শনিবার, ৪ঠা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ই রজব, ১৪৪৬ হিজরি
আলহামদুলিল্লাহ।
আ’ম বয়ানের মধ্য দিয়ে চাঁদপুর,রাঙামাটি এবং দিনাজপুরে আঞ্চলিক (জেলা) ইজতেমা শুরু হয়েছে।
আজ ৩০ নভেম্বর,চাঁদপুর,দিনাজপুর,র
আগামী ২ ডিসেম্বর আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে।
দাওয়াত ও তাবলিগ জামাত আয়োজিত এ ইজতেমায় প্রায় এক লাখ মুসল্লির সমাগমের হবেন ইনশাআল্লাহ।
আম বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরুর পরেও দূর-দূরান্ত থেকে মুসল্লিরা দুনিয়া ও আখিরাতের কামিয়াব লাভের আশায় এই মাঠে আসছেন। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার মধ্যে ইজতেমার (তিন জেলারই) প্যান্ডেল ভরে যায়।
শুক্রবার ইজতেমা প্যান্ডেলে তিন জেলার বৃহৎ জুমার নামাজের জামাত হবে বলে জানান তাবলীগ জামাতের মুরব্বিরা।
এদিকে মাঠের চারপাশের প্রবেশ পথে নিরাপত্তার জন্য পুলিশ বক্সসহ নিরাপত্তার বিভিন্ন ব্যবস্থা রয়েছে। জেলা সিভিল সার্জন অফিসের পক্ষ থেকে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প, মেসওয়াক, টুপি, তসবীহ, জায়নামাজসহ আরও অনেক ধরনের দোকান বসেছে।
ইজতেমা মাঠের তাবলিগ জামায়াতের জিম্মাদার সাথীরা জানান, ইজতেমায় আল্লাহ’র দীনে সঠিক পথে চলার ওপর বয়ান করা হবে। দুনিয়া ও আখিরাতে কিভাবে কামিয়াব লাভ করা যায় ও মৃত্যুর পর বা আখেরাতের জিন্দেগি কেমন হবে- ইত্যাদি ইজতেমায় বয়ান হবে।
জেলা ইজতেমাতে বাংলাদেশিদের সাথে বিশ্বের বিভিন্ন বিদেশী জামায়াত থেকে আসা অনেক জামাত অংশ নিয়েছে। বিদেশি মেহমানদের জন্য খাস কামরা (বিশেষ কক্ষ) তৈরি করা হয়েছে।স্থানীয় শীর্ষ আলেম-ওলামায়ে কেরাম মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে পর্যায়ক্রমে বয়ান করবেন। এছাড়াও বয়ান করবেন স্থানীয় তাবলিগ জামাতের মুরব্বিরা।
(বিঃ দ্রঃ:- পর্যায় ক্রমে এই বছর মোট ৩২ জেলা নিজ নিজ জেলায় ইজতেমা করবে।বাকি ৩২ জেলা টঙ্গির বিশ্ব ইজতেমায় (১৬+১৬ =৩২ করে দুই পর্বে) অংশগ্রহণ করবে। আবার আগামীতে যারা এই বছর বিশ্ব ইজতেমায় আসবে তারা নিজের জেলায় ইজতেমা করবে।মানে প্রতি জেলা ১ বছর বিশ্ব ইজতেমা, আবার পরের বছর নিজেদে্য জেলায় ইজতেমা করবে ইনশাআল্লাহ।
একসাথে ৬৪ জেলা জায়গা না হওয়াতে ২০১৩ সাল থেকে পুরো দেশকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।সাথে প্রতি বছর বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আসা কয়েক লাখ বিদেশি মুসল্লির জন্য আলাদা ব্যবস্থা করা হয়। )
হে আল্লাহ! পুরো বাংলাদেশ এর মুসলমানদের বিশ্ববাসীর হেদায়াত এর জন্য কবুল করুন😢।আমিন।