্তিক রাষ্ট্রধারনা থেকে বের হওয়ার সুযোগ নেই। যেহেতু মহান আল্লাহ ঘোষণা করেছেন, ‘যে বা যারা আল্লাহ তা’লার অবতীর্ণ বিধান অনুসারে শাসনকার্য চালায় না, তারা কাফের, জালেম, ফাসেক। আর মহান আল্লাহর এ পরম বানী বাস্তবায়নে বিশ্বে ধর্মীয় শাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে হযরত আদম (আ:) সহ সকল নবীগণ এ চেষ্টা চালিয়ে গেছেন। এবং তাদের উত্তরসূরী নায়েবে নবী ওলামায়ে কেরামগণ আজো এ চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। সুতরাং ধর্মভিত্তিক রাষ্ট্র গঠনে নিয়োজিত ব্যক্তিদের অশুভশক্তি আখ্যা দেয়া চরম দৃষ্টতা। একটি মুসলিম দেশের রাষ্ট্রপতির মুখে কুরআন-সুন্নাহ বিরোধী এ ধরনের বক্তব্য জাতি কখনো আশা করেনি। আমরা আশা করি অবিলম্বে রাষ্ট্রপতি কুরআন-সুন্নাহ বিরোধী এ বক্তব্য প্রত্যাহার করবেন।
আজ বাদ জোহর রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর জামিয়া নুরিয়া ইসলামিয়ায় এক জরুরী বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। এতে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দলের মহাসচিব মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াযী, নায়েবে আমীর মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, মাওলানা সুলতান মহিউদ্দীন, মাওলানা সানাউল্লাহ, মুফতী ফখরুল ইসলাম, হাফেজ মাওলানা আবুল কাসেম রায়পুরী ও মাওলানা সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।
আল্লামা আতাউল্লাহ আরো বলেন, রাষ্ট্রপতির বক্তব্যে বক্তব্যে প্রমাণ হয় ধর্ম নিরপেক্ষাতা মানে ধর্মহীনতা। কেননা তিনি ধর্মের পক্ষের শক্তিকে অশুভ শক্তি বলেছেন। কোন মুসলমান ধর্ম নিরপেক্ষতায় বিশ্বাসী হতে পারে না। সমস্ত মুসলমানদেরকে তার নিজ ধর্ম ইসলামের পক্ষেই থাকতে হবে। নবী-রাসুলগণ ইসলাম ধর্ম প্রতিষ্ঠার জন্য প্রেরিত হয়েছেন। এবং ধর্মের ভিত্তিতে তারা রাষ্ট্র পরিচালনা করেছেন। ইসলামী রাষ্ট্র ব্যবস্থার মধ্যেই সকল ধর্ম পালনের সর্বচ্চো স্বাধীনতা রয়েছে।
সুত্রঃ Insaf24