রবিবার, ৩১শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১২ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
২,৪১৩ views | আগস্ট ৩, ২০১৭ | ৫:০১ পূর্বাহ্ণ | অমুসলিমদের দাওয়াতি বই, মুফতি যুবায়ের আহমাদ, |
Author: মুফতি যুবায়ের আহমাদ
Publisher: হিলফুল ফুজুল
Publish Date: 01-May-2014
Size: 344 KB
Number of pages: 32
Price: 15 BDT
সকল প্রশংসা সেই মহান আল্লাহর, যিনি আমাদেরকে মুসলমান বানিয়েছেন। দরুদ ও সালাম বর্ষিত হোক আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর। আল্লাহ তা‘আলা যুগে যুগে অসংখ্য নবী-রাসূলদের পাঠিয়েছেন, আল্লাহভোলা বান্দাদেরকে আল্লাহর সাথে সম্পর্ক করে দিতে। প্রত্যেক নবী নিজেই এই কাজ করতেন। তাদের উম্মতের উপর এই দায়িত্ব ন্যস্ত হতো না। কিন্তু শেষ নবী হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তার উম্মতদের এই দায়িত্ব দিয়ে গেছেন। বিশেষ করে উলামায়ে কেরামকে। কারণ, তারা হলো সেই নবীর ওয়ারিস।
সকল মুসলমান দা‘য়ী ছিল, যেদিন থেকে তারা নিজ দাওয়াতী দায়ীত্ব ছেড়ে দিয়েছে। তখন এই দা‘য়ী জাতি মাদউতে পরিণত হয়েছে। এখানে তার কয়েকটি উদাহরণ সংক্ষেপে তুলে ধরছি, যা বাস্তব সত্য, আমার চোখে দেখা ঘটনা। আমরা গিয়েছিলাম লালমনির হাট জেলার আদিদমারি থানার গুপদা ইউপি. তে সেখানে গিয়ে দেখলাম মসজিদের খতিব খ্রিস্টান। মুসলিমবেশে খ্রিস্টান ধর্মের দাওয়াত দেয়। আমরা গিয়েছিলাম জামালপুর জেলার মাদারগঞ্জ থানার তেঘুরিয়া ইউপি.র কয়লাকান্দিগ্রামে সেখানে মুসলমানদের গ্রামে খ্রিস্টানদের গির্জা গড়ে উঠেছে। বহু মুসলমান খ্রিস্টান হয়েছে। অনেকেরই সাথে দেখা হয়েছে, অনেকেই আবার দাওয়াতের ফলে তওবা করেছে। গিয়েছিলাম মানিকগঞ্জ জেলার সদর থানার সানবান্দা গ্রামে সেখানে এক পীর সাহেব খ্রিস্টান, যার নাম তুরাব আলী পীর, ঝিনাইদাহ গিয়ে দেখা হল আর এক মুরতাদের সঙ্গে যিনি একসময় পীর ছিলেন। দিনাজপুর জেলার পারবতীপুর থানায় গিয়ে দেখলাম মুন্সিবাড়ীর লোকজন খ্রিস্টান। সেখানে আবার দেখা হল ‘শিবে’ নামে এক বিদেশীর সাথে, যিনি ২০০২ সাল থেকে সস্ত্রীক ধর্মান্তরের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এমন এক ‘শিবে’ নয় আরো বহু বিদেশী মুসলমানদের খ্রিস্টান বানাচ্ছে।
সেদিন গেলাম ঢাকার মোঃ পুরের আসাদ গেইট গির্জায় সেখানে দেখা হল ফাদার সিলভানো গারেল্লোর সাথে। তিনি ১৯৭০ সালে বাংলাদেশে এসেছেন। বাংলা ভাষা শিখেছেন, বিয়াল্লিশটির অধিক বই রচনা করেছেন, মুসলমানদের খ্রিস্টান বানানোর জন্য। তার কাছ থেকে একটি ছবি সংগ্রহ করলাম, যার ছবি তিনি হলেন ফাদার এনজে কার্বা পিমে। ইতালি তার জন্মস্থান। ১৯৫৮ সালে বাংলাদেশে খ্রিস্টধর্ম প্রচার করতে এসেছে; এসেই চলে গেছে ঠাকুরগাঁও জেলার একটি ইউনিয়ন দূর্গম এলাকা রুহিয়াতে। সর্বশেষ পুরো জীবন মুরতাদ বানাতে বানাতে দিনাজপুর জেলার বীরগঞ্জ থানার সিংড়া বনের ভিতরে একটি চার্চ আছে সেখানেই সে জীবনের শেষ নিঃস্বাস ত্যাগ করেছে।
এমন আরো বহু ঘটনা আছে যার আমি নিজে প্রত্যক্ষদর্শী, লিখতে গেলে একটি বই রচনা হয়ে যাবে। যা হোক, এসবের কি কারণ? এর কারণ হল আমরা আমাদের দায়িত্বকে ছেড়ে দিয়েছি। ফলে দা‘য়ী জাতি মাদউতে পরিণত হয়েছে, আজকে খ্রিস্টানরা ইসলামী নাম নিয়ে মুসলিম পরিভাষা ব্যবহার করে মুসলমানদের ধর্মান্তর করছে। এ বিষয়ে আমরা উদাসিনতায় সময় পার করছি। ফিকির করছি না। আল্লাহ আমাদের সেই ফিকির করার তৌফিক দান করুন।
সেই ধারাবাহিকতায় আমার স্নেহের ছাত্র, মাওলানা ওমর ফারুক তার ক্ষুদ্র প্রচেষ্টায় এই পুস্তকটি রচনা করেন। বইটি মূলত: খ্রিস্টানদের বাইবেল ও তাদের ধর্ম সম্পর্কে বাস্তবতা ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছে। এই যুগে এই বইটি প্রতি মানুষকে পড়া খুবই জরুরী মনে করছি। কারণ, খ্রিস্টান মিশনারীরা সেবার নামে কুরআনের অপব্যাখ্যা করে যেভাবে ধর্মান্তরিত করছে, মানুষকে চিরস্থায়ী জাহান্নামে নিক্ষেপ করছে, হাজারো মানুষকে পথভ্রষ্ট করছে, এই বই উভয় শ্রেণির মানুষের জন্য উপকারী হবে বলে আমি আশা করি। দু‘আ করি আল্লাহ তা‘আলা লেখক, পাঠক সকলকেই কবুল করুন এবং লেখকের কলম ও যবানকে দাওয়াতের জন্য কবুল করুন। আমীন।
যুবায়ের আহমদ
ইসলামী দাওয়াহ ইনস্টিটিউট
মান্ডা শেষ মাথা, মুগদা, ঢাকা-১২১৪
Submit your review | |