শুক্রবার, ২১শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৪ঠা জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
১,০৩৮ views | সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২০ | ১২:১৫ অপরাহ্ণ | অমুসলিমদের দাওয়াতি বই, মুফতি যুবায়ের আহমাদ, |
Author: মুফতি যুবায়ের আহমাদ
Publisher: হিলফুল ফুজুল
Publish Date: এপ্রিল,২০১৬
Size: 715KB
Number of pages: 22
Price: 20
সমস্ত প্রশংসা সেই মহান আল্লাহ তাআলার যিনি আমাদেরকে কোনো ধরনের আবেদন ছাড়াই ইসলামের মহান দৌলত দান করেছেন। লক্ষ কোটি দরুদ ও সালাম মানবতার মুক্তির দূত, রহমাতুল্লিল আলামীন, সাইয়েদুল মুরসালীন দুজাহানের সরদার হযরত মুহাম্মাদ মুস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ওপর ও তাঁর পরিবার পরিজনের ওপর, রহমত বর্ষিত হোক ইসলামের জন্য জান উৎসর্গকারী তাঁর প্রিয় সাহাবাদের ওপর।
একদিন দেখা করতে গেলাম উম্মতের দরদী রাহবারে মিল্লাত হযরত মাওলানা নূর হোসাইন কাসেমী দা. বা. এর সাথে। কিছু কারগুজারী শোনালাম। হুজুর খুব দুআ দিলেন, সাথে একটি পরামর্শও দিলেন। বললেন, বিভিন্ন স্থানে তোমার সাথে যে সব মুনাজারা বা দাওয়াতি আলোচনা হয় এগুলো, ছোট ছোট বই আকারে প্রকাশ কর। তাতে অনেকের ফায়দা হবে এবং দা‘য়ীদের জন্য পাথেয় হিসেবে কাজ করবে। হুজুরের হুকুম পালন করার চেষ্টা করলাম। কিন্তু সময় সুযোগ হচ্ছিল না। যাক, ভারতের সফরে কিছু সময় পেয়েছিলাম, সেই সুযোগে চেষ্টা করলাম পাঠকদের কাছে একটি কারগুজারী তুলে ধরি। ৪/১/১৬ তারিখে হযরত মাওলানা কালিম সিদ্দিকী দা. বা. এর বাসায় বসে এই পুস্তিকাটি লেখা শুরুর তৌফিক হয়েছে।
পুস্তিকাটিতে জামালপুরের জাহাঙ্গির খালেদ (লেবু) ডাক্তারের কাহিনীই মূলত আলোচনা করা হয়েছে। এই লেবু ডাক্তার খ্রিস্টানদের একজন বড় দা‘য়ী ছিলেন। প্রায় ৩০ হাজার মুসলমান তার মাধ্যমে খ্রিস্টান হয়েছে। ৬টি জেলায় দাওয়াতি কাজ করেছেন। তাকে দাওয়াত দেয়ার পর ইসলাম গ্রহণ করেন। পরবর্তী সময়ে তাকে জেলেও যেতে হয়। আল্লাহ তাকে জান্নাতের উচ্চ মাকাম দান করুন। তাকে কীভাবে দাওয়াত দেয়া হলো এসব বিষয়েই মূলত এই পুস্তিকাটিতেই আলোচনা করা হয়েছে।
পুস্তকটি লিখতে অনেকই সহযোগিতা করেছেন। আল্লাহ তাআলা সবাইকেই কবুল করুন এবং এই পুস্তিকাটি দ্বারা মানুষের উপকার দান
করুন। আমিন।