বুধবার, ২১শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ২২শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সূ-দীর্ঘ চার বছরের মেহনতের  ফসল ঘরে অাসুক! মুফতী রিজওয়ান রফিকী

সূ-দীর্ঘ চার বছরের মেহনতের
ফসল ঘরে অাসুক!

মোহাম্মাদ শাহজাদা মৃধা। বোর্ডবাজার (গাজীপুর) এলাকার এক সময়ের অালোচিত ব্যক্তি।
২০১৩ সালে যখন অামি বোর্ডবাজার এলাকায় মৃধাবাড়ী মসজিদে খেদমতে নিয়োগ হই তখন থেকেই একজন মানুষের নাম বারবার শুনতাম।
শুনতাম লোকটির ভয়ে মানুষ তার পাশে  ভিড়তে চায় না। সেই থেকেই লোকটাকে নিয়ে অামার একটা স্বপ্ন ছিল।

গোস্বা অাসতো তাদের উপর যারা তার সমালোচনা করতো। প্রশ্ন জাগতো কেন তার সমালোচনা করেন? কতদিন বা অালোর পথ দেখাতে তার কাছে গিয়েছেন?
কোনো দিন কি ইসলামের সু-পথ দেখিয়েছেন? নিশ্চয় না।
তাহলে কেন সমালোচনা করেন?

পৃথিবীতে কোনো মানুষ নিস্পাপ নেই। অপরাধী কম-বেশী সবাই।তবে কেউ অপরাধ প্রকাশ্যে করে কেউ বা অপ্রকাশ্যে।

যাই হোক-
মেহনত করা শুরু করলাম সেই থেকে। অালহামদুলিল্লাহ। কত দোয়া, কত চোখের পানি,কত কান্নাকাটি, কত অাহাজারী,কত সময় তার জন্য ব্যয় করেছি তার হিসেব নেই। নিজের দোয়া, ছাত্রদের নিয়ে দোয়া, বুযুর্গ অালেমদের কাছে নেয়াসহ অাহলুল্লাহদের সোহবতে নিয়েছি একাধিকবার।

স্বপ্ন ছিল একটাই, কিভাবে নামাজী বানানো যায়, সুন্নাতওয়ালা বানানো যায়।

সর্ব প্রথম তাকে সম্পর্ক করে দিয়েছিলাম অামার শায়খ ও প্রাণপ্রিয় উস্তাদ, (মিরপুর ১২ ঢাকা) মুসলিম বাজার মাদরাসার মুহতামিম মুফতী অাব্দুল ওয়াহীদ কাসেমী দাঃবাঃ এর সাথে।

অালহামদুলিল্লাহ।
অাহলুল্লাহদের নজরে অাজ অামার এই ভাইটি অালোকিত জিবন খুঁজে পেয়েছে,পাচ্ছে। গত কয়েকদিন অাগে অামাকে বললেন “রিজওয়ান ভাই! চলেন একদিন হুজুরের কাছে যায় হাত ধরবো”  কথাটি শুনেই অামি অানন্দে অাত্মহারা হয়ে গেলাম। খুশিতে মনটা ভরে গেল। ৩/৪ বছরের মেহনতের ফসল বুঝি এবার ঘরে উঠবে।

অালহামদুলিল্লাহ।
গতকাল নিয়ে গিয়েছিলাম শায়খের কাছে। বায়অাত হয়েছেন। শায়খ নিজের একটা করাচী পাঞ্জাবী ও একটা পাঁচকল্লী টুপি হাদিয়া দিয়েছেন। যখন টুপি এবং পাঞ্জাবী পরে শায়খের সামনে অাসলেন দেখে অামার কলিজাটা ঠান্ডা হয়ে গেল। মনে মনে দোয়া করছিলাম যে, হে রব! এই জামার ভেতর তো অামার শায়খের শরীর থাকতো, কিন্তু তুমি অাজ যেই শরীর ওই জামার ভেতর নিয়েছো তার ক্বলবটা তেমনি পবিত্র করে দাও।

চলে অাসার পথে অামাকে বলছিলেন- রিজওয়ান ভাই! প্যান্ট শার্ট অার পরবো না। ৭টা পাঞ্জাবী বানাতে দিলেন। অালহামদুলিল্লাহ অযীফা পাঠ করছেন খুব মনোযোগ দিয়ে।

নিজের ক্রেডিট বা বড়ত্ব প্রকাশ করার জন্য পোষ্টটা নয়।
বুঝাতে চাচ্ছি- অাহলুল্লাহদের নজর বড় দামী। কোন অপরাধীর প্রতি যদি অাহলুল্লাহদের নজর পড়ে তো সে চেহারাটা রবের কাছে মঞ্জুর হয়ে যায়।
যার বাস্তব প্রমাণ শাহজাদা ভাই।

সবাই ভাইটির জন্য দোয়া করুন যেন বায়অাতের ওয়াদা গুলো ধরে রাখতে পারেন। অাল্লাহ পাক যুগের মালেক বিন দীনার হিসেবে কবুল করেন।
কবুল করে নেন সাহাবায়ে কেরামদের রাঃ মত।
অামিন! অামিন! অামিন ইয়া রব!

Archives

December 2023
S S M T W T F
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
3031