সোমবার, ১৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৩০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
লুৎফর ফরায়েজীঃ গতকাল সারাদিন প্যান্ডেল বেঁধে আজ সারাদিন সেই প্যান্ডেল খুলে নতি স্বীকার করল বিদআতি শায়েখের মুরীদেরা!
ফুরফুরা এবং রাজারবাগী পীরের দরবার থেকে বহিস্কৃত জনৈক আশরাফ আলীমোল্লাহ সিদ্দীকী সাহেব। বগুড়ায় আস্তানা গেড়েছেন। নিজেকে পীরও দাবী করেন।
তার ফাতওয়া হল, চরমোনাই, তাবলীগ এবং কওমী আলেমরা সব কাফির। [নাউজুবিল্লাহি মিন জালিক]
সবাই তার ভয়ে তটস্থ। কওমীর কেউ থাকলে যেন তার সামনে কানে ধরে উপস্থিত করা হয় বাহাসের জন্য।
এই হল, তার মুখের ভাষা। এই হল তার মাহফিলের হালাত।
তার অডিও বক্তব্যে শুনুন তার ঔদ্ধত্বপূর্ণ সেই ভাষণ।
https://www.facebook.com/lrfarazi/videos/1701875126514103/
[কট্টরপন্থী রাজারবাগীর সোহবতপ্রাপ্ত। তাই ভিডিও বয়ান তার থেকে পাওয়া যাবে না।]
এরকম চরমপন্থীটার কিছু ভক্ত রয়েছে জামালপুরের ইসলামপুরের কান্দারচরে। আজ কান্দারচর ঈদগাহ মাঠে ছিল তার মাহফিল। সেই মাহফিলকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
যেহেতু উপরোক্ত নামধারী সিদ্দীকী সাহেব আমাদেরকে কান ধরে নিয়ে তার সাথে বাহাসে বসাতে বাগাড়ম্বরতা করেছেন এ কারণে আমাদের কওমী উলামাগণ মাহফিলের আগে বাহাসে বসার জন্য আহবান করেন। নানান গড়িমসির পর তারা তাতে রাজি হয়।
লোকটি নাকি একথাও ছড়িয়েছে যে, আমি তার সাথে একাধিক বাহাস থেকে পালিয়েছি। অথচ এ মানুষটার নাম আমি সেদিনই প্রথম শুনেছি।
ইত্তেফাকুল উলামা জামালপুরের শীর্ষ উলামাগণ অধমের সাথে যোগাযোগ করলে আমি সেখানে আজ উপস্থিত হতে সম্মতি প্রকাশ করি।
গতকাল শুনলাম মাহফিলের জন্য প্যান্ডেল তৈরী হচ্ছে। কিন্তু হঠাৎ শুনতে পেলাম মাহফিলে সিদ্দীকী আসবেন না। প্যান্ডেল খুলে ফেলছে তার ভক্তরা।
কি হল এসব ভন্ডদের?
মাইক পেলে মনে হয় ইমাম আবূ হানীফা রহঃ কেও বাহাসে হার মানিয়ে দিবে।
কিন্তু বসতে বললেই লেজ গুটানো কেন?
আখের একটি কথা বদ্ধমূল হল,
“বিদআতি মিলাদী হোক আর লা-মাযহাবী” তাদের হুংকার শুধু সাধারণ মানুষের সামনেই। উলামাদের সামনে আসলেই তাদের বেলুনের বাতাস বেরিয়ে যায়।
আল্লাহ তাআলা এসব বেআদবদের থেকে আমাদের দেশে সরলপ্রাণ মুসলমানদের দ্বীন ও ঈমানকে হিফাযত করুন। আমীন।