বৃহস্পতিবার, ১০ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৯শে মহর্রম, ১৪৪৬ হিজরি
Admin | ৫৬২ views | অক্টোবর ১৮, ২০১৯ | অমুসলিমদের প্রশ্নোত্তরমুসলিমদের প্রশ্নোত্তর | ২:১৭ অপরাহ্ণ
আসুন, আমরা একটু ভাবি, অমুসলিম সম্প্রদায় আমাদের সাথে যে শত্রুতা পোষোণ ও অত্যাচার করে, তা তিন প্রকার। অমুসলিমদের পক্ষ থেকে আমাদের ওপর অবমাননাকর বা উগ্র কথা বার্তা। যা আমাদের কানে আসে বা চোখে পড়ার কারণে অন্তর ব্যথিত হয়। তাদের আচরণে আমরা কষ্ট পাই বা আমাদের মন ভাঙে। এর বিনিময়ে আমরা আল্লাহর নৈকট্য লাভ করি। হাদিস শরিফে আছে প্রতিটি বস্তুর মূল্য তত বৃদ্ধি পায়।
দ্বিতীয়টি হচ্ছে, শারীরিক কষ্ট। বিভিন্ন ধরণের দাঙ্গা হাঙ্গামা আমাদেরকে শারীরিকভাবে কষ্ট দেয়। এর ফল কি দাঁড়ায়? হাদিসের এসেছে মুমিনের গায়ে কাঁটা বিঁধলে এর প্রতিদানে তার একটি গুনাহ মাফ হয়, একটি নেকী যোগ হয়। মর্যাদার সিঁড়ি এক ধাপ বৃদ্ধি পায়। একটি কাঁটা যখন এতো লাভ তখন এতসব কষ্টের বিনিময়ের তো হিসাব করে শেষ করা যাবে না। আর যখন এসব কষ্ট কেবল মুসলমান হওয়ার কারণে, আমাদেরকে দেওয়া হয়। এর বিনিময় কী হবে তা আল্লাহ তাআলাই ভালো জানেন।
তৃতীয় এবং চূড়ান্ত পর্যায়ের শত্রুতা হচ্ছে, মুসলিম হওয়ার কারনে আমাদেরকে হত্যা করে। শহীদ করে দেয়। চিন্তা করুন শাহাদাত কত বড় সম্মানের বিষয়। আল্লাহ তাআল বলেন-
وَلَا تَقُولُوا لِمَنْ يُقْتَلُ فِي سَبِيلِ اللهِ أَمْوَاتٌ بَلْ أَحْيَاءٌ وَلَكِنْ لَا تَشْعُرُونَ
আল্লাহর পথে যারা নিহত হয় তাদেরকে মৃত বলিও না। বরং তারা জীবিত, কিন্ত তোমরা উপলব্ধি করতে পারবে না।
বোঝাগেল তাদের শত্রুতায় আমাদের মনে আঘাত লাগে। এতে আল্লাহর নৈকট্য লাভ হয়। তাদের নিপীড়নে আমাদের পাপ মোচন হয়। নেকি লেখা হয়। আর জান্নাতে সম্মান আরো বৃদ্ধি পায়। সর্বোচ্চ শাহাদাতের গৌরব লাভ হয়।
এর বিপরীতে মুসলিম জাতিকে শ্রেষ্ঠ জাতির মর্যাদা দান করে যেন তাদেরকে ইসলাম নামক দুর্গের সংবর্ধনা কমিটির দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে। তাদের আবির্ভাবের উদ্দেশ্যই হল, লোকদেরকে ইসলামের সুরক্ষিত ও নিরাপদ দুর্গের প্রতি দাওয়াত দেবে।
আমরা তো আমাদের আকৃতি, স্বভাব চরিত্র, লেন-দেন, আচার ব্যবহার এতটা ভীতিপ্রদ অদ্ভত এবং বিশ্রী করে রেখেছি যে, কুফর ও শিরকের ভ্রষ্টতা ও পেরেশানিতে ঘাবড়ে গিয়ে কোনো ব্যাক্তি যখন ইসলামের শাশ্বত সত্যের ছায়াতলে আশ্রয় নিতে চায়। তো আমাদের আখলাক- চরিত্র দেখে ফিরে যায়। আমাদের আচরণ তাদের ইসলাম থেকে বঞ্চিত হওয়ার কারণ হয়। অন্য দিকে অমুসলিমরা আমাদের চির মুক্তি ও জান্নাতের যাওয়ার মাধ্যম হয়। আর আমরা হই তাদের ইসলাম ও জান্নাত থেকে বঞ্চিত হওয়ার মাধ্যম। এবার ইনসাফের সাথে বলুন জালেম কারা? তারা না আমরা। তাদের হক তাদের কাছে না দেওয়ার কারণে তারা মাজলুম। আর আমরা হলাম জালেম। আর আল্লাহর সাহায্য থাকে মাজলুমের সাথে। জুলুমের প্রতিকার হলো হকদারের হক আদায় করে দেওয়া।
মোট কথা তাদের হক আদায় না করার কারণে আমরা জালিম। আর অমুসলিমরা হলো মাজলুম। আসুন আমরা জালিমের খাতা থেকে নাম কাটিয়ে নিই। আর অমুসলিমদের হক আসলাম তাদের কাছে পৌঁছিয়ে দিই।