শনিবার, ২০শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ৫ই জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি
হাজী সাহেব হুজুরের স্বপ্নগুলো যেভাবে বাস্তবায়ীত হচ্ছে উত্তরসূরিদের হাতে।
গতকাল বান্দরবান ইসলামী শিক্ষাকেন্দ্রের পার্শ্ববর্তী গ্রাম বনরূপার হিন্দু পাড়ায় হঠাৎ আগুন ধরে যায়। মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে আশপাশে। গ্যাসের সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়ে আরো ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। আগুনের সংবাদ পেয়ে ইসলামী শিক্ষকেন্দের সকল ছাত্র-শিক্ষক ছুটে যায় ঘটনাস্থলে। তারা প্রাণপণ চেষ্টা চালাতে থাকে। ফায়ার সার্ভিস আসতে কালক্ষেপন হওয়ায় আগুন নিয়ন্ত্রণ আনা সম্ভব হচ্ছিল না। পরে ফায়ার সার্ভিস আসলেও পানির সংগ্রহে ব্যাপক সমস্যা দেখা দেয়। পরে কিছুটা দূরে অবস্থিত ইসলামী শিক্ষাকেন্দ্রের পুকুর থেকে পানির লাইন নেয়া হয়। তাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়।
এরই মধ্যে চারটি ঘর পুড়ে একেবারে ভস্ম হয়ে যায়। এবং আরো ভয়াবহ রূপ ধারণ করে আশপাশের ঘরগুলোতেই ছড়িয়ে পড়ছিল। তবে বান্দরবান মাদরাসার ছাত্র-শিক্ষক, এলাকার মানুষ ও ফায়ার সার্ভিসের যৌথ প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
অতঃপর মাগরিবের পর মাদরাসার শিক্ষকগণ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আসেন এবং তাদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন। রাতে খাবার পৌঁছে দেয়ার ইচ্ছা থাকলেও পৌরসভা থেকে খাবার পাঠাবে বলায় পরবর্তী সিদ্ধান্ত পাল্টিয়ে আজ দুপুরের খাবার বিতরণ করা হয় তাদের মধ্যে।
দুর্ঘটনায় শিক্ষাকেন্দ্রকে এভাবে পাশে পেয়ে তারা আশ্বস্ত বোধ করে। এবং শিক্ষকগণ জানিয়ে আসেন শুধু আজ একবার নয় আমরা বারবার আসবো। আপনাদের পাশে থাকবো । ইসলাম মানবতার শিক্ষা দেয়। ইসলাম হিন্দু-মুসলিম সম্প্রীতির কথা বলে।
অগ্নিদগ্ধের শিকার রাজু দাশ বলে,আমাদের বিপদে প্রথমে ইসলামী শিক্ষাকেন্দ্রকে পাশে পেয়েছি। আমরা জাতিগত হিন্দু হওয়া সত্ত্বেও আপনারা যে আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন তাতে আমাদের মন অনেক বড় হয়ে গেছে।
ইসলামী শিক্ষাকেন্দ্রের পক্ষ থেকে বলা হয় এ মাদরাসাটি প্রতিষ্ঠাই হয়েছে এসব কার্যক্রমের জন্য। বিপদগ্রস্ত মানুষের পাশের দাঁড়ানোই হলো ইসলামের আসল শিক্ষা। আমাদের মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা আল্লামা হাজী ইউনুস সাহেব রহ. এর উদ্দেশ্যই ছিল এমন।
ইসলাম মানবতার কথা বলে। ইসলামই মানবতা, মানবতাই ইসলাম।