শনিবার, ২রা চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ৬ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

মোলাকাত ০৯ঃ মুহাম্মাদ আতাউল্লাহ ফাহীম


মুহাম্মাদ আতাউল্লাহ ফাহীম। (Fahim Muhammad Ataullah)
পিতা. আলহাজ মাও. শহীদুল্লাহ
জন্ম সন: ২রা সেপ্টেম্বর ১৯৮৭ ইং
জন্মস্থান। কুমিল্লা, বরুড়া, মুগুজী।
পড়া-শোনা: নিজগ্রামে ৪র্থ শ্রেনী। এরপর চৌধুরীপাড়া ঢাকাতে ইবতেদায়ী থেকে ইফতা পর্যন্ত।
বর্তমান কর্মক্ষেত্র: জামিয়া মাদানীয়া কোলাপাড়া। শ্রীনগর, মুন্সীগঞ্জ।
কর্ম পরিধি: সিনিয়র মুহাদ্দিস,
—-
কিছু মানুষ থাকেন, যাদেরকে দেখলে মনে হয়, তার মধ্যে কিছু কথা আছে। কিছু ব্যাথা আছে। কিছু কষ্ট আছে। কিছু বেদনা আছে। কিছু স্বপ্ন আছে।
= আমাদের মুফতি আতাউল্লাহ ফাহীমও তেমনি একজন ব্যক্তি।
.
তার লেখাগুলো পড়লে মনে হয়, উম্মাহর ইসলাহের প্রতি তার অসীম মমতা। উম্মাহর উন্নতির জন্যে তার গভীর চিন্তা।
.
তার সম্পর্কে ভাবতে বসলে মনে হয়, তিনি কালক্রমে একজন ভালো মানুষ, একজন যোগ্য দায়ী, একজন জানবাজ মুজাহিদ, একজন ক্ষুরধার লেখক হয়ে উঠবেন।
.
তার চিন্তার পরিসর যাচাই করলে মনে হয়, তিনি পারবেন। তিনি আকাশে ওড়ার স্বপ্ন দেখেন। সে যোগ্যতাও তার আছে।
.
.
১. লেখালেখির সূচনা কবে থেকে?
:১৯৯৯ সনে যখন চৌধুরীপাড়া মাদরাসায় ইবতেদায়ী-১ম বর্ষে পড়তাম তখন প্রিয় উস্তাদে মুহতারাম জাফর আহমাদ আশরাফী দা.বা. প্রতি বৃঃবার বাদ মাগরিব একটা সাহিত্যের ক্লাস করাতেন। বছরের মাঝামাঝি একবার তিনি সবাইকে একটা করে গল্প লিখে আনতে বললেন। সম্ভবত শিরোনামটা ছিলো “মরু বিয়াবানে পরিশ্রান্ত মুসাফির”। তখনই আমি প্রথম লিখি।
:
২. নিয়মিত লেখালেখি করেন?
: মোটা-মুটি শখের বশেই লিখি। চেষ্টা করি নিয়মিত লিখতে। আগে ডাইরি লিখতাম। তবে তা ছিলো অনিয়মিত। বর্তমানে আমার লিখার ক্ষেত্রটা শুধুই ফেসবুক।
:
৩.
লেখালেখির ক্ষেত্রে কার কাছ থেকে সবচেয়ে বেশি উৎসাহ পেয়েছেন?
আল্লামা ইসহাক ফরীদি র., বড় ভাইয়া মাও. উবায়েদুল্লাহ আশরাফ।
:
৪. লেখালেখির ক্ষেত্রে আপনার প্রেরণা ও আদর্শ কে?
: আল্লামা ফরিদ উদ্দীন মাসউদ দা.বা. ও মাও. যাইনুল আবেদিন দা.বা. মাও ইয়াহ ইয়া ইউসুফ নদভি দা.বা.
:
৫. প্রিয় বই
: একটি গল্প শোনো। ঈমান দ্বিপ্ত দাস্তান। শফিউদ্দীন সরদার ও এনায়েতুল্লাহ আলতামাসের বইগুলো। ঈমান জাগানিয়া যে কোন গল্প, উপন্যাস। মাসুদ রানা সিরিজ।
:
৬. প্রিয় লেখক
: আবুল হাসান আলী নদভি, আ. রহমান আরিফি, আল্লামা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ, উবায়দুর রহমান খান নদভি। ইয়াহ ইয়া ইউসুফ নদভি।
:
৭. প্রিয় মুহূর্ত
: প্রিয়জনের সান্নিধ্যে কাটানো মুহুর্তগুলোই বেশী প্রিয়।
:
৮. কোন সময় লিখতে ভালোবাসেন?
: গভীর রাতে
:
৯. প্রিয় স্থান
: আমার কর্মস্থল ( যেখানেই থাকি) , আপন নিবাস কুমিল্লা।
:
১০. প্রিয় পর্যটন স্থান………….
: সমুদ্র-সৈকত…..
:
১১. স্বপ্ন ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
: একজন আদর্শ উস্তাদ ও মুহাদ্দিস হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাওয়া। গুম্বুজে খাজরায় সবটুকু মাধুরী মিশিয়ে সালাম পেশ করা। রণাঙ্গনে শহীদ হওয়া।
:
১২. প্রিয় রং
: সাদা ( নিজের জন্য) হলুদ, লাল, গোলাপি ( প্রিয় মানুষের জন্য)

১৩. প্রিয় পাখি
: কবুতর
:
১৪. প্রিয় ফুল
: গোলাপ, বেলী
:
১৫. প্রিয় খাবার
: শুঁটকির ভর্তা, ভুনা গরুর গোশত, ভাত, গরু-বিরানি
:
১৬. প্রিয় কবি?
: নজরুল, ফররুখ।
:
১৭. প্রিয় কাজ?
:
দরস দেয়া ও বয়ান করা, ঘুম
:
১৮. সর্বাধিক পঠিত বই?
: আপ বীতি,
:
১৯. প্রিয় মাদরাসা?
: দারুল উলুম দেওবন্দ, শেখ জনুরুদ্দীন র. দারুল কুরআন ( চৌধুরী পাড়া ) ঢাকা। জামিয়া মাদানিয়া বারিধারা।
:
২০. প্রিয় মানুষ?
: বাবা-মা, বড়ো ভাইয়া, স্ত্রী।
:
২১. প্রিয় ব্যক্তিত্ব?
: আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী দা.বা। আল্লামা ইসহাক ফরীদি র.। ড. মাও. মুশতাক আহমাদ দা.বা.।
:
২২. প্রিয় ফেসবুক লেখক?
: মুফতি ইউসুফ সুলতান, ইয়াহ ইয়া ইউসুফ নদভি। মাও. লিসানুল হক, হানীন ইলদারম, মাও, অলিউল্লাহ আরমান ভাই, শাবীব তাশফি আরো অনেকে…
.
২৩. প্রথম লেখা প্রকাশ? কবে কোথায়?
: ২০০৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসিক পাথেয়তে।
.
২৪. এখন কী পড়ছেন?
: ক্লাসের মুতালা নিয়ে ব্যস্ত। খুতুবাতে যুলফিকার।
:
২৫. এখন কী লিখছেন?
:কিছুই না।
:
২৬. কোন বইটি পড়ে সম্মোহিত হয়ে গিয়েছিলেন?
: তোমাকে ভালোবাসি হে নবী সা.
( আদিব হুজুর অনুদিত)
:
২৭. কোন বইয়ের ছেলে চরিত্রকে দেখে মনে হয়েছে- ইস, আমি যদি এমন হতাম!
: বখতিয়ারের তলোয়ারের, “বখতিয়ার খিলজি“, আলোর পরশের “রায়হান“। অগ্নি পুরুষের “মাসুদরানা”।
:
২৮. কোন বইয়ের কোন মেয়ে চরিত্রকে দেখে মনে হয়েছে- ইস, আমার যদি এমন কেউ হতো!!
: আঁধার রাতের বন্দিনির “সায়েমা মালাকানি“।
:
২৯. জীবনের সবচেয়ে স্মরণীয় মুহূর্ত কোনটি?
: কা‘বার দর্শন ও গুম্বাদে খাদরায় সালাম পেশ করাই হবে আমার জীবনের স্মরণীয় মুহুর্ত। (যদিও তা এখনো আসেনি)
:
৩০. জীবনের সবচেয়ে স্মরণীয় ঘটনা কী?
: আমার বিয়ে । ২০১২ সালের ৩১-ই ডিসেম্বর। যার একদিন আগেও আমি জানতাম না যে, পরদিন আমার বিয়ে হয়ে যাবে আর আমার আহলিয়া বিয়ের তিন ঘন্টা পর জেনেছে তার বিয়ে হয়ে গেছে। আমাদের বাসরে পুরো পৃথিবী ফটকা ফুটিয়ে “থার্টি ফার্স্ট নাইট“ উদযাপন করেছে।
:
৩১. জীবনের সবচেয়ে মজার ঘটনা কোনটা?
:নির্দিষ্ট করে বলতে পারছি না।
:
৩২. জীবনের সবচেয়ে দুঃখজনক ঘটনা?।
: ১.আল্লামা ইসহাক ফরীদি র.-এর ইন্তেকাল। সাথে ছিলেন বড়ো ভাইয়া। ৫ই জুন ২০০৫ রোববার । তারা নানুপুরের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়ে রোড এক্সিডেন্টে করুনভাবে মৃত্যুবরন করেন। বড়ো ভাইয়া প্রচন্ড আহত হয়েছিলেন সেদিন।
২. নানাজান *আল্লামা আশরাফ উদ্দীন আহমাদ র.*-এর ইন্তেকাল। তিনি ছিলেন কুমিল্লা কাসেমুল উলূমের সাবেক শায়খুল হাদীস। ৬ই মে গনহত্যা।
:
৩৩. দৈনিক কুরআন তেলাওয়াত করা হয়?
: জ্বি আলহামদুলিল্লাহ
:
৩৪. তাহাজ্জুদ আদায় করা হয়?
: কখনো কখনো।
:
৩৫. জীবনের লক্ষ্য কী?
: জীবনের শেষ মুহুর্ত পর্যন্ত দরস ও তাদরিসের সাথে নিয়োজিত থাকা।
:
৩৬. শখ কী?
:একেক সময় একেকটা……
:
৩৭. এই যে লেখালেখি, এ নিয়ে জীবনের সমাপ্তি বেলায় কী দেখতে চান?
:এখনো স্থির করিনি।
:
৩৮. কোন ধরনের বই পড়তে পছন্দ করেন এবং কেন করেন?
: তাফসীর, হাদীস, ও যে কোন ঈমান জাগানিয়া গল্পের বই। আত্মজীবনি। বড়োদের জীবনী। আমাকে নতুন করে জাগতে সাহায্য করে। আত্মার খোরাক পাই।
:
৩৯. আমাদের নবী ছাড়া কোন নবীকে বেশি ভাল লাগে? কেন?
: সকলকেই তাঁদের ত্যাগ ও সাধনার কারনে।
:
৪০. কোন সাহাবীকে বেশি ভাল লাগে? কেন?
: সব সাহাবিকেই। রাসূল সা.-এর প্রেমের সাগরে তাঁদের ডুবসাঁতারের কারণে।
:
৪১. কোন তাবেয়ীকে বেশি ভাল লাগে? কেন?
: সকলকেই। তবে, বেশী হযরত উরওয়া ইবনে যুবায়ের র. কে। যিনি না হলে রাসূল সা.-এর ঘরোয়া অনেক কথাই হয়তো অজানা রয়ে যেতো।
:
৪২. কোন ইমামকে বেশি ভালো লাগে ? কেন?
: সকলকেই। তবে যেহেতু আমি হানাফী মাযহাবের অনুসারী তাই ইমাম আবু হানিফা র. কে বেশী ভালোবাসি।
:
৪৩. কোন বুযুর্গকে বেশি ভালো লাগে? কেন?
: সকলকেই। তাঁরা আল্লাহ ও রাসূলের সন্তুষ্টির পথে নিজেকে পরিচালনার কারনে।
.
৪৪. আমাদের আকাবিরদের মধ্যে কাকে বেশি ভালো লাগে? কেন?
: সকলকেই। ই‘লায়ে কালিমাতুল্লাহর জন্য তাঁদের অকৃত্রিম কুরবানী আমার মাঝে নতুন দিনের স্বপ্ন জাগায়।
:
৪৫. কোন বীর মুজাহিদকে বেশি ভালো লাগে? কেন?
: ১. আব্দুল্লাহ ইবনে মুবারক র. যিনি ছিলেন হাদীসের ময়দানে প্রাজ্ঞ মুহাদ্দিস। জিহাদের ময়দানে দূর্দান্ত সিপাহসালার।
২. ওসামা বিন লাদেন র. যিনি বিলাসিতাকে ছেড়েছেন শাহাদাতের নেশায়।
৩.শহীদ জিয়াউর রহমান ফারুকী র. নিজের সর্বস্ব বিলিয়ে দিয়েছেন সাহাবাদের মর্যাদা রক্ষায়।
৪. মোল্লা মুহাম্মাদ উমর র.
৫. মাসউদ আযহার দা.বা.
.
আমাদেরকে সময় দেয়ার জন্যে অনেক অনেক শুকরিয়া। জাযাকাল্লাহু খাইরান।
-আপনাদেরকেও।
.
সাক্ষাতকার গ্রহণ করেছে:
মুফতী Abdullah Talha
.
আমরা যারা সাথে ছিলাম:
মুফতী Raihan Khairullah
মুফতি Arif Khan Sa’ad
মুফতি Nuruzzaman Nahid

একক্লিকে:
 আমাদের সাক্ষাৎকার

শায়েখ Atik Ullah

Archives

March 2024
S S M T W T F
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
3031