শনিবার, ২০শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২রা রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

মনপুরায় হিন্দুদের দাওয়াতী সফরের কারগুজারী (পর্ব-০২)


আসলে এই যে আপনি হিন্দু কিংবা আমি মুসলমান, আপনার শরীরের কোথাও কি লেখা আছে আপনি হিন্দু কিংবা আমার শরীরের কোথাও কি লেখা আছে আমি মুসলমান? আবার দেখেন, আপনার শরীর কাটলে রক্ত লাল বের হয়, আমার শরীর কাটলেও রক্ত কালো বা অন্য কোনো রঙের বের না হয়ে লালই বের হবে। তার মানে আপনার -আমার মধ্যে যেমন কোনো পার্থক্য নেই, তেমনি আপনার -আমার সৃষ্টিকর্তার মাঝেও কোন পার্থক্য নাই। সৃষ্টিকর্তা একজন। তারা দুজনই বললো, আপনি ঠিকই বলেছেন। আসলে আমরাই ভাগাভাগি করি।

Default Ad Content Here

কিছুদিন পুর্বে আল্লাহ পাকের অশেষ রহমতে দাওয়াতি ফিকির নিয়ে মনপুরা গিয়েছিলাম।
সদরঘাট থেকে লঞ্চে উঠে দোয়া করা শুরু করলাম। আল্লাহ যেন মিলিয়ে দেন, যাত্রাপথেই কোনো অমুসলিম পেয়ে যাই। উদ্দেশ্য সফরের সময়টা দাওয়াতের কাজে লাগানো। যেখানেই যাই, যেভাবেই যাই, মনে মনে এই এই চিন্তা করি পাশের ভাইটি অমুসলিম হলে দাওয়াত দিয়ে জিম্মাদারি পুরা করা যাবে। মাঝেমাঝে পেয়েও যাই, অনেক সময় দেখেই চিনতে পারি। কীভাবে কীভাবে মিলেও যায় । সবই আল্লাহ পাকের ইচ্ছা।

কেবিন থেকে বের হয়ে দেখি আমার পাশের কেবিনেই এক হিন্দু পরিবার। তারা স্বামী-স্ত্রী আর একমাত্র ছেলেকে নিয়ে বেড়াতে যাচ্ছে ভোলায়। ভাবলাম কীভাবে শুরু করা যায়?
লঞ্চের নিচ তলায় চিড়া আর মোয়া বিক্রেতার সাথে সাক্ষাৎ হয়েছিল উঠার পরই। নারিকেল দিয়ে চিড়ার মোয়া আমার খুব পছন্দের। মোয়া খেয়েই উপরে উঠলাম। মনে মনে অপেক্ষা করছিলাম মোয়া বিক্রেতা উপরে কখন আসবে। এর মধ্যে কুশল বিনিময় চলছে। ৫ম শ্রেনীতে পড়ুয়া হিন্দু দম্পতির ছোট ছেলের সাথে আমার কিছু খুনসুটি চলছে মুহাব্বত বৃদ্ধির জন্য ।
দাওয়াতের ক্ষেত্রেও আমরা কিছু হেকমত অনুসরণ করি । প্রথমে তার হাল হাকিকত জেনে তারপর দাওয়াত দেওয়ার চেষ্টা করি।
কিছুক্ষনের মধ্যেই মোয়া বিক্রেতা উপরে চলে এলো। আমি বিক্রেতাকে ডেকে বললাম, সবাইকে বানিয়ে দিতে । প্রথমে ছেলেকে দিলাম, এবার ছেলে তাকায় মায়ের দিকে, মা তাকায় তার স্বামীর দিকে। প্রথমে না নিতে চাইলেও পরে ৩ জনই গ্রহণ করলো এবং খাওয়া শুরু করলো। তারা যে প্রথমে নিতে চাইল না এটাই আমার দাওয়াতের পয়েন্ট। বললাম, দেখেন, আজ আপনারা আমি মুসলমান তাই আমার দেওয়া কিছু নিতে চাচ্ছেন না। আবার দেখবেন কোনো মুসলমানকে যদি আপনারা কিছু দেন তাহলে অনেক মুসলমান সেটা নিতে চাইবে না আপনারা হিন্দু বলে।

আসলে এই যে আপনি হিন্দু কিংবা আমি মুসলমান, আপনার শরীরের কোথাও কি লেখা আছে আপনি হিন্দু কিংবা আমার শরীরের কোথাও কি লেখা আছে আমি মুসলমান? আবার দেখেন, আপনার শরীর কাটলে রক্ত লাল বের হয়, আমার শরীর কাটলেও রক্ত কালো বা অন্য কোনো রঙের বের না হয়ে লালই বের হবে। তার মানে আপনার -আমার মধ্যে যেমন কোনো পার্থক্য নেই, তেমনি আপনার -আমার সৃষ্টিকর্তার মাঝেও কোন পার্থক্য নাই। সৃষ্টিকর্তা একজন। তারা দুজনই বললো, আপনি ঠিকই বলেছেন। আসলে আমরাই ভাগাভাগি করি।

আমি জানি এবার তারা আমার কথা শুনবে। এই পদ্ধতির নাম, পেহলে দিল দো, বাদ মে দিল লো। প্রথমে তাকে মুহাব্বত করো, এরপর সে-ও তোমাকে মুহাব্বত করবে। তোমার কথা শুনবে। এটা খানা-আপ্যায়ন দিয়েও হতে পারে, বিভিন্ন বিষয়ে ইকরাম করেও হতে পারে।

আমি এবার একটু গলায় কাশি দিয়ে বলা শুরু করলাম, আসলে আমি বিভিন্ন ধর্ম নিয়ে লেখাপড়া করার চেষ্টা করি। আপনাদের ধর্মগ্রন্থ বেদও আমি পড়েছি । যেমন বেদে বলা হয়েছে :

  • * ঋগ্বেদে আছে:-
    “একং ব্রহ্মা দ্বিতীয়ং নাস্তি , নেহ নানাস্তি কিঞ্চন।“
    অর্থ: পরমেশ্বর এক তিনি ব্যতীত কেহ নেই।
  • * অথর্ববেদে আছে :-
    “একো হ দেবো মানসি প্রবিষ্ট:’’
    অর্থ: সে ঈশ্বর এক যে ঈশ্বর সকলের অন্তরে প্রবেশ করিয়া মনের কথা জানেন।

এবার আমার কথা শুনে তারা আমাকে এত শ্রদ্ধার প্রকাশ করা শুরু করলো যা আমি ভাবতেও পারিনি। তারা আমাকে তাদের ধর্মের বড় এক পন্ডিত মনে করলো। আমি জিজ্ঞেস করলাম, বেদ কখনও পড়েছেন ?
তারা বলল, না, কখনো পড়া হয় নাই।
এরপর জিজ্ঞেস করলাম কখনও কি দেখেছেন, বেদ কেমন ?
স্বামী স্ত্রীর দিকে, স্ত্রী স্বামীর দিকে তাকিয়ে বললো, আসলে আমাদের বেদ পড়া হয় না , আমরা গীতা পড়ি ।
আমি একটু আফসোসের সাথে বললাম কী বলেন, বেদ আপনাদের ধর্মগ্রন্থ; আপনারা না পড়লে পড়বে কে ? যেমন কুরআন মুসলমানদের ধর্মগ্রন্থ ( আসলে কুরআন সকল মানুষের জন্য, সে যে ধর্মেরই হোক ), এই কুরআন মুসলমানরা না পড়লে কি আপনারা পড়বেন ?
বললো, জ্বি পড়া উচিত, পড়বো এবার।
এরপর বললাম আপনারা যে মুর্তিপূজা করেন, কখনও কি দেখেছেন এটা করা যাবে কি না ?
দেখুন আপনাদের বেদে কি বলে-

  • ১. না তাস্তে প্রাতীমা আস্থি ( ঋগবেদ ৩২ অধ্যায় ৩ নং অনুচ্ছেদ )
    অর্থাৎ, ঈশ্বরের কোন প্রতিমূর্তি নেই ।
  • ২. যারা নিজের বিবেক বুদ্ধি হারিয়েছে তাঁরাই মূর্তিপূজা করে ( ভগবৎগীতা অধ্যায় ৭, অনুচ্ছেদ ২০ নম্বর ) ।
    “এক জনই বিশ্বের প্রভু” (ঋকবেদ ১০;১২১;৩) ।

 

যজুর্বেদে মূর্তিপূজার বিরুদ্ধে এবং মূর্তিপূজারীর শাস্তি সম্পর্কে বিধান সম্পর্কে বলা হয়েছে-

  • অন্ধং তমঃ প্রবিশেন্তিÍ যেহসংভূতিমুপাসতে।
    ততো ভুয় ইব তে তমো য উ স্বয়ম্ভূতারতা।
    -যজুর্বেদ ৪০/৯ পৃ২০৫
    অর্থাৎ, ‘‘অন্ধকারে (নরকে) প্রবেশ করবে তারা, যারা প্রকৃতির (যেমন আগুন পানি, বাতাস) পূজা করে। আর যারা হাতে বানানো কিছুর পূজা করে, তারা আরো বেশি অন্ধকারে প্রবেশ করবে।’’ যেমন : চেয়ার, টেবিল, অর্থাৎ মানুষের বানানো বস্তু।

 

হিন্দু ধর্মগ্রন্থে অন্তিম অবতার বা শেষ রাসূল মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম‎)-এর ব্যাপারেও বলা হয়েছে –

  • অন্তিম অবতার বা শেষ রাসূলের নাম হবে ‘নরাশংস’।
    “নরাশংসং সৃধৃষ্টমমপশ্যং সপ্রথস্তমং দিবো ন সদ্মমখসম ॥ ৯
    -ঋগ্বেদ ১/১৮/৯
    আমরা একটু বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে, ‘নরাশং ‘ সংস্কৃত ভাষা। যার বাংলা অর্থ হয় ‘প্রশংসিত ব্যক্তি’। যার আরবী অর্থ হয় ‘মুহাম্মদ’। আর সকল মানুষের সর্বশেষ নবীর নাম হলো মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)।

 

অন্তিম অবতারের পিতার নামঃ

  • অন্তিম অবতারের পিতার নাম হবে ‘বিষ্ণু যশা’।
    ‘সুমত্যাং বিষ্ণুযশসা গর্ভমাধত্ত বৈষ্ণবম্।’’
    -কল্কি-পুরান-১/২/১১
    এর বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে, ‘বিষ্ণু যশা’শব্দটি সংস্কৃত ভাষা। যার বাংলা অর্থ হয়, ‘মালিকের দাস’। যার আরবী অনুবাদ হয় ‘আবদুল্লাহ’।
    আর সর্ব শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহিওয়া সাল্লাম)-এর পিতার নাম ছিল আবদুল্লাহ।

 

অন্তিম অবতারের মাতার নামঃ
অন্তিম অবতারের মাতার নাম সম্পর্কে কল্কি পুরানে লিখা আছে যে, তার নাম হবে ‘সুমতি’।

  • ‘সুমত্যাং মাতরি বিভো। কন্যায়াংত্বন্নিদেশত:।।”
    -কল্কিপুরাণ-১/২/৪
    এর বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে, ‘সুমতি’ শব্দটি সংস্কৃত ভাষা।
    যার বাংলা অর্থ হয় ‘নিরাপদ-শান্তি’।
    যার আরবী অনুবাদ হয় ‘আমেনা’। আর সর্ব শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মাতার নাম ছিল আমেনা।

 

অন্তিম অবতারের জন্মস্থানঃ
অন্তিম অবতারের জন্মস্থান সম্পর্কে কল্কি পুরানে লেখা আছে, তিনি জন্ম গ্রহণ করবেন , ‘শম্ভল’ নামক স্থানে।

  • ‘শম্ভলে বিষ্ণুযশসো গৃহে প্রদুর্ভবাম্যহম।’’
    -কল্কিপুরাণ-১/২/৪
    এর বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে, ‘শম্ভল’ শব্দটি সংস্কৃত ভাষা। যার বাংলা অর্থ হয়, ‘শান্তির স্থান’। যার আরবী অনুবাদ হয় ‘বালাদুল আমিন’। আর মক্কা মুকাররমার নাম হলো, বালাদুল আমিন। আর মুহাম্মদ সাল্লল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মক্কায় জন্মগ্রহণ করেছেন।

 

অন্তিম অবতারের জন্ম তারিখঃ
অন্তিম অবতার ‘মাধব মাসের শুক্ল পক্ষের দ্বাদশ তারিখে জন্মগ্রহণ করবেন।’

  • ‘দ্বাদশ্যাং শুক্লপক্ষস্য মাধবে মাসি মাধবঃ।”
    -কল্কিপুরাণ-১/২/১৫
    মাধব অর্থ বৈশাখ মাস, বিক্রমী ক্যালেন্ডার মতে বৈশাখকে বসন্তের মাস বলা হয়, যার আরবী অর্থ হয় ‘রবি’। শুক্ল পক্ষ, অর্থাৎ ‘প্রথম অংশ’ যার আরবী অনুবাদ হয়, ‘আওয়াল’। একত্রে হয় ‘রবিউল আওয়াল’ দ্বাদশ তারিখ অর্থাৎ ১২ তারিখ।
    আর সর্বশেষ সকল মানুষের নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ‘রবিউল আউওয়াল মাসের ১২ তারিখে জন্মগ্রহণ করেছেন।

এভাবে দাওয়াত দেওয়া চলতে থাকলো। কথা বলতে বলতে অনেক রাত হয়ে গেলো। আলহামদুলিল্লাহ তাদের মধ্যে কোনো বিরক্তি দেখতে পেলাম না। মনে হলো, তারা আরও সত্যকে শুনতে চায়। এরপর আমি তাদেরকে বললাম, আমি এমন এক মন্ত্র জানি যা পড়লে বিপদ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। ( সবচেয়ে বড় বিপদ হল জাহান্নামের আগুনে যাওয়া )। তারা আগ্রহের সাথে জানতে চাইল, কী সে মন্ত্র ?
আমি বললাম, সেই মন্ত্র হলো ” ইয়া হাদী , ইয়া রহিম “। এটা সব সময় পড়বেন । আশা করি সৃষ্টিকর্তা আপনাদেরকে মুক্তি দিয়ে দিবেন। তারাও কয়েকবার পড়ে মুখস্ত করে নিল। বিদায় নিয়ে চলে এলাম।

জানি না, এখন তারা কোথায় আছে? এখনও তাদের কথা মনে পড়লে , দু হাত তুলে দোয়া করি , আল্লাহ যেন তাদেরকে হেদায়েতের ছায়াতলে জায়গা করে দেন ।

.

মনপুরা ছোট এক দ্বীপ। কিন্তু সুন্দর সাজানো গোছানো। আমাদের অবস্থান ছিল মনপুরা বাজারের কাছেই । মনপুরা বাজারের কেন্দ্রীয় মসজিদের ইমাম সাহেবের সাথে দেখা হলো। তিনি আগেই আমাদের দাওয়াতি কাজ সম্পর্কে জানতেন। এই কাজকে খুব মহব্বত করেন। তিনি বললেন, ভাই, আজকে আমাদের মসজিদে গাশতের দিন । আসর বাদ একটু সময় দিলে খুশি হতাম। আমিও খুশি মনে রাজি হয়ে গেলাম।
নামাজের পর জামাত গাশতে বের হলো। ইমাম সাহেব রাহবার হলেন। মুতাকাল্লিমের (আলোচকের) জিম্মাদারি দেয়া হলো আমাকে। আমি সবাইকে বললাম, ভাই, আমরা তো সব সময় মুসলমানের কাছে দাওয়াত নিয়ে যাই, আজকে যদি আপনাদের কোনো অসুবিধা না হয় তাহলে অমুসলিমদের কাছে যেতে চাই । ( ইমাম সাহেব আমাকে আগেই বলে দিয়েছেন যে, এই বাজারে অনেক হিন্দু আছেন)। সবাই কিছুটা অবাক হলো এবং অপেক্ষা করতে থাকলো, কী হতে চলছে আজ!

জামাত আজ আর মুসলমানদের কাছে না গিয়ে অমুসলিমদের দোকানে স্বর্ণকার, মুদি দোকান, ডাক্তারের চেম্বারসহ সব অমুসলিমদের দোকানে যাচ্ছে । বাজারের লোকজনও কিছুটা অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে। আজকে আমাদের কাছে না এসে ওদের কাছে যাচ্ছে কেন?

এরকম প্রত্যেক হিন্দুদের দোকানে দাওয়াত দিতে দিতে একসময় এক ভ্রাম্যমাণ ডাক্তার-ঔষধের দোকানে গেলাম। তাকে এক মালিকের দাওয়াত দেয়া হলো। তিনি খুব মনোযোগ দিয়ে কথাগুলো শুনলেন। আমি দেখলাম, তার চোখ বেয়ে পানি ঝরছে। তার চোখের পানি মুছে দিলাম। তিনি মুখে কিছু বলতে পারলেন না , হয়তো লজ্জায় কিংবা সামাজিক মর্যাদার কারণে। এই স্মৃতি কখনও ভোলার মতো নয়। এখনও মনে হয় ডাক্তার সাহেব সামনে আছেন আর তাকে দাওয়াত দিয়ে কালিমা পড়ানো হচ্ছে।

ডাক্তার সাহেবের এই ঘটনা দিয়ে আমরা বুঝতে পারি যে অমুসলিমদের হৃদয় আমাদের জন্য অপেক্ষায় আছে। কবে আমরা তাদেরকে ইসলামের দাওয়াত দিবো। কারণ ইসলাম আমাদের কাছে এসেছে। আমরা কুরআন পড়ি । এই ইসলাম যে সকলের, কুরআন যে শুধু মুসলমানদের নয়, মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম‎) যে সকলের নবী এই কথা আমরা জানি। তাই এই কথা সকল অমুসলিমদের কাছে পৌঁছানো আমাদের জিম্মাদারি। কিন্তু আমরা তাদের জন্য অপেক্ষা করছি। তারা আমাদের কাছে স্বেচ্ছায় আসলে এরপর আমরা দাওয়াত দিবো। আমরা অপেক্ষায় আছি, আমাদের আখলাক ভালো হয়ে গেলেই তারা আমাদের আখলাক দেখে ইসলাম গ্রহণ করবে । অর্থাৎ আমরা ভালো হলেই তারা ভালো হবে।

কিন্তু আফসোস ! আমাদেরও ভালো হয়ে উঠা হয় না আর তাদেরও ইসলামের দাওয়াত দেওয়া হয় না। আসুন, আমাদের দায়িত্ব নিয়ে এবার একটু ভাবি।

[দাওয়াতি কাজের সুবিধার জন্য উপরের আলোচনা রেফারেন্সসহ দেয়া হলো। আশা করি পাঠকবৃন্দ উপকৃত হবেন।]

Series Navigation<< লোকনাথ মন্দিরে অমুসলিমদের দাওয়াতী সফরের কারগুজারী (পর্ব ০১)

Archives

October 2024
S S M T W T F
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
262728293031