শুক্রবার, ১৪ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৭শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
৩,৩৫৪ views | আগস্ট ২, ২০১৭ | ৫:২০ অপরাহ্ণ | অমুসলিমদের দাওয়াতি বই, মুফতি যুবায়ের আহমাদ, |
Author: মুফতি যুবায়ের আহমাদ
Publisher: হিলফুল ফুজুল
Publish Date: 01-Jun-2011
Size: 1 MB
Number of pages: 315
Price: 100 BDT
ইসলাম প্রচারের ইতিহাস; নির্মম জুলুম-নির্যাতনের ইতিহাস। নিষ্ঠুর অত্যাচার নিপীঁড়নের ইতিহাস। ইসলাম গ্রহণের পথে ঈমান আনয়নের পথে অধিকাংশকেই এপথ মাড়াতে হয়েছে। এপথ না পেরিয়ে কেউ তার আকাক্সিক্ষত মনযিল জান্নাতুল ফেরদাউসে পৌঁছতে পারেনি। আল্লাহর নৈকট্য লাভে সক্ষম হয়নি। হযরত আবু বকর রা.কে নির্যাতন সইতে হয়েছে। হযরত উসমান গণি (রা.)-কে নিপীঁড়ন বরদাশত করতে হয়েছে। হযরত বেলাল (রা.) ও হযরত খাব্বাব ইবনুল আরাত (রা.)কে অসহনীয় নির্যাতন ভোগ করতে হয়েছে। সাহাবী আম্মার (রা.)কে নির্মম নির্যাতন-নিপীঁড়ন সইতে গিয়ে তাঁর পিতা ইয়াসির ও মা সুমাইয়া (রা.)-কে কাফেরদের হাতে নির্মমভাবে শাহাদতবরণ করতে হয়েছে। শাহাদত বরণ করতে হয়েছে আরও অনেককে। হযরত খুবাইব ও হযরত যায়দ ইবনে দাছানা (রা.)কে শূলী কাষ্ঠে আরোহণের মাধ্যমে কাফেরদের নিক্ষিপ্ত তীরের আঘাতে জর্জরিত হয়ে শাহাদতবরণ করতে হয়েছে। এ ইতিহাস যেমন করুণ ও বেদনাদায়ক, তেমনি দীর্ঘ। তবে এও সত্য যে, এসব নির্যাতন-নিপীঁড়ন বৃথা যায়নি। হযরত ওমর (রা.)-এর বোন ফাতিমা বিনতে খাত্তাব (রা.)-এর প্রহারের ফলে শরীর নিঃসৃত রক্ত আল্লাহর দরবারে কেবল তাঁর মর্যাদা বৃদ্ধিরই কারণ হয়নি, ওমর-এর মত বীর কেশরীর হেদায়াত লাভেরও মাধ্যম হয়েছিল। হযরত খুবাইব (রা.)-এর শাহাদাত লাভ হযরত সাঈদ ইবনে আমের-এর ইসলাম গ্রহণের উছিলা হয়েছিল। এরূপ অনেকের ইসলামের জন্য নিপীঁড়ন ভোগ যে আরও অসংখ্য লোকের ঈমান নসিবের কারণ ছিলো তাই বা কে অস্বীকার করবে? আলোর পথে সিরিজের প্রথম পুস্তিকায় ইসলাম গ্রহণের জন্য এমনই নির্যাতিতা ও নিপীড়িতা, অবশেষে শাহাদতপ্রাপ্তা এক কিশোরীর বেদনাদয়ক চিত্র পেশ করা হয়েছিল। তাতে এও বিবৃত হয়েছিল যে, তাঁর সেই আত্মদানও বৃথা যায়নি। তাঁর সেই আত্মদানই অবশেষে তাঁর ঘাতক পিতা ও পিতৃব্যসহ গোটা পরিবারের ইসলাম গ্রহণের উসিলায় পরিণত হয়েছিল। সিরিজের বর্তমান পুস্তকেও ইসলাম গ্রহণে সৌভাগ্যবান কয়েকজন আল্লাহর বান্দার সাক্ষাৎকার প্রকাশিত হয়েছে। তন্মধ্যে একটি সাক্ষাৎকারে এমন দু’জনের কথাও বিবৃত হয়েছে, যারা ভারতের বুকে অবস্থিত অযোধ্যার ঐতিহাসিক বাবরী মসজিদ শাহাদতে নেতৃত্ব দিয়েছিল এবং এর ধ্বংসে কোদাল হাতে তুলে নিয়েছিল। আল্লাহর ঘর ধ্বংসে নেতৃস্থানীয় ভূমিকা পালনকারী আমাদের জানা মতে, এ পর্যন্ত ছ’জন ইসলাম গ্রহণের সৌভাগ্য লাভ করেছেন। আর এ ধরনের হতভাগা ও পাপিষ্ঠ লোকেরাই যদি ইসলাম গ্রহণের সৌভাগ্য থেকে মাহরূম না হন, তাহলে এদের তুলনায় হৃদয়বান লোকদের হেদায়াত লাভের ব্যপারে আমরা নিরাশ হবো কেন? তাই আজ প্রয়োজন ইসলামের প্রচার-প্রসারে দীনের দাওয়াত ও তাবলীগের পেছনে নিরলস শ্রম ও মেহনত, অব্যাহত প্রয়াস ও প্রয়োজনীয় কুরবানী। আল্লাহর যমিনের কোটি কোটি বান্দা আজ আল্লাহ প্রদত্ত হেদায়াতের মুহতাজ। আমাদের মনে রাখতে হবে, হেদায়াতের বাণী, দীনের পয়গাম পাওয়া তাদের অধিকার। আর এই বাণী ও পয়গাম তাদের কাছে পৌঁছানোর যিম্মাদার আমরা। অতঃপর তা গ্রহণ করা না করা তাদের এখতিয়ার। এই দায়িত্ব ও যিম্মাদারী আদায়ে আবহেলার কারণে যদি আল্লাহর একজন বান্দাও হেদায়াত থেকে বঞ্চিত হয়ে জাহান্নামী হয়, তবে সেজন্য কাল কেয়ামতে আল্লাহর মহা দরবারে আমাদেরকে পাকড়াও হতে হবে। তার সামনে জওয়াবদিহি হতে হবে। বর্তমান পুস্তিকা সংকলন ও প্রকাশের পেছনে এর সংকলক মুফতী যুবায়ের আহমদ এবং এর প্রকাশক জনাব তালাত মোহাম্মদ তৌফিকে ইলাহীর উপরোক্ত লক্ষ্যই কাজ করছে। এঁরা উভয়েই আমার পরম স্নেহভাজন। মেহেরবান মালিকের দরবারে একান্ত মুনাজাত, আল্লাহ! তুমি এঁদের শ্রম কবুল করো এবং আমাকেও এদের সাথী হবার তৌফিক দান করো। সেই সাথে এর পাঠককেও এই দায়িত্ব পালনে উৎসাহিত ও অনুপ্রাণিত হতে সাহায্য করো। আর সাহায্য ও তৌফিক দানের মালিক একমাত্র তো তুমিই।
যুবায়ের আহমদ
ইসলামী দাওয়াহ ইনস্টিটিউট
মান্ডা শেষ মাথা, মুগদা, ঢাকা-১২১৪
Submit your review | |
অস্থির একটা বই, এটা আমি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়েছি, গায়ের লোম দাড়াইয়া যায়, কত কষ্ট করেছে এরা ইসলামের জন্য, আর আমরা কি করেছি 🙁 আবার অনেকেই আমাদের প্রিয় নবী হযরত মোহাম্মাদ (সঃ) এর সাথেও স্বপ্ন যোগে দেখার সৌভাগ্যও অর্জন করেছেন, কিন্তু আফসোস, আজ পর্যন্ত আমার এই সৌভাগ্য হলো না :'(