বৃহস্পতিবার, ১০ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৯শে মহর্‌রম, ১৪৪৬ হিজরি

খ্রিষ্টানদের দাবী তাওরাত, ইঞ্জিল কেউ পরিবর্তন করতে পারবে না

খ্রিস্টানদের দাবি: আল্লাহ তা‘আলার  বাণী কেউ পরিবর্তন করতে পারে না। তাওরাত, ইঞ্জিল, কিতাবুল মুকাদ্দাস আল্লাহ তা‘আলার কালাম। এইগুলো কেউ পরিবর্তন করতে পারবে না।


খ্রিস্টানদের প্রমাণঃ
لَهُمُ الْبُشْرَى فِي الْحَيَاةِ الدُّنْيَا وَفِي الْآَخِرَةِ لَا تَبْدِيلَ لِكَلِمَاتِ اللَّهِ ذَلِكَ هُوَ الْفَوْزُ الْعَظِيمُ
অর্থ: তাদের জন্য সুসংবাদ পার্থিব জীবনে ও পরকালীন জীবনে। আল্লাহ তা‘আলার কথার কখনো হের-ফের হয় না। এটাই হলো মহা সফলতা।
وَلَقَدْ كُذِّبَتْ رُسُلٌ مِنْ قَبْلِكَ فَصَبَرُوا عَلَى مَا كُذِّبُوا وَأُوذُوا حَتَّى أَتَاهُمْ نَصْرُنَا وَلَا مُبَدِّلَ لِكَلِمَاتِ اللَّهِ وَلَقَدْ جَاءَكَ مِنْ نَبَإِ الْمُرْسَلِينَ
“আপনার পূর্ববর্তী অনেক পয়গাম্বরকে মিথ্যা বলা হয়েছে। তাদের কাছে আমার সাহায্য পৌঁছা পর্যন্ত তারা নির্যাতিত হয়েছেন। তারা এতে সবর করেছেন আল্লাহ তা‘আলার বাণী কেউ পরিবর্তন করতে পারে না। আপনার কাছে পয়গাম্বরদের কিছু কাহিনী পৌঁছেছে।”
আয়াতের সঠিক তাফসীর :
আপনার পূর্বে অনেক রাসূলকে অবশ্যই মিথ্যাবাদী বলা হয়েছে; কিন্তু তাদেরকে মিথ্যাবাদী বলা ও (বিভিন্ন ধরনের) কষ্ট দেওয়া সত্ত্বেও তাঁরা ধৈর্যধারণ করেছিল যে পর্যন্ত না আমার সাহায্য তাদের নিকট এসেছে। (যার মাধ্যমে বিরোধীরা পরাজিত হয়েছে) (এমনিভাবে আপনিও ধৈর্যধারণ করুন, আল্লাহ তা‘আলার সাহায্য আপনার কাছে আসবে।) কারণ আল্লাহ তা‘আলার কথার ( সাহায্য-সফলতার ওয়াদা সমূহ) কোনো পরিবর্তনকারী নেই। (সূরা আন-আম: ৩৪)
وَلَا مُبَدِّلَ لِكَلِمَاتِ اللَّهِ
সুতরাং, ‘আল্লাহ তা‘আলার কথা’ বলতে দুনিয়া আখিরাতে সাহায্য ও সফলতার কথা বুঝানো হয়েছে।

 

  • যেভাবে অপব্যাখ্যা করে :
    খ্রিস্টানদের রচিত বই “গুনাহগারদের বেহেস্তে যাওয়ার পথ” এর ৮নং পৃষ্ঠায় এই আয়াতের অপব্যাখ্যা করেছে এভাবে
    “তাই যখন আমি বলি খ্রিস্টান, ইহুদীগণ কিতাব বদলাইয়া ফেলিয়াছে তখন আমি উপরি উক্ত আয়াত অস্বীকার করিতেছি না? আমরা যদি বলি শুধু কুরআন শরীফই আল্লাহ তা‘আলার কালাম, তখন কি আমরা আল্লাহ তা‘আলার কালামকে অস্বীকার করিতেছি না? তাওরাত, ইঞ্জিল ও কিতাবুল মুকাদ্দাস এইগুলো আল্লাহ তা‘আলার কালাম। আর আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন যে তাঁর বাণী কেউ পরিবর্তন করতে পারবে না। সুতরাং, এই গ্রন্থগুলো প্রতিষ্ঠা করতে হবে এইগুলো পরিবর্তন হয়নি।

 

  • ১নং উত্তর :
    উপরোক্ত আয়াতে কালেমা দ্বারা উদ্দেশ্য হলো-ওয়াদা (প্রতিশ্রুতি)। আয়াতের শুরুতে যেই ওয়াদা গুলো করা হয়েছে সেই ওয়াদা কেউ পরির্বতন করতে পারবে না।
    وَلَا مُبَدِّلَ لِكَلِمَاتِ اللَّهِ এই আয়াতের ব্যাখ্যায় ইবনে আব্বাস রা. বলেন: “আল্লাহ তা‘আলারবাণী কেউ পরিবর্তন করতে পারে না।” অর্থাৎ আল্লাহ তা‘আলার ওয়াদাহ সমূহ। এই ওয়াদাগুলো মজুবত করা”

 

  • ২নং উত্তর :
    খ্রিস্টান ভাইদেরকে আমি বলব, প্রথমে আপনি প্রমাণ করুন বাইবেল, কিতাবুল মুকাদ্দাস, তাওরাত-ইঞ্জিল এগুলো আল্লাহ তা‘আলার কালাম। একথা কুরআন ও বাইবেলে কোথাও নেই। তাওরাত, ইঞ্জিল, কিতাবুল মুকাদ্দাস আল্লাহ তা‘আলার কালাম একথা হলো মুসলমানদের বিভ্রান্ত করার জন্য খ্রিস্টান প্রচারকদের মনগড়া বানানো একটা কথা। যার কোনো প্রমাণ নেই। উপরি উক্ত আয়াত থেকে একথা কখনো প্রমাণিত হয় না যে, তাওরাত-ইঞ্জিল আল্লাহ তা‘আলার কালাম।

 

  • ৩নং উত্তর :
    প্রচলিত তাওরাত, ইঞ্জিল বা বাইবেল কোনটিই যেহেতু আল্লাহ তা‘আলার কালাম নয়, তাই এগুলো পরির্বতন হতেই পারে। বর্তমান তাওরাত-ইঞ্জিল ও বাইবেলে যে পরিবর্তন সাধিত হয়েছে তার অসংখ্য প্রমাণ বাইবেলে বিদ্যমান। তার কিছু প্রমাণ নি¤েœ উল্লেখ করছি।

 

  • সেগুলো থেকে মাত্র একটি প্রমাণ এখানে পেশ করছি
  • ১. কেরী বাইবেলের ভূমিকাতেই লেখা হয়েছে “গত দুইশত বৎসরে বেশ কয়েকবার এই বাইবেল সংশোধিত হয়েছে এবং প্রায় ৫০ বৎসর পূর্বে শেষ বারের মতো সংশোধিত হইয়া ছিল বলিয়া জানা যায়। বেশ কয়েক বৎসর পূর্বে দুই বাংলার বাইবেল সোসাইটির নীতি নির্ধারকগণ বর্তমান প্রজন্মের জন্য বাইবেলের আরও একটি সংশোধনের প্রয়োজন আছে বলে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেন।

 

  • প্রিয় পাঠক! আপনি-ই বলুন- আল্লাহ তা‘আলারকালামের কি কোনো সংশোধনের প্রয়োজন হয়?। আর যেটা সংশোধনের প্রয়োজন হয়, সেটা আল্লাহ তা‘আলার কালাম নয়। বাইবেল বা কিতাবুল মুকাদ্দাস ইত্যাদির যেহেতু সংশোধনের প্রয়োজন হয়। তাই সেটা আল্লাহ তা‘আলারকালাম নয়। এর মধ্যে পরিবর্তন পরিবর্ধন হয়। এর জ্বলন্ত একটি প্রমাণ নি¤েœ পেশ করছি। ‘বাইবেলের ২বংশাবলী ২১:২০; এ আছে অহসিয়র পিতা যিহুরাম রাজার বিবরণ। তিনি ৩২ বছর বয়সে রাজত্ব লাভ করেন। ৮ বছর রাজত্ব করেন। এরপর তিনি মারা যান। মৃত্যুকালীন সময়ে তার বয়স ছিল ৪০ বছর। তার মৃত্যুর পর তারই কনিষ্ঠ ছেলে অহসিয় রাজত্বভার গ্রহণ করেন। সে সময় তার বয়স ছিল ৪২ বছর । তাহলে বোঝা গেল পিতার চেয়ে ছেলে দুই বছরের বড়’। আর পিতা পুত্রের চেয়ে দুই বছরের ছোট।
  • প্রিয় পাঠক! এটা ছিল কেরী বাইবেলের তথ্য। মজার বিষয় হলো, বাইবেলের পরবর্তী সংস্করণে(জেনারেল ভার্সন) ৪২বিয়াল্লিশ এর স্থানে ২২ বাইশ বছর লাগিয়ে দিয়েছে। এবার আপনারা বলুন, এটা যদি আল্লাহ তা‘আলার কালাম হয় তাহলে ৪২ বিয়াল্লিশ বছর পরিবর্তন করে ২২ লাগানোর বা পরিবর্তনের দায়িত্ব মানুষের কাঁধে তুলে নিল কেন?
  • ৪নং উত্তর :
  • প্রচলিত তাওরাত-ইঞ্জিল আল্লাহ তা‘আলারকালাম নয় বরং পরিবর্তিত একটি গ্রন্থ। এখানে কুরআন থেকেই তার প্রমাণ পেশ করছি।
    আল্লাহ তা‘আলা বলেন ,
    مَا نَنْسَخْ مِنْ آَيَةٍ أَوْ نُنْسِهَا نَأْتِ بِخَيْرٍ مِنْهَا أَوْ مِثْلِهَا أَلَمْ تَعْلَمْ أَنَّ اللَّهَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ (১০৬)
    “আমি কোনো আয়াত রহিত করলে অথবা বিস্মৃত করিয়ে দিলে তদপেক্ষা উত্তম অথবা তার সমপর্যায়ের আয়াত আনয়ন করি। তুমি কি জানো যে, আল্লাহ তা‘আলা ্ সব কিছুর ওপর শক্তিমান?”
    প্রচলিত তাওরাত-ইঞ্জিল আল্লাহ তা‘আলারকালাম নয় বরং;
    বিকৃত ও মানবরচিত গ্রন্থ
    কুরআনে তার অনেক প্রমাণ পাওয়া যায়। পাঠকদের বোঝার সুবিধার্থে নি¤েœ কয়েকটি প্রমাণ উল্লেখ করলাম।

 

  • ১ নং প্রমাণ:
    وَمِنْهُمْ أُمِّيُّونَ لَا يَعْلَمُونَ الْكِتَابَ إِلَّا أَمَانِيَّ وَإِنْ هُمْ إِلَّا يَظُنُّونَ (৭৮) فَوَيْلٌ لِلَّذِينَ يَكْتُبُونَ الْكِتَابَ بِأَيْدِيهِمْ ثُمَّ يَقُولُونَ هَذَا مِنْ عِنْدِ اللَّهِ لِيَشْتَرُوا بِهِ ثَمَنًا قَلِيلًا فَوَيْلٌ لَهُمْ مِمَّا كَتَبَتْ أَيْدِيهِمْ وَوَيْلٌ لَهُمْ مِمَّا يَكْسِبُونَ (৭৯)
    তোমাদের কিছু লোক নিরক্ষর। তারা মিথ্যা আকাক্সক্ষাছাড়া আল্লাাহ্র গ্রন্থের কিছুই জানে না। তাদের কাছে কল্পনা ছাড়া কিছুই নেই।
    অতএব, তাদের জন্য আফসোস। যারা নিজ হাতে গ্রন্থ লেখে এবং বলে, এটা আল্লাহ তা‘আলার পক্ষ থেকে অবতীর্ণ- যাতে এর বিনিময়ে সামান্য অর্থ গ্রহণ করতে পারে।
    অতএব, তাদের প্রতি আক্ষেপ তাদের হাতের লেখার জন্যে এবং তাদের প্রতি আক্ষেপ তাদের উপার্জনের জন্যে।”
    প্রিয় পাঠক! উপরোক্ত কুরআনের বিবরণী থেকে বুঝতে পেরেছেন তারা কীভাবে তাদের ধর্মগ্রন্থের পরিবর্তন করেছে। এখনও পোপ বা ফাদারগণ টাকার বিনিময়ে পাপ ক্ষমা করিয়ে দেন। কোনো খ্রিস্টান যদি বড় ধরনের পাপকর্ম করে, তারা পোপের কাছে টাকা দিয়ে পাপ মার্জনা করিয়ে আনে। আয়াতের দ্বিতীয় অংশ তাদের বাস্তব কর্মের সাথে মিলে যায়। আল্লাহ তা‘আলা নিজেই তাদের জন্য আক্ষেপ করেছেন। আল্লাহ তা‘আলা সকল খ্রিস্টান ও অমুসলিম ভাই-বোনকে আল্লাহ তা‘আলারকথাগুলো অনুধাবন করার তৌফিক দিন এবং হেদায়াত দান করুন। আমিন।

 

  • ২নং প্রমাণ:
    প্রচলিত তাওরাত-ইঞ্জিল আল্লাহ তা‘আলার কালাম নয়। এগুলোর পূর্বের কিতাবে যা কিছু ছিল সেগুলোও তারা পরিবর্তন করেছে। দেখুন আল্লাহ তা‘আলা বলেন-
    يَا أَيُّهَا الرَّسُولُ لَا يَحْزُنْكَ الَّذِينَ يُسَارِعُونَ فِي الْكُفْرِ مِنَ الَّذِينَ قَالُوا آَمَنَّا بِأَفْوَاهِهِمْ وَلَمْ تُؤْمِنْ قُلُوبُهُمْ وَمِنَ الَّذِينَ هَادُوا سَمَّاعُونَ لِلْكَذِبِ سَمَّاعُونَ لِقَوْمٍ آَخَرِينَ لَمْ يَأْتُوكَ يُحَرِّفُونَ الْكَلِمَ مِنْ بَعْدِ مَوَاضِعِهِ.
    “হে রসূল, তাদের জন্যে দুঃখ করবেন না যারা দৌড়ে গিয়ে কুফুরিতে পতিত হয়, যারা মুখে বলে: ‘আমরা মুসলমান’ অথচ তাদের অন্তর মুসলমান নয় এবং যারা ইহুদি, মিথ্যা বলার জন্যে তারা গুপ্তচর বৃত্তি করে। তারা অন্যদলের গুপ্তচর বৃত্তি করা, যারা আপনার কাছে আসেনি। তারা বাক্যকে স্বস্থান থেকে পরিবর্তন করে।”
    এই আয়াতের প্রথম অংশের সম্বোধনটি মিলে যায় বর্তমান কিছু খ্রিস্টানদের সাথে। তারা নিজেদের মুসলমান হিসেবে দাবি করতে চায়। নিজেদেরকে ‘ঈসায়ী মুসলিম’ বলে। কোথাও আবার ‘আহলুল কুরআন’ বলে পরিচয় দেয়। মূলত, এরা খ্রিস্টান। মুসলমানদের ধোঁকা দেয়ার জন্যই এই নাম ব্যবহার করে। তারা মুসলমানদেরকে ‘কিতাবুল মোকাদ্দাস’ নামক একটি ধর্মীয় গ্রন্থ দেয়। গ্রন্থটি মূলত বাইবেল। মুসলমানদের ধোঁকা দেয়ার জন্য বাইবেলে যোগ করেছে ইসলামী পরিভাষা। বাদ দিয়েছে হিন্দুদের পরিভাষা। যেমন যীশুর স্থানে হযরত ‘ঈসা’ ইত্যাদি।
    হে আল্লাহ তা‘আলা ! তাদেরকে হেদায়াত দান করুন। মুসলমানদেরকে তাদের চক্রান্ত থেকে হেফাজত করুন। এব্যাপারে আল্লাহ তা‘আলা পবিত্র কুরআনে বলেন “তারা বাক্যকে স্বস্থান থেকে পরিবর্তন করে।” যেমন, বাইবেল পরিবর্তন করে বানিয়েছে কিতাবুল মুকাদ্দাস। এমন বহু প্রমাণ আমাদের কাছে আছে। বইটির কলেবর বৃদ্ধির জন্য এখানে উল্লেখ করা সম্ভব হলো না।

 

  • ৩নং প্রমাণ:
    يَا أَهْلَ الْكِتَابِ قَدْ جَاءَكُمْ رَسُولُنَا يُبَيِّنُ لَكُمْ كَثِيرًا مِمَّا كُنْتُمْ تُخْفُونَ مِنَ الْكِتَابِ وَيَعْفُو عَنْ كَثِيرٍ قَدْ جَاءَكُمْ مِنَ اللَّهِ نُورٌ وَكِتَابٌ مُبِينٌ.
    “ হে আহ্লে-কিতাবগণ! তোমাদের কাছে আমার রাসূল আগমন করেছেন। কিতাবের যেসব বিষয় তোমরা গোপন করতে, তিনি তার মধ্য থেকে অনেক বিষয় প্রকাশ করেন এবং অনেক বিষয় মার্জনা করেন। তোমাদের কাছে এসেছে একটি উজ্জ্বল জ্যোতি এবং একটি সমুজ্জ্বল গ্রন্থ।”

 

  • নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মাধ্যমে তাদের স্বরূপ উদঘাটিত হয়েছে। কুরআনে এসেছে- এ গ্রন্থকে খ্রিস্টানদের মানা উচিত। এটি একটি সমুজ্জল গ্রন্থ।
    পবিত্র কুরআনের বাণী দ্বারা পরিষ্কারভাবে আমরা জানতে পারলাম, ইহুদি-খ্রিস্টানগণ তাদের গ্রন্থের কিছু অংশ গোপন করেছে, নিজ হাত দ্বারা লিখে পরিবর্তন করে দিয়েছে। আর বলছে, এইগুলো আল্লাহ তা‘আলার পক্ষ থেকে অবতীর্ণ। আল্লাহ তা‘আলা ্র বাণী। এছাড়া, আরও বহু প্রমাণ কুরআনে বিদ্যমান। এখানে, কয়টি উল্লেখ করলাম।

 

  • সুতরাং, উক্ত সংক্ষিপ্ত আলোচনার দ্বারা স্পষ্ট বুঝা গেল, বর্তমান প্রচলিত ইঞ্জিল যদি ঈসা আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উপর অবতারিত ইঞ্জিল হতো তাহলে কখনো তাতে আকাশে উঠিয়ে নেয়ার পরবর্তী ঘটনা থাকতো না। তাওরাত-ইঞ্জিল যদি আল্লাহ তা‘আলা ্র বাণী-ই হতো, তবে তাতে কোনো প্রকারের ভুল-ভ্রান্তি, বৈপরীত্য বা অশ্লীল কথা থাকতো না। অথচ, তাতে হাজারো ভুল ও বৈপরিত্য পরিলক্ষিত হয়। বহু ইহুদি-খ্রিস্টান-গবেষক তাদের গ্রন্থের উপর গবেষণা করে একথা স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছেন যে-এই গ্রন্থ নবীগণের অনেক পরবর্তী যুগের কোনো ব্যক্তিবর্গের রচিত। ফলে, এতে রয়েছে ব্যাপক ভুল-ভ্রান্তি ও বৈপরিত্য। এ বিষয়ে সামনে আলোচনা করবো ইনশাআল্লাহ তা‘আলা ।

 

  • সুতরাং, বর্তমান কথিত তাওরাত, ইঞ্জিল ও কিতাবুল মুকাদ্দাস যেহেতু আল্লাহ তা‘আলার বাণী নয়, তাই পবিত্র কুরাআন তথা আল্লাহ তা‘আলার বাণী দ্বারা তাওরাত-ইঞ্জিল পরিবর্তিত না হওয়ার ব্যাপারে দলিল পেশ করা নিতান্তই হাস্যকর ব্যাপার। “কথায় আছে চুরির চুরি আবার সিনাজুরি।”
    আল্লাহ তা‘আলা তাদেরকে হেদায়াত দান করুন। আমিন।

Archives

July 2024
S S M T W T F
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031