নামাজ ও আযানের সময় মসজিদের কাছে থাকা পূজা মণ্ডপগুলোতে বাদ্যযন্ত্র বাজানো যাবে না বলেও এদিন পুলিশ কমিশনার জানিয়ে দেন।
পূজায় সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে জানিয়ে পুলিশ কমিশনার বলেন, ঢাকা মহানগরীর ২২৬টি পূজামণ্ডপের সবগুলোই সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হয়েছে। নিরাপত্তার জন্য ‘এ’ ক্যাটগরিতে ঢাকেশ্বরী, রামকৃষ্ণ, ধানমণ্ডি ও বনানীর পূজামন্ডপ এবং ‘বি’ ক্যাটাগরিতে রমনা কালিমন্দির, সিদ্ধেশ্বরী ও উত্তরার মন্দিরগুলোর নিরাপত্তা দেয়া হচ্ছে। রাজধানীর ৮৮টি অধিক গুরুত্বপূর্ণ, ৮৩টি তুলনামূলক কম এবং ৪৮টি মন্দিরকে সাধারণ ক্যাটাগরিতে বিবেচনা করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা কার্যকর করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রত্যেক পূজামণ্ডপে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ, র্যাব ও সাদা পোশাকে গায়েন্দা সংস্থার সদস্যরা কাজ করবে।
প্রতিমা বিসর্জন দিতে যাওয়ার সময় কোনো ধরনের বাদ্যযন্ত্র বহন না করতে অনুরোধ জানিয়ে কমিশনার বলেন, পূজামণ্ডপের ভেতরে ব্যাগ, ছুরি, কাঁচি বা দাহ্য পদার্থ নিয়ে প্রবেশ করা যাবে না। প্রতিটি পূজামণ্ডপে আর্চওয়ে বসানো থাকবো। দর্শনার্থীসহ সবাইকে আর্চয়ে দিয়ে প্রবেশ করতে হবে। পুলিশ মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে আগন্তুকদেরকে তল্লাশী করবে। পূজামণ্ডপগুলো সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করতে রমনা এবং ঢাকেশ্বরীতে দুটি অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প বসানো হবে। পূজায় পটকা ও আতশবাজি ফাটানা নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
এছাড়া পূজার দিন মুসলমিদের নামাজ এবং আজানের সময় বাদ্যযন্ত্র বাজানো যাবে না বলে তিনি জানান। কমিশনার বলেন, প্রতিমা বিজর্সনের সময় অনেকে অতি উৎসাহী হয়ে নদীতে লাফ দেন, ফলে অনেক দুর্ঘটনা ঘটে। এ ধরনের কাজ করা যাবে না।