বৃহস্পতিবার, ১০ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৯শে মহর্‌রম, ১৪৪৬ হিজরি

সুচি ও সেনাপ্রধানের ফাঁসি কার্যকর – জনতার আদালত

Khutbah Tv 

অভিনব কায়দায় নগরীতে জনতার প্রতিকী আদালতে মিয়ানমার ডিফ্যাক্ট সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অং সান সুচি ও সে দেশের সেনা বাহিনীর প্রধান মিন অং হেইঙ্গকে সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার বিকেলে শহিদ হাসিদ পার্কে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মহানগর শাখা এ ব্যতিক্রম কর্মসূচির আয়োজক। মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলিম গণহত্যার প্রতিবাদে ভিন্নধর্মী এ আয়োজনে খুলনার সর্বস্তরের মানুষের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।

প্রতিকী বিচারপতি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নগর সভাপতি মাওলানা মুজ্জাম্মিল হক, শেখ মোঃ নাসির উদ্দিন ও মমিন উদ্দিনের সমন্বয় গঠিত বেঞ্চে বিকেল ৩টায় শহিদ হাদিস পার্কে জনতার আদালতে প্রতিকী সুচি ও সেনাপ্রধানের বিচার প্রক্রিয়ায় শুনানী শুরু হয়। শুরুতে বাদী ইঞ্জিনিয়ার এজাজ মানসুর তার অভিযোগ পেশ করেন। মিয়ানমার মুসলিম গণহত্যা, গণধর্ষণ, ইতিহাসের বর্বরচিত লুটপাট, ঘর-বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও দেশ ত্যাগে বাধ্য করার অভিযোগের ভিত্তিতে বাদী পক্ষের সাক্ষীদের জেরা শুরু হয়। বাদী পক্ষের উকিল ও বিবাদী পক্ষের উলিকদের যুক্তিতর্ক শেষ হয়। যুক্তিতর্ক শেষে সকল সাক্ষী প্রমানের ভিত্তিতে তিন সদস্যের সমন্বয় গঠিত বেঞ্চ আসামি অং সান সুচি ও সেনা প্রধান মিন অং হ্লাইয়াং কে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যু দণ্ডাদেশ প্রদান করেন।
বাদী পক্ষের উকিল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন জিএম সজিব মোল্লা, এমএ হাসিব গোলদার, এম নাজমুল ইসলাম, এইচএম জুনাইদ মাহামুদ, মুফতি আব্দুর রহমান মিয়াজি, আব্দুল্লা আল নোমান। বিবাদী পক্ষের উকিল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন মুন্সি বশির উদ্দিন, মাইনুল ইসলাম, আল-আমিন, খালেদ সাইফুল্লাহ, মোঃ আমিরুল ইসলাম, এড. ইব্রাহিম ও এছহাক ফরিদী। পেশকারের দায়িত্ব পালন করেন মোঃ হাসানুজ্জামান। সাক্ষীগণ হিসেবে ছিলেন মেহেদী হাসান সৈকত, রবিউল ইসলাম তুষার, শফিকুল ইসলাম, জিএম কিবরিয়া, নূর আলম সিদ্দিকি, মোঃ আঃ সালাম ও মোঃ ফরহাদ মোল্লা। সার্বিক তত্ত্বাবধায়নে ছিলেন এড. কামাল। পরর্বতীতে সন্ধ্যার পূর্ব মুহূর্তে ৬টা এক মিনিটে দড়িতে ঝুলিয়ে সুচি ও সেনাপ্রধানের ফাঁসি কার্যকর করা হয়।

Archives

July 2024
S S M T W T F
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031