শনিবার, ১৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৮শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
Admin | ৫২৬ views | ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৯ | খৃষ্টবাদ | ১২:১১ পূর্বাহ্ণ
তাদের দলিল:
– قُلْ يَا أَهْلَ الْكِتَابِ لَسْتُمْ عَلَى شَيْءٍ حَتَّى تُقِيمُوا التَّوْرَاةَ وَالْإِنْجِيلَ وَمَا أُنْزِلَ إِلَيْكُمْ مِنْ رَبِّكُمْ وَلَيَزِيدَنَّ كَثِيرًا مِنْهُمْ مَا أُنْزِلَ إِلَيْكَ مِنْ رَبِّكَ طُغْيَانًا وَكُفْرًا فَلَا تَأْسَ عَلَى الْقَوْمِ الْكَافِرِينَ
অর্থঃ বলুন হে আহলে-কিতাবগণ, তোমরা কোনো পথের উপরই না, যে পর্যন্ত না তাওরাত-ইঞ্জিল ও তোমাদের রব হইতে অবতীর্ণ কিতাবের অনুসরণ কর, বস্তুতঃ তোমার রব হইতে অবতীর্ণ বিষয়সমূহে অনেকের অবাধ্যতা ও কুফরি বৃদ্ধির কারণ হয়। তাই, তুমি এই কাফের দলের প্রতি আদৌ দুঃখিত হইও না।
সঠিক ব্যাখ্যা :
হে আহলে কিতাবগণ! আমার রাসূল তোমাদের কাছে এসেছেন, তোমরা কিতাবের যা গোপন করতে তিনি তার অনেক কিছু তোমাদের কাছে প্রকাশ করেন এবং অনেক কিছু উপেক্ষা করে থাকেন।
এখানে ”আহলে কিতাবগণ” দ্বারা ইহুদী-খ্রিস্টান উদ্দেশ্য। কুরআন স্পষ্ট করে দিয়েছে যে, ইহুদী-খ্রিস্টানরা তাদের গ্রন্থ পরিবর্তন করেছে। এখানে আহলে কিতাব দ্বারা ইহুদী-খ্রিস্টানদের বুঝানো হয়েছে তারা যে তাওরাত ইঞ্জিলের অনেক বিষয়াদী গোপন করেছে এবং করেই চলছে কুরআন তাও স্পষ্ট করে দিয়েছে। যেমন, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর প্রতি ঈমান আনা, তাঁর সঠিক গুণাবলী বর্ণনা করা, রজমের আয়াত গোপন করা ইত্যাদি। হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর শেষ নবী হওয়ার ব্যাপারে ঈসা আ. যেই সুসংবাদ প্রদান করেছেন ইত্যাদি বিষয়াদী তারা তাওরাত-ইঞ্জিল থেকে গোপন করেছে। আর বিশ্বনবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শুধুমাত্র দ্বীনের সাথে সম্পৃক্ত বিষয়াদী ও তাঁর সত্য নবী হওয়ার ব্যাপারে প্রমাণ বহন করে, সে সমস্ত বিষয়াদী তারা তাওরাত-ইঞ্জিল থেকে গোপন করেছে। যা এ সমস্ত বিষয় তিনি বর্ণনা করেছেন।
যেভাবে অপব্যাখ্যা করে:
এই আয়াতে তারা তিন ভাবে অপব্যাখ্যা করে
১. আয়াতের নির্দেশ মোতাবেক তাওরাত-ইঞ্জিল ও কুরআন শরীফ অনুসরণ করতে হবে। মুসলমান হিসেবে কুরআনের আদেশ বাস্তবায়ন করতে হবে।
২। উপরোক্ত আয়াতের আলোকে আমরা যদি লক্ষ্য করি, তাহলে দেখব ‘অনুসরণ’ কাজটি বর্তমান কাল, অর্থাৎ উক্ত কিতাবে যাহা আছে তাহা সর্ব সময় আমল করিতে বলা হয়েছে। ”
৩। এই আয়াতে আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন, قُلْ يَا أَهْلَ الْكِتَابِ لَسْتُمْ عَلَى شَيْءٍ حَتَّى تُقِيمُوا التَّوْرَاةَ وَالْإِنْجِيلَ হে আহলে-কিতাবগণ, যতক্ষণ পর্যন্ত তোমরা তাওরাত-ইঞ্জিল প্রতিষ্ঠিত না করবে, ততক্ষণ পর্যন্ত তোমাদের কোনো ভিত্তি নেই।” অতএব, মুসলমানদেরকে তাওরাত-ইঞ্জিল প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
উত্তর:
১. প্রথম দাবি, পূর্বের কিতাব অর্থাৎ “তাওরা-ইঞ্জিল” অনুসরণ করতে হবে। এই দাবির পক্ষে খ্রিস্টান প্রচারকগণ আয়াতের যেই অনুবাদ করেছে, তা সম্পূর্ণ ভুল। কারণ, এই আয়াতে কোথাও অনুসরণ করতে বলা হয়নি। তারা নিজেদের পক্ষ থেকে অনুসরণ শব্দটি যোগ করেছে। অতএব, ‘অনুসরণ’ করার যে দাবি তারা করেছিল তা নিতান্ত মনগড়া অনুবাদ। ধোঁকাবাজি ছাড়া আর কিছুই না।
২. তারা ব্যাখ্যা করেছেÑ‘অনুসরণ’ শব্দটি বর্তমান কাল…..’। তাদের এই ব্যাখ্যাটিও একেবারেই মনগড়া ও ভিত্তিহীন। এবার খ্রিস্টানভাইদের প্রতি আমার জিজ্ঞাসা আপনারা তো তাফসীর ও হাদিস মানেন না। বলে থাকেন কুরআন থাকতে ব্যাখ্যা কিসের?
আপনারা উপরোক্ত আয়াতের ব্যাখ্যা কিসের ভিত্তিতে করলেন? কোথায় পেলেন এই ব্যাখ্যা? আর কত দিন এভাবে ভুল অনুবাদ ও অপব্যাখ্যা করে মানুষকে জাহান্নামের পথ দেখাবেন? আসুন! ভুল ব্যাখ্যা বাদ দিয়ে সত্য জানুন। ইসলাম গ্রহন করুন। জান্নাতের পথে চলুন।
৩. উপরোক্ত আয়াতের ব্যাখ্যা করতে গিয়ে খ্রিস্টান প্রচারকগণ লিখেছেন, ‘উক্ত আয়াত অনুযায়ী মুসলমানদেরকে কুরআনের আদেশ বাস্তবায়ন করতে হবে অর্থাৎ তাওরাত-ইঞ্জিল অনুসরণ ও মানতে হবে।’ তাদের এই ব্যাখ্যাটিও সম্পূর্ণ মনগড়া।
এ পর্যায়ে খ্রিস্টানভাইদেরকে দাওয়াত দিতে চাই, ভাই! আপনি এসব মনগড়া ব্যাখ্যা বাদ দিয়ে ইসলাম গ্রহণ করুন। কারণ, ইসলাম-ই হলো আল্লাহ তা‘আলা পাকের নিকট একমাত্র মনোনীত ধর্ম। দেখুন, আল্লাহ তা‘আলা বলেন:-
إِنَّ الدِّينَ عِنْدَ اللَّهِ الْإِسْلَامُ وَمَا اخْتَلَفَ الَّذِينَ أُوتُوا الْكِتَابَ إِلَّا مِنْ بَعْدِ مَا جَاءَهُمُ الْعِلْمُ بَغْيًا بَيْنَهُمْ وَمَنْ يَكْفُرْ بِآَيَاتِ اللَّهِ فَإِنَّ اللَّهَ سَرِيعُ الْحِسَابِ (১৯)
অর্থ: নিঃসন্দেহে আল্লাহ তা‘আলা ্র নিকট গ্রহণযোগ্য ধর্ম একমাত্র ইসলাম এবং যাদের প্রতি কিতাব দেয়া হয়েছে তাদের নিকট প্রকৃত জ্ঞান আসার পরও ওরা মতবিরোধে লিপ্ত হয়েছে, শুধুমাত্র পরস্পর বিদ্বেষবশতঃ যারা আল্লাহ তা‘আলা ্র নিদর্শন সমূহের প্রতি কুফরী করে তাদের জানা উচিত যে, নিশ্চিতরূপে আল্লাহ তা‘আলা ্ হিসাব গ্রহণে অত্যন্ত দ্রুত।
وَمَنْ يَبْتَغِ غَيْرَ الْإِسْلَامِ دِينًا فَلَنْ يُقْبَلَ مِنْهُ وَهُوَ فِي الْآَخِرَةِ مِنَ الْخَاسِرِينَ .
যে কেউ ইসলাম ছাড়া অন্য কোনো ধর্ম তালাশ করে, কস্মিনকালেও তা গ্রহণ করা হবে না এবং আখেরাতে সে হবে ক্ষতিগ্রস্ত।
আপনি খ্রিস্টধর্ম ছেড়ে দিন। যেহেতু আল্লাহ তা‘আলারনিকট ইসলাম-ই হলো একমাত্র মনোনীত ধর্ম। আপনি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করুন। কারণ, ইসলাম ছাড়া আর কোনো ধর্র্ম আল্লাহ তা‘আলারনিকট গ্রহণযোগ্য নয়। কুরআনের নির্দেশ মানতে গিয়েই আপনাকে মুসলমান হওয়ার দাওয়াত দিচ্ছি।
আরো শুনে রাখুন, আল্লাহ তা‘আলা আপনাকে কী বলেন।-
قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ (১) اللَّهُ الصَّمَدُ (২) لَمْ يَلِدْ وَلَمْ يُولَدْ (৩) وَلَمْ يَكُنْ لَهُ كُفُوًا أَحَدٌ
অর্থঃ বলুন, তিনি আল্লাহ তা‘আলা, এক। ২.আল্লাহ তা‘আলা অমুখাপেক্ষী। ৩. তিনি কাউকে জন্ম দেননি এবং কেউ তাকে জন্ম দেয়নি। ৪. এবং তাঁর সমতুল্য কেউ নেই।
অর্থাৎ. আপনি একত্ববাদকে গ্রহণ করুন। ত্রিত্ববাদ পরিত্যাগ করুন। আপনি যদি মুরতাদ হয়ে থাকেন অর্থাৎ মুসলমান থেকে খ্রিস্টান হয়ে থাকেন, তাহলে ইসলামে ফিরে আসুন। আপনি টাকার লোভে পড়ে তাদের শিখানো কিছু বুলি শিখে, মানুষকে ভুল ধর্মের দিকে দাওয়াত দিচ্ছেন। ফলে, আপনার দুনিয়া ও আখেরাত সবকিছুই নষ্ট করছেন। আমি চাই না আপনি আমার ভাই হিসেবে চিরস্থায়ী জাহান্নামী হোন। চাই না আপনি তপ্ত আগুনে জ্বলুন।
৪. উল্লিখিত আয়াতে يَا أَهْلَ الْكِتَابِবলে আহলে কিতাবদেরকে সম্বোধন করা হয়েছে। (যাদেরকে পূর্বে কিতাব দান করা হয়েছে) অর্থাৎ, ইহুদী-খ্রিস্টানদেরকে। মুসলমানদেরকে নয়। তাদের নিজেদেরকেই তাওরাত-ইঞ্জিল প্রতিষ্ঠার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এমন দৃষ্টান্ত কুরআনে অনেক আছে। যেমন- বলুন, হে কাফিরগণ! বলুন, হে আহলে কিতাবগণ অর্থাৎ ইহুদী-খ্রিস্টান। এমন বহু আয়াতে আল্লাহ তা‘আলা ভিন্ন ভিন্ন জাতিকে সম্বোধন করে নির্দেশ প্রদান করেছেন। এই আয়াতে সম্বোধন করা হয়েছে ইহুদী-খ্রিস্টানদেরকে ।
৫. (ক) এই আয়াতে ইহুদী-খ্রিস্টানদেরকে বলা হয়েছে, তাওরাত ও ইঞ্জিলে শেষ নবী হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সম্পর্কে যা বর্ণিত হয়েছে তা যেন প্রতিষ্ঠিত করে। অর্থাৎ মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে শেষ নবী হিসেবে মেনে নেয় ও মুসলমান হয়ে যায়।
(খ) তাওরাত-ইঞ্জিল বিকৃত ও রহিত হওয়ার পরেও যেসব বিধি-বিধান শরীয়তে মুহাম্মদীতে বিদ্যমান আছে। যেমন: একত্ববাদ ও দশ-আজ্ঞা, আল্লাহ সুবহানাহু তাআলা সেগুলি প্রতিষ্ঠা করার নির্দেশ দিয়েছেন। আমি খ্রিস্টানভাইদেরকে বলবো-আপনারা যদি এই আয়াত অনুযায়ী তাওহীদ তথা একত্ববাদ ও দশ-আজ্ঞা প্রতিষ্ঠা করতেন, র্শিক ও ব্যভিচারের শাস্তি প্রতিষ্ঠা করতেন, তাহলে মানব সভ্যতা বর্তমানে এতো অবক্ষয়ের মধ্যে পড়তো না। নি¤েœ বাইবেল থেকে কুফর-শিরক ও ব্যভিচারের শাস্তির বিবরণ তুলে ধরা হলো। আপনারা তাওরাত-ইঞ্জিলের নি¤েœর বিধানগুলো প্রতিষ্ঠা করুন।
বাইবেলে কুফর-শিরক এর শাস্তি মৃত্যুদন্ড-
বাইবেলে আছে-আর যদি ঐদিন কোনো ব্যক্তি, পুরুষ, নারী, ছোট-বড়, যে কেউ কোনো মূর্তি, প্রতিমা, ছবি প্রতিকৃতি প্রতিষ্ঠা করে, শিরক করে বা শিরকের প্রচারণা করে বা প্ররোচনা দেয়, তাহলে তাকে পাথরের আঘাতে হত্যা করতে হবে। এমনকি যদি কোনো নবীও অনেক মুজেযা দেখানোর পর কোনোভাবে শিরকের প্ররোচনা দেন, তাহলে তাকেও পাথরের আঘাতে হত্যা করতে হবে। যদি কোনো জনপদবাসী শিরকে পতিত হয়, তাহলে সে গ্রামের বা নগরের সকলকে অবশ্যই হত্যা করতে হবে এবং সে গ্রামের পশু-পক্ষি হত্যা করতে হবে। গ্রামের সকল সম্পদ ও দ্রব্যাদি পুড়িয়ে ফেলতে হবে। এক্ষেত্র তওবার কোনো সুযোগ নেই।
ব্যভিচারের একমাত্র শাস্তি মৃত্যুদন্ড–
এমনকি পরনারীর প্রতি দৃষ্টিপাতকে ঈসা মসীহ ব্যভিচার বলে গণ্য করেছেন এবং উক্ত ব্যক্তিকে তার চোখ তুলে ফেলে দিতে বলেছেন। তিনি বলেন “যে কেহ কোনো স্ত্রীলোকের প্রতি কামভাবে দৃষ্টিপাত করে, সে তখনই মনে মনে তাহার সহিত ব্যাভিচার করিল। আর তোমার দক্ষিণ চক্ষু যদি তার বিঘœ জন্মায় তবে তাহা উপড়াইয়া দূরে ফেলে দাও, কেননা সমস্ত শরীর নরকে নিক্ষিপ্ত হওয়া অপেক্ষা বরং একটি অঙ্গের নাশ হওয়া তোমার পক্ষে ভালো।
অন্যত্র মহান আল্লাহ তা‘আলা বলেন
قُلْ يَا أَهْلَ الْكِتَابِ تَعَالَوْا إِلَى كَلِمَةٍ سَوَاءٍ بَيْنَنَا وَبَيْنَكُمْ أَلَّا نَعْبُدَ إِلَّا اللَّهَ وَلَا نُشْرِكَ بِهِ شَيْئًا وَلَا يَتَّخِذَ بَعْضُنَا بَعْضًا أَرْبَابًا مِنْ دُونِ اللَّهِ فَإِنْ تَوَلَّوْا فَقُولُوا اشْهَدُوا بِأَنَّا مُسْلِمُونَ
অর্থ: বলুন, হে আহ্লে-কিতাবগণ! একটি বিষয়ের দিকে আস, যা আমাদের মধ্যে ও তোমাদের মধ্যে সমান; আমরা আল্লাহ তা‘আলা ্্ ছাড়া অন্য কারও ইবাদত করব না; তার সাথে কোনো শরীক সাব্যস্ত করব না এবং একমাত্র আল্লাহ তা‘আলাকে ছাড়া কাউকে প্রতিপালক বানাব না। তারপর যদি তারা স্বীকার না করে, তাহলে বলে দাও যে সাক্ষী থাক আমরা তো অনুগত।
এবার আমি খ্রিস্টান ভাইদেরকে বলতে চাই, “ভাই! আপনাদের প্রতি কুরআন নির্দেশ দিয়েছে। আপনারা তাওরাত-ইঞ্জিলের বিধিবিধান প্রতিষ্ঠা করবেন, তাওরাত-ইঞ্জিলের নামে শিরক ও ব্যভিচার প্রতিষ্ঠা বা প্রচারের নির্দেশ দেননি। আগে আপনারা খ্রিস্টানগণ আপনাদের ব্যক্তি, দেশ ও রাষ্ট্রগুলিতে তাওরাত-ইঞ্জিলের তাওহীদ ও বিধি-বিধান প্রতিষ্ঠা করুন। শিরক, ব্যভিচার ইত্যাদি পাপের শাস্তি প্রতিষ্ঠা করুন-যা আপনাদের কিতাব নির্দেশ দেয়। সকল খ্রিস্টান চার্চে ঈসা মসীহ, তার মাতা মরিয়ম ও অন্যান্য অগণিত মানুষের প্রতিমা বিদ্যমান। তাওরাত-ইঞ্জিলের বিধান অনুসারে এগুলো ধ্বংস করুন। যারা এগুলিকে বানিয়েছে, এগুলোতে ভক্তি বা মানত-উৎসর্গ করেছে বা উৎসাহ দিয়েছে। তাদের সকলকে মৃত্যুদ- প্রদান করুন। এরপর তাওরাত-ইঞ্জিল নিয়ে আসুন।”
আচ্ছা ভাই! আপনারা কোন তাওরাত ইঞ্জিলের কথা বলছেন? ঈসা আ.-কে আকাশে উঠিয়ে নেয়ার পর ৩০০ বছরের মধ্যে যেই ইঞ্জিল ছিল, এমন একটি ইঞ্জিল দেখাতে পারবেন কি? নিশ্চয়ই, আপনারা পারবেন না। আপনাদের পূর্ববর্তী লোকেরাও পারেনি। আরও একটি অনুরোধ রইল- আপনারা এভাবে কুরআনের অপব্যাখ্যা করবেন না। পারলে আপনাদের বাইবেল দ্বারা ধর্ম প্রচার করুন যদি আপনারা সেটাকে সঠিক বলে বিশ্বাস করেন। আপনাদের জন্য দুআ করি, আল্লাহ তা‘আলা আপনাদেরকে হেদায়াত দান করুন। ইসলাম গ্রহণ করার তৌফিক দান করুন। জাহান্নামের চিরস্থায়ী আগুন থেকে বাঁচার তৌফিক দান করুন। আমিন।