বুধবার, ১৪ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৫ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

ঝিনাইদহে মুরতাদদের সাথে একদিন


২০০৯ সালের ডিসেম্বর মাসে ভগবান নগর গ্রামের শৈলকুপা থানা, ঝিনাইদহ সফরের কথা বলছি। এ সফরে আমাদের রাহবার ছিলেন স্থানীয় কলেজের ছাত্র রাকিবুল ইসলাম ভাই। গিয়ে দেখি ওখানে অনেক মুসলমান ধর্মান্তরিত হয়ে খ্রিস্টান হয়েছে। খ্রিস্টধর্মে ধর্মান্তারিত স্থানীয় ঠান্ডামাতব্বর, এলাহী বখশ, বাদশা মিয়া, আরো অনেকের সাথে সাক্ষাৎ হলো। তাদের সাথে কথাবার্তা চলছিল। এক পার্যায়ে আমাদের আলোচনা মুনাজারার রুপ নেয়। তবে মুনাজারায় (বিতর্কে) তারা পরাজিত হয়। বিতর্কে অংশগ্রহণকারী তাদের একজন দা’য়ী ‘অমুল মাধুর্যের’ ( যে ঐ এলাকায় ইয়ং সোসাইটির প্রধান) সাথে আমার খাতির জামে যায়। তার দাওয়াতী কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে চাইলাম। উত্তরে তিনি বললেন, আমরা বই পুস্তক বিলি করি, বুঝাই এবং আমাদের প্র্রোগ্রামগুলোতে দাওয়াত দেই। জিজ্ঞাসা করলাম, আপনারা বই-পুস্তকের টাকা পয়সা কোথায় পান? উত্তরে বললেন, আমরা প্রত্যেকেই আয়ের একদশমাংশ আল্লাহর রাস্তায় দান করি এবং দান করার পর সেদিকে ফিরেও তাকাই না। কেউ আমাদের খ্রিস্টধর্ম গ্রহণ করলে তাকেওএই দানের প্রতি উদ্বুদ্ধ করি। আমাদের দাওয়াতী কাজের অর্থ যোগান এভাবেই হয়। আর এভাবে সংগৃহিত টাকা দিয়েই আমরা বই পুস্তক ক্রয় করি এবং বিতরণ করি। অমুল মাধুর্য জানালেন, তিনি একটি প্রথমিক স্কুল পরিচলনা করেন। সেখানে মুসলামানের সন্তানরাও পড়াশুনা করে। তাদেরকে ইসলাম শিক্ষা নয় বরং খ্রিস্টধর্মের দীক্ষা দেওয়া হয়। সেক্যুলার পদ্ধতিতে পড়ানো হয়। তিনি এই ধরণের বহু তথ্য দিলেন।

মুসলিম ভাইদের জিজ্ঞাসা করতে চাই! আমরা কয়দিন কয়টি বই প্রতিবেশী অমুসলিমের হাতে তুলে দিয়েছি? আমরা কতভাবে আমাদের টাকা খরচ করি, একটি টাকাও কি অমুসলিম ভাইদের পিছনে দাওয়াতের উদ্দেশ্যে খরচ করেছি?

Archives

November 2023
S S M T W T F
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
252627282930