শনিবার, ৩০শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
হাবিবুর রহমান মিছবাহঃ ”শাহপরীরদ্বীপ হতে নৌকার ব্যবস্থা, নৌকা পারাপার, বাসস্থান,
ত্রাণ সামগ্রী, নগদ অর্থ প্রদান থেকে শুরু করে এমন কোনো
খেদমত নেই যেখানে অংশিদারিত্ব নেই এ ত্যাগী ভাইটির”
গাজী ইয়াকূব ভাই। আজও পর্যন্ত দেখা হয়নি। তার ভাষ্যানুযায়ী তিনি আমাকে খুব ভালোবাসেন। এ ভালোবাসা শুধুমাত্র দীনি স্বার্থে। তার কোনো এক মন্তব্য থেকে জেনেছি, তিনি আমাকে একজন উদার মনের মানুষ হিসেবে চিনেন। দূর থেকে সুনেছি এই ত্যাগী লোকটির কথা। মানুষের তরে নিজেকে সপে দেয়ার অনন্য নজীর দেখেছি তার মাঝে। অনলাইনে তার কার্যক্রম, অসহায়’র প্রতি ভালোবাসা, দায়িত্ব সচেতনতা ও সেবার ধরণ দেখে দূর থেকেই ভালোবেসে ফেলেছি ভাইটিকে।
রোহিঙ্গা শিবিরে সফরকালীন সময় এতোটা ব্যস্ত ছিলাম যে, দেখা করার মতো নূন্যতম সময় পাইনি তখন। তিনিও নিশ্চয়ই ব্যস্ত ছিলেন শরণার্থীদের সেবা-যত্নে। ইনবক্সে নাম্বার নিয়ে ফোন দিলাম। কণ্ঠে পরিশ্রমের ছাপ স্পষ্ট। তবে নির্ভিক এক সেবককেই শুনতে পেলাম ফোনের ওপার থেকে।
ধারণা গ্রহণ করি ত্রাণ বিতরণ ও ক্যাম্প সম্পর্কে। আলহামদুলিল্লাহ! অভিজ্ঞতার ঝুলি বেশ সমৃদ্ধ করতে পেরেছি আলোচনা থেকে। অসংখ্য যুবক ও আলেম অনুপ্রাণিত হয়েছে তাকে দেখে। কোরবানীর আগে-পরে মিলিয়ে একমাসের বেশী সময় ধরে সেবা করে যাচ্ছেন আরাকানী মাজলূমদের। শাহপরীরদ্বীপ হতে নৌকার ব্যবস্থা, নৌকা পারাপার, বাসস্থান, ত্রাণ সামগ্রী, নগদ অর্থ প্রদান থেকে শুরু করে এমন কোনো খেদমত নেই যেখানে অংশিদারিত্ব নেই এ ত্যাগী ভাইটির।
দেশের ভিভিন্ন অঞ্চল থেকে ত্রাণ নিয়ে যাওয়া ওলামায়ে কেরামের কাফেলাকে রিসিভ করা, দিকনির্দেশনা দেয়া, নিজে উপস্থিত থেকে রাহবারী করা থেকে শুরু করে সব ক্ষেত্রেই অবদান রয়েছে গাজী ইয়াকূব ভাইর। আপনার প্রতি মন থেকে দোআ আসে ভাই। দোআ পাচ্ছেন সকল আলেম, মুরব্বী ও ইসলামপ্রিয় জনতার। গণমানুষের হৃদেয় বেঁচে থাকবেন হাজার বছর। আপনার মতো যুবকদের মাধ্যমেই এদেশে বিপ্লব সম্ভব-