শুক্রবার, ১৯শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১লা রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
সময়ের ভাবনা-১
মিছিল যেন চূড়ান্ত কর্মসূচি না হয়
মুফতি সাখাওয়াত হোসেন রাজি
———————————–
মিছিল। ঠিক কবে এর সুচনা হয়েছে বলা মুশকিল। তবে মানুষ বিক্ষুব্ধ হলে স্বভাবত নানাভাবে প্রতিবাদমুখর হয়ে উঠে। দাবী আদায়ের লক্ষ্যে আওয়াজ উঁচু করে কখনো একা, কখনোবা সম্মিলিতভাবে। হালআমলে দাবী আদায়ের লক্ষ্যে জমায়েত হইয়া ব্যানার লইয়া স্লোগান মারিয়া রাজপথে, অলিগলিতে আমরা যাহা করিয়া থাকি ইহাকেই মিছিল বলে এবং ইহাই মিছিলের বর্তমান ভার্সন।
মিছিলের উপকারিতা স্বস্থানে স্বীকৃত। কিন্তু এটাকেই চূড়ান্ত কর্মসূচি মনে করা কিংবা একটি মিছিল করেই দুনিয়া জয়ের তৃপ্তি লাভ করা কতটা যৌক্তিক ভাবুকরা ভেবে দেখতে পারেন। আর যুদ্ধের মোকাবিলায় মিছিল কতটা ফলপ্রসূ তাও ভেবে দেখার অনুরোধ করছি।
পৃথিবী জুড়েই ইসলাম ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস চলছে। এর প্রতিবাদে আমাদের শাসকেরা আমাদেরকে মিছিলের সুযোগ দিয়ে এক ধরণের করুণা করছেন। ভাবখানা তাদের এমনই। আমরাও করুণা পেয়ে ধন্য হচ্ছি!
ফলাফল? ওরা যুদ্ধের মাধ্যমে আমাদের নিশ্চিহ্ন করে ক্লান্ত হয়ে যায়, আমরা মিছিল করে এক সময় ক্লান্ত হয়ে যাই।
মুসলিম দেশের সেনাশক্তি নির্যাতিত মুসলিমদের জন্য কাজে লাগানো হচ্ছে না। ক্ষমতাসীনরা এর গুরুত্বও অনুভব করতে পারছে না। কেননা, ক্ষমতাই তাদের লক্ষ্য। দেশ, ইসলাম দ্বিতীয় বিষয়।
এই জন্য আমাদের উচিৎ দেশ পরিচালনার লক্ষ্যে প্রস্তুত হওয়া। ত্যাগী দেশপ্রেমিক নেতৃত্ব তৈরি করা। পাড়ায় পাড়ায় গ্রামে গ্রামে ইসলামী রাজনীতির দুর্গ গড়ে তোলা। ইসলামী রাষ্ট্রব্যবস্থার সুফল ও প্রয়োজনীয়তা জনগণের সামনে তুলে ধরা। প্রচলিত ক্ষমতাকেন্দ্রীক রাজনীতির অসাড়তা ও কুফল সম্পর্কে মানুষকে অবগত করা।
চলুন আমরা এখন থেকেই কাজ শুরু করি। যে যেখানে আছি দৈনিক একজনকে বিষয়টি বুঝাতে চেষ্টা করি। অন্তত থানা পর্যায়ে প্রতি মাসে একটি বৈঠক করি। দাওয়াতি কাজ বাড়িয়ে দেই। আমরা ছড়িয়ে আছি সারা বাংলায়। একযোগে কাজ করলে গাণিতিক হারে অগ্রগতি দেখতে পাব, ইনশাআল্লাহ!