বুধবার, ১৪ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৫ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরি
তাকান মিন্দানাওয়ের প্রতি। পাতান মুসলমানরা সপ্তদশ- অষ্টাদশ শতকে সেখানে পরিচালনা করেন সালতানাত। সালতানাতে হিন্দু- বৌদ্ধ ও মুসলিমরা সমানভাবে সুবিধা ভোগ করতেন। মুসলিমরা সেখানে বহু শতক ধরে সংখ্যাগুরু। কিন্তু এখন? মুসলিম জনপদ সমূহ বধ্যভূমি। দশকের পর দশক ধরে সেখানে চলছে হত্যার উৎসব।
কে এই হত্যার নায়ক?
চীনা সমর্থনপুষ্ট বুড্ডিস্ট টেরোরিজম।
শ্রীলঙ্কার দিকে তাকান। এখানে মুসলিম মুরগণ দ্বিতীয় বৃহত্তম জাতিগোষ্ঠী। তারা সে দেশে নিরন্তর বঞ্চনা,হত্যা ও উচ্ছেদের শিকার। জীবনই তাদের দুর্বিসহ সেখানে।
কে তাদেরকে বিপন্ন করেছে?
চীনা সমর্থনপুষ্ট বুড্ডিস্ট টেরোরিজম
১৯৫৪ সাল থেকে উচ্ছেদের সম্মুখীন তিব্বতের মুসলিমগণ। একদা সেখানে ছিলো মুসলিম প্রধান্য। এখন তারা রয়েছে অস্তিত্বসঙ্কটে। মুসলিম নাম,পোশাক,আচার,সংস্কৃতি, ধর্মচর্চা- সবই সেখানে বিপদ ডেকে আনে। খুন,অপহরণ, ধর্ষণ ও উচ্ছেদে মুসলিমপ্রধান জনপদগুলো বধ্যভূমি।
কে বানিয়েছে বধ্যভূমি?
চায়নিজ বুড্ডিস্ট টেরোরিজম।
কম্বোডিয়ার কথা ধরুন।
খোমাররুজ গেরিলারা লক্ষ লক্ষ মুসলিম মেরে সাফ করে দিলো।সে দেশে জাতিগত নিধনের ফলে মুসলিম জনসংখ্যার হার এক তৃতীয়াংশে নেমে এলো। এখন যারা বেঁচে আছে,বিপন্ন হয়েই বেঁচে আছে। তাদেরকেও শেষ করে দেয়ার অস্ত্রে শান দেয়া হচ্ছে।
কে শান দিচ্ছে?
চীনা সমর্থনপুষ্ট বুড্ডিস্ট টেরোরিজম।
ভিয়েতনামে চাম জনগোষ্ঠীভুক্ত মুসলমানরা সেদেশে শিক্ষা,সভ্যতা ও জাতিগঠনে বিশাল অবদান রাখলেও তারা আজ নির্মূলের শিকার। হো-চিন-মিনের সময় থেকে মুসলমানদের অবস্থা অবনতিশীল। পরিকল্পিতভাবে মুসলিমদের বানানো হচ্ছে বাহাই ও খ্রিস্টান। মুসলিমদের শিক্ষা ও সংস্কৃতির দ্বার করা হচ্ছে রুদ্ধ।তাদেরকে করে রাখা হয়েছে অনগ্রসর ও অনুন্নত। জুলুম ও বঞ্চনার চোখ রাঙানির ভেতর বেঁচে আছেন তারা।
কে চোখ রাঙায়?
চীনা সমর্থনপুষ্ট বুড্ডিস্ট টেরোরিজম।
১৯৭৩ সালে মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠ ইউনান প্রদেশ দখল করে নেয় চীন। গোটা দেশে হত্যা করা হয় এক কোটি মুসলমানকে। ঝিনজিয়াং- সিংকিয়াং- এ এখন চলছে সেই হত্যার ধারাবাহিকতা। নামাজ,রোজা,কুরআন তেলাওয়াত,দাঁড়ি রাখা- সবই সেখানে অগ্রহণীয়। মুসলিমদের উপর চলমান পরিকল্পিত উচ্ছেদযজ্ঞ। গুম আর খুন সেখানে নৈমিত্তিক ঘটনা।নাগরিক অধিকার তো বটেই,মুসলমানদের মানবিক অধিকারও সেখানে সঙ্কোচিত। যে কোন উপলক্ষেই তাদের উপর হামলে পড়ছে হান সন্ত্রাসীরা।তারা মুসলিম উচ্ছেদে অনমনীয়।
তাদেরকে কে লেলিয়ে দিলো?
চায়না বুড্ডিস্ট টেররিজম।
রাশিয়ার কালমিকিয়া প্রজাতন্ত্রে মুসলিমদের বসবাস অগ্রহণযোগ্য বলে মনে করা হয়। বলা হয় এ ভূখণ্ড শুধুমাত্র বৌদ্ধদের। অথচ রাশিয়ায় মুসলিমরা ৩০%-এরও ঊর্ধ্বে আর বৌদ্ধরা সংখ্যায় নগণ্য। তবুও তাদের ত্রাশ ও দাপটে মুসলিমরা সেখান থেকে নির্মূলপ্রায়।
কে তাদেরকে উস্কে দিলো?
বুড্ডিস্ট টেরোরিজম।
অতঃপর মিয়ানমার। সেখানে দেখতেই তো পাচ্ছেন বুড্ডিস্ট টেরোরিজমের আসল রূপ।
মুসলিমপ্রশ্নে টেরোরিস্ট বৌদ্ধবাদের কথা একটাই- অধিকার নিয়ে বাঁচতে দিয়ো না।সমূলে উচ্ছেদ করো।মেরে সাফ করে দাও।নাম- গন্ধও রেখো না।