বুধবার, ২১শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ২২শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

বিক্ষত সিরিয়া থেকে রক্তাক্ত জৈন্তাপুরঃ হায়! কী শব্দে এ গুণ্ডামীর প্রতিবাদ করবো?

খুৎবাঃ একদিকে গুণ্ডা শিয়া বাশার আল আসাদের বাহিনীর হাতে নিহত সিরীয় মুসলিম। অপরদিকে গুণ্ডা বিদআতি আটরশীর হাতে জৈন্তার আলেম।
এতো একই মুদ্রার দু’পিঠ যেন।
মাওলানা আব্দুস সালাম জৈন্তাপুরী দামাত বারাকাতুহুর রক্তাক্ত চেহারা দেখে দিলটা কেঁদে উঠল। কলজে ছেঁড়া বেদনায় নির্বাক জবান।
এইতো সেদিন। গিয়েছিলাম জৈন্তাপুর জাফলং মাহফিলে। আয়োজক ছিলেন মর্দে মুজাহিদ মাওলানা আব্দুস সালাম সাহেব। আসর নামায পড়েছিলাম হযরতের হরিপুরের মসজিদে। সারি সারি কিতাব ঘেরা রুমে ঢুকেই বুঝলাম যোগ্য আলেম।
শুনলাম অনেকের মুখে হযরতের কীর্তিগাঁথা। শিরক বিদআতের বিরুদ্ধে তার সংগ্রামী ভূমিকা। অকোতুভয় নির্ভিক কর্মতৎপরতা। শহীদ মুজ্জাম্মিল ভাইয়ের মত জানবাজ কর্মীদের দীপ্ত চেতনা দেখে আশান্বিত হয়েছিলামঃ নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের রক্তভেজা দ্বীনকে শিরক বিদআতের আবর্জনা থেকে মুক্ত রাখতে এ যুবকেরা বদ্ধ পরিকর। জানের কুরবানী পেশ করে হলেও শিরকের নোংরামী উচ্ছেদ করবেই খালিদ বিন ওলীদের এ উত্তরসূরীরা।
জাফলং এ বাদ মাগরিব বয়ান করেছিলাম। বিষয় ছিল শানে রিসালাত ও এতদসংশ্লিষ্ট ভ্রান্ত আকীদা। মুহুর্মুহু স্লোগানে সমাপ্ত করি বয়ান। মুফতী ইউসুফ সাহেব আদর করে দুআ করেছিলেন। বলেছিলেনঃ ওরা মানুক না মানুক আমরা দলীল দিয়ে আমাদের হক আদায় করে দিয়েছি।
হায়। কল্পনাও করিনি সেই জাফলং, সেই জৈন্তাপুর রক্তাক্ত হবে আমার ভাইয়ের লহুতে।
অগণিত হক্কানী উলামার রত্নগর্ভা সিলেটের মাটিতে আটরশীর বিদআতি শিরকপন্থীদের এমন গুণ্ডামী ও মাস্তানী করার দুঃসাহস হল কী করে?
খুন। সরাসরি খুন। এ কোন রক্তখেকোর পাল্লায় শাহজালালের সিলেট?
এখনি সময় সচেতন হবার। হুংকার দেবার। প্রতিটা খুনি এবং উস্কানীদাতাদের ফাঁসি দিতে হবে। উক্ত মাহফিলের উস্কানীদাতা বক্তা, হুকুমের আসামী আটরশীর ভণ্ড পীর এবং তার স্থানীয় প্রতিটা গুণ্ডা ভক্তদের ফাঁসি চাই। দিতে হবে।
সেই সাথে শহীদ মুজ্জাম্মিলের পরিবারকে যথাযথ নুসরত এবং আহতদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে।
ভণ্ড মাজারপন্থীদের সকল মাহফিল পুরো সিলেটে নিষিদ্ধ করতে হবে।
আমরা শান্তি চাই। বিশৃংখলা নয়। ফিতনামুক্ত বাংলাদেশ চাই।

লেখকঃ মুফতি লুৎফর রহমান ফরায়েজী

পরিচালক-তালীমুল ইসলাম ইনষ্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।

Archives

December 2023
S S M T W T F
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
3031