রবিবার, ১৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
কারো প্রতি নেই কোনো বিদ্বেষ
অনুযোগ শুধু এই
জেনে শুনে বুঝে দেশকে আমার
কী করে ভাসিয়ে দেই
তাহারা তো ছিলো দেশেরই মানুষ
দেশেরই অভিভাবক
ক্ষমতার গদি পেয়ে হয়ে গেলো
স্বার্থের ক্রীড়নক
মুক্তিযুদ্ধ চেতনার বাণী
তাহাদের মুখে শুনে
কতো বঞ্চনা সয়েছে মানুষ
সুখের প্রহর গুণে
তাদের মুখের দেশপ্রেম আর
জাতীয়তাবাদী গান
কষ্টে কাতর জাতিকে আমার
দিলো না পরিত্রাণ
একবিংশের ভরা যৌবনে
আমার প্রাণের দেশ
মধ্যযুগীয় বর্বরতায়
জ্বলে পুড়ে হলো শেষ।
খুন ধর্ষণ শোষণ পীড়ন
দুর্নীতি সন্ত্রাসে
জাতি নাজেহাল, জিম্মি, নাকাল
কেউ নেই আজ পাশে
তাদের হাতেই হলো অপমান
মুক্তি ও স্বাধীনতা
তারা তো পারেনি রাখতে, জাতিকে
দিয়েছিলো যতো কথা
উন্নয়ণের ফানুস দেখালো
ন্যায়-নীতি করে ফাঁকা
পোকার বসতি দেহ যে তাদের
ধোঁকার চাদরে ঢাকা
ইসলামী দল! সে অনর্গল
মানুষেরে গেলো ডেকে
গণমানুষের দুর্ভোগ হতে
নিজেদের দূরে রেখে
দ্বীন কায়েমের মায়াভরা ডাক
জনতা নিলো না কানে
বাকির খাতায় শূন্য বসালো
নগদের মায়া-টানে
হুকুমত হবে- কী জানি সে কবে
ততোদিন নর-নারী
খুন গুম ক্ষুধা ধর্ষণে পিষে
করবে কি আহাজারী ?
মৃত্যু-কাতর পথিকের মুখে
দু’ফোটা পানি না ঢেলে
জোব্বা জড়িয়ে গড়িয়ে গড়িয়ে
মসজিদে নেবে ঠেলে?
প্রতিবাদ প্রতিরোধের লড়াই
এখনই না করে ডরে
জাতিকে বাঁচাবে শতাব্দীপর
খেলাফত এলে পরে?
মুসলিম দেশ, তবু পেলো না যে
গণমানুষের প্রীতি
এতো বছরেও হলো না সফল
ইসলামী রাজনীতি
মসজিদ কবে মসনদ হবে
সে আশায় বসে থেকে
সময় কাটানো যাবে না যে আর
জাতিকে বিপদে রেখে
যেখানে জাতির সম্পদ লুটে
নেতারা প্রাসাদ গড়ে
যেখানে বাঁচার তাগিদে মানুষ
প্রতিদিন খেটে মরে
যেখানে নারীর সম্ভ্রম লুটে
পিশাচেরা অহরহ
যেখানে মানুষ লাওয়ারিশ গুম
এ যাতনা দুঃসহ
যেখানে বেকার যুবক তরুণ
মাদক নেশায় নীল
যেখানে শিল্প-সংস্কৃতি হয়
উলঙ্গ অশ্লীল
যেখানে হাজার কোটির হিসাবে
লুটেরার উল্লাস
যেখানে বিচার মুখ বুঁজে কাঁদে
নির্দোষ মরে লাশ!
যেখানে মানুষ হায়েনার ভয়ে
কুটিরে জ্বালে না বাতি
যেখানে মানুষ নতুন ভোরের
আশায় জাগিছে রাতি
সেখানে শোনাবে মুক্তির বাণী
কে আছো জওয়ান ওরে
রুখে দাঁড়াবার বার্তা পাঠাও
এ জাতির ঘরে ঘরে
কবে হবে! তার রেখো না হিসাব,
এখনই যে হতে হবে
গণদাবী নিয়ে ছুটে এসো গণ-
মানুষের বিপ্লবে।
৩১/৭/১৭
সোমবার, দুপুর ১২ টা।