শনিবার, ২০শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২রা রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

রোহিঙ্গা শিবিরের আলেম সেবক (০২) – সালাহুদ্দীন মাসউদ

হাবিবুর রহমান মিছবাহ‘ ‘ইতিহাসের ইতিহাস রচনা করেছেন আপনারা ভাই! গণমানুষের
হৃদয়ে ভালোবাসার কালি দিয়ে লেখা থাকবে আপনাদের নাম। 
আপনাদের মতো আইডলদের নিয়ে আমরা গর্ব করি”

সালাহুদ্দীন মাসউদ ভাই। সরাসরি সাক্ষাত না হওয়া ভালোবাসার একটি নাম ‘সালাহুদ্দীন মাসউদ’। তেমন জানাশোনা নেই তার ব্যাপারে। তবে তিনি যে ত্যাগী ও জনদরদী একজন খাঁটি দেশপ্রেমিক, তা সহজেই অনুমান করা যায়। অনলাইনেও তার সাথে সংযোগ ছিলো না আমার। কোনো এক পোস্টের কমেন্টে জানতে পারি তিনি আমার ফলোয়ার। টাইলাইনে ঢুকলাম। বুঝতে অসুবিধা হয়নি লোকটি অত্যন্ত উদার। নাহয় ২৪ হাজার + ফলোয়ার ও পোস্ট প্রতি ২৫০/৩০০ লাইক পাওয়া লোকটির আমাকে ফলো করার প্রয়োজন পড়ে না।

Default Ad Content Here

বলতে দ্বিধা নেই, এ মানুষটি যুব সমাজের অন্যতম অনুসরণীয় ব্যক্তি। জেনারেল লাইনে লেখাপড়া না থাকায় এ বিষয়ে কাউকে নাম্বার দেয়া বা মূল্যায়ন করা অন্তত আমার জন্য শোভনীয় নয়। কওমীতে পড়াকালীন সময়ে ক্লাস থ্রি পর্যন্ত পড়ার সৌভাগ্য হয়েছিলো আমার। তাও বছরের মাঝপথেই খতম! মিযান জামাতের পর আর কখনো সুযোগ আসেনি জেনারেলে পড়ার। তবুও একটু স্পর্ধা দেখিয়ে বলেই ফেললাম! সালাহুদ্দীন ভাই লেখালেখির জগতেও একজন প্রতিভাবান নক্ষত্র।

লোকটিকে বেশ অতিথিপরায়নও বটে। রাহবারীও করতে পারেন ভালো। সময় দেন মেহমানদের। এমন লোক আমার ফলোয়ার লিস্টে থাকলে নিজেকে অপরাধীই মনে হবে। রিকুয়েস্ট পাঠিয়ে বন্ধু তালিকায় যুক্ত করলাম।

কোরবানীর পরপর নিউজফিডে একের পর এক সালাহুদ্দীন মাসউদের রোহিঙ্গা শিবিরে মানবসেবার জীবন্ত উদাহরণ দেখে নিজেকে বড় হতভাগা মনে হলো। সেই বগুরা থেকে প্রায় ৭/৮শ কি.মি. পথ পারি দিয়ে একাধিকবার ছুটে গিয়েছেন মানবতার সেবায়। এক ক্যাম্প হতে অন্য ক্যাম্প, এক কাফেলা হতে আরেক কাফেলা, এক পাহাড় হতে অন্য পাহাড়, সব জায়গায় বিচরণ ছিলো ভাইটির। মানসিকভাবে ক্ষত-বিক্ষত মানুষগুলোর মুখে এক চিলতে হাসি ফোটাতে কী না করেছেন তিনি? রোহিঙ্গা শিবিরে ইতিহাসের ইতিহাস রচনা করেছেন আপনারা ভাই! গণমানুষের হৃদয়ে ভালোবাসার কালি দিয়ে লেখা থাকবে আপনাদের নাম। আপনাদের মতো আইডলদের নিয়ে আমরা গর্ব করি-

Archives

October 2024
S S M T W T F
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
262728293031