রবিবার, ২১শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৩রা রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
হিন্দু মুসলিমদের তাজা রক্তে এই ভারত স্বাধীনতা পেয়েছে। কিন্তু ইতিহাস আজ বিকৃত
ইতিহাসে অমুসলিমদের স্থান হলেও মুসলিমদের নাম স্মরন করে না কেউ কৌশলে সবাই যেন এড়িয়ে যায়।
জেল খাটা ১ কোটি মুসলমানের আত্ম বলি দান ও ফাঁসি হওয়া ৫ লক্ষ মুসলমানের প্রানের বিনিময়ে আজ ভারত স্বাধীন ।
সেই চেপে যাওয়া ইতিহাসের মুছে যাওয়া কিছু নাম আমি শেয়ার করলাম ।
• মাওলানা কাসেম সাহেব, উত্তর প্রদেশর দেওবন্দ মাদ্রাসাকে ব্রিটিশ বিরোধী এক শক্তিশালী কেন্দ্র হিসাবে গড়ে তোলেন । সেই দেওবন্দ মাদ্রাসায় আজও কোরানের তালিম দেওয়া হয় ।
• ভারতের ইতিহাসের পাতা ওল্টালে যাদের নাম অবশ্যই পাওয়া যায় তারা হল – গান্ধীজি, নেতাজী সুভাষ, অরবিন্দ, জহরলাল, মোতিলাল..।
এদের সমতুল্য নেতা আতাউল্লা বুখারী, মাওলানা হুসেন আহমাদ, মাওলানা মাহমুদুল হাসান, মাওলানা গোলাম হোসেন প্রমুখ..( এনারা বহু বার দীর্ঘ মেয়াদী জেল খেটেছেন)
• ইংরেজ বিরোধী কর্যকলাপের জন্য যার নামে সর্বদা ওয়ারেন্ট থাকতো ।সেই তাবারক হোসেনের নামও ইতিহাসে খুঁজে পাওয়া যায় না ।
• তৎকালিন সময়ে সারা হিন্দুস্থানের কংগ্রেসের প্রেসিডেন্ট ছিলেন । যার সংস্পর্শে আসলে হিন্দু মুসলিম নব প্রান পেতেন, সেই হাকিম আজমল খাঁ কে লেখক বোধ হয় ভূলে গিয়েছেন ।
• মহাত্মা গান্ধী, জহরলাল যার সাহায্য ছাড়া চলতেনই না । যিনি না থাকলে গান্ধী উপাধি টুকু পেতেন না । সেই মাওলানা আজাদকে ইতিহাসের পাতা থেকে বাদ দেওয়া হল ।
• মাওলানা মহম্মদ আলি ও শওকত আলি । ৫ বার দীর্ঘ মেয়াদী জেল খেটেছেন । ‘ কম রেড ‘ ও ‘ হামদর্দ ‘ নামক দুটি ইংরেজ বিরোধী পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন । তাদের নাম ইতিহাসের ছেড়া পাতায় জায়গা পায় না ।
• খাজা আব্দুল মজীদ ইংল্যান্ড থেকে ব্যারিস্টার হন ।
জওহরলালের সমসাময়িক কংগ্রেসের কর্মী ছিলেন । প্রচন্ড সংগ্রাম করে তার এবং তার স্ত্রী উভয়ের জেল হয় । ১৯৬২ সালে তার মৃত্যু হয় । ইতিহাসের পাতায়ও তাঁদের নামের মৃত্যু ঘটেছে ।
• ডবল A.M এবং P.H.D ডিগ্রিধারী প্রভাবশালী জেল খাটা সংগ্রামী সাইফুদ্দিন কিচলু ।
বিপ্লবী মীর কাশেম, টিপু সুলতান , মজনু শা , ইউসুফ… এরা ব্রিটিশদের বুলেটের আঘাতে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেলাও ইতিহাসের পাতা থেকে নিশ্চিহ্ন হলো কিভাবে..?
• সর্ব ভারতীয় নেতা আহমাদুল্লাহ । তৎকালীন সময়ে ৫০ হাজার রুপি যার মাথার ধার্য করেছিল ব্রিটিশ রা । জমিদার জগন্নাথ বাবু প্রতারনা করে, বিষ মাখানো পান খাওয়ালেন নিজের ঘরে বসিয়ে । আর পূর্ব ঘোষিত ৫০ হাজার রুপি পুরষ্কার জিতে নিলেন ।
• মাওলানা রশিদ আহমদ । যাকে নির্মম ভাবে ফাঁসি দিয়ে পৃথিবী থেকে মুছে দিলো ইংরেজরা । ইতিহাস লেখক কেন তার নাম মুছে দিলেন ইতিহাস থেকে ।
• জেল খাটা নেতা ইউসুফ, নাসিম খাঁন, গাজি বাবা ইয়াসিন ওমর খান তাদের নাম আজ ইতিহাসে নেই কেনো…?
• ভারত স্বাধীনতা লাভ করার পরে, কুদরাতুল্লা খানে মৃত্যু হল কারাগারে । ইতিহাসের পাতায় তার মৃত্যু ঘটলো কিভাবে…?
• নেতাজী সুভাষ বসুর ডান হাত আর বাম হাত যারা ছিলেন..।ইতিহাসে তাদের নাম খুঁজে পাওয়া যায় না । তারা হলেন আবিদ হাসান শাহনাওয়াজ খান , আজিজ আহমাদ, ডি এম খান , আব্দুল করিম গনি , লেফট্যানেন্ট কর্নেল , জেট কিলানি , কর্নেল জ্বিলানী প্রমুখ ..। এদের অবদান লেখক কি করে ভুলে গেলেন…?
• বিদ্রোহী গোলাম রব্বানী, সর্দ্দার ও হয়দার, মাওলানা আক্রম খাঁ , সৈয়দ গিয়াসুদ্দিন আনসার । এদের রক্ত আার নির্মম মৃত্যু কি ভারতের স্বাধীনতায় কাজে লাগেনি …?
• বিখ্যাত নেতা জহুরুল হাসানকে হত্যা করলে মোটা অঙ্কের পুরষ্কার ঘোষনা করে ইংরেজ সরকার ।
• মাওলানা হজরত মুহানী এমন এক নেতা, তিনি তোলেন সর্ব প্রথম ব্রিটিশ বিহীন চাই স্বাধীনতা ।
• জেলে মরে পচে গেলেন মাওলানা ওবায়দুল্লাহ, তার নাম কি ইতিহাসে ওঠার মতো নয়…!?
• হাফেজ নিশার আলি যিনি তিতুমীর নামে খ্যাত ব্রিটিশ রা তার বাঁশের কেল্লা সহ তাকে ধংব্বস করে দেয়…। তার সেনাপতি গোলাম মাসুমকে কেল্লার সামনে ফাঁসি দেওয়া হয়…।
• কিংসফোর্ড কে হত্যা করতে ব্যার্থ ক্ষুদিরামের নাম আমরা সবাই জানি , কিংসফোর্ড হত্যাকরী সফল শের আলী বিপ্লবীকে আমরা কেউ জানিনা ।
• কলকাতার হিংস্র বিচার পতি জর্জ নরম্যান হত্যাকরী আব্দুল্লার নামও শের আলীর মতো বিলীন হয়ে আছে..।
• বিখ্যাত নেতা আসফাকুল্লা । ভারত ছাড়ো আন্দোলনের বীর আব্দুস সুকুর ও আব্দুল্লা মীর এদের অবদান কি ঐতিহাসিক ভূলে গেছেন ।
এছাড়া ও হাজার হাজার মানুষের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের এই স্বাধীনতা।
এই পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে আমি ধিক্কার জানাই…
পরিশেষে বলতে চাই…
ছাড়বো না কোরান
না ছাড়বো হিন্দুস্থান,
এই জন্মভূমির ভালোবাসা
আমাদের ঈমান ।