শনিবার, ২৪শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৭ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
Admin | ৯১২ views | ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৯ | খৃষ্টবাদ | ১:০৯ পূর্বাহ্ণ
এমনকি পরনারীর প্রতি দৃষ্টিপাতকে ঈসা মসীহ ব্যভিচার বলে গণ্য করেছেন এবং উক্ত ব্যক্তিকে তার চোখ তুলে ফেলে দিতে বলেছেন। তিনি বলেন “যে কেহ কোনো স্ত্রীলোকের প্রতি কামভাবে দৃষ্টিপাত করে, সে তখনই মনে মনে তাহার সহিত ব্যাভিচার করিল। আর তোমার দক্ষিণ চক্ষু যদি তার বিঘœ জন্মায় তবে তাহা উপড়াইয়া দূরে ফেলে দাও, কেননা সমস্ত শরীর নরকে নিক্ষিপ্ত হওয়া অপেক্ষা বরং একটি অঙ্গের নাশ হওয়া তোমার পক্ষে ভালো।
অন্যত্র মহান আল্লাহ তা‘আলা বলেন
قُلْ يَا أَهْلَ الْكِتَابِ تَعَالَوْا إِلَى كَلِمَةٍ سَوَاءٍ بَيْنَنَا وَبَيْنَكُمْ أَلَّا نَعْبُدَ إِلَّا اللَّهَ وَلَا نُشْرِكَ بِهِ شَيْئًا وَلَا يَتَّخِذَ بَعْضُنَا بَعْضًا أَرْبَابًا مِنْ دُونِ اللَّهِ فَإِنْ تَوَلَّوْا فَقُولُوا اشْهَدُوا بِأَنَّا مُسْلِمُونَ
অর্থ: বলুন, হে আহ্লে-কিতাবগণ! একটি বিষয়ের দিকে আস, যা আমাদের মধ্যে ও তোমাদের মধ্যে সমান; আমরা আল্লাহ তা‘আলা ্্ ছাড়া অন্য কারও ইবাদত করব না; তার সাথে কোনো শরীক সাব্যস্ত করব না এবং একমাত্র আল্লাহ তা‘আলাকে ছাড়া কাউকে প্রতিপালক বানাব না। তারপর যদি তারা স্বীকার না করে, তাহলে বলে দাও যে সাক্ষী থাক আমরা তো অনুগত।
এবার আমি খ্রিস্টান ভাইদেরকে বলতে চাই, “ভাই! আপনাদের প্রতি কুরআন নির্দেশ দিয়েছে। আপনারা তাওরাত-ইঞ্জিলের বিধিবিধান প্রতিষ্ঠা করবেন, তাওরাত-ইঞ্জিলের নামে শিরক ও ব্যভিচার প্রতিষ্ঠা বা প্রচারের নির্দেশ দেননি। আগে আপনারা খ্রিস্টানগণ আপনাদের ব্যক্তি, দেশ ও রাষ্ট্রগুলিতে তাওরাত-ইঞ্জিলের তাওহীদ ও বিধি-বিধান প্রতিষ্ঠা করুন। শিরক, ব্যভিচার ইত্যাদি পাপের শাস্তি প্রতিষ্ঠা করুন-যা আপনাদের কিতাব নির্দেশ দেয়। সকল খ্রিস্টান চার্চে ঈসা মসীহ, তার মাতা মরিয়ম ও অন্যান্য অগণিত মানুষের প্রতিমা বিদ্যমান। তাওরাত-ইঞ্জিলের বিধান অনুসারে এগুলো ধ্বংস করুন। যারা এগুলিকে বানিয়েছে, এগুলোতে ভক্তি বা মানত-উৎসর্গ করেছে বা উৎসাহ দিয়েছে। তাদের সকলকে মৃত্যুদ- প্রদান করুন। এরপর তাওরাত-ইঞ্জিল নিয়ে আসুন।”
আচ্ছা ভাই! আপনারা কোন তাওরাত ইঞ্জিলের কথা বলছেন? ঈসা আ.-কে আকাশে উঠিয়ে নেয়ার পর ৩০০ বছরের মধ্যে যেই ইঞ্জিল ছিল, এমন একটি ইঞ্জিল দেখাতে পারবেন কি? নিশ্চয়ই, আপনারা পারবেন না। আপনাদের পূর্ববর্তী লোকেরাও পারেনি। আরও একটি অনুরোধ রইল- আপনারা এভাবে কুরআনের অপব্যাখ্যা করবেন না। পারলে আপনাদের বাইবেল দ্বারা ধর্ম প্রচার করুন যদি আপনারা সেটাকে সঠিক বলে বিশ্বাস করেন। আপনাদের জন্য দুআ করি, আল্লাহ তা‘আলা আপনাদেরকে হেদায়াত দান করুন। ইসলাম গ্রহণ করার তৌফিক দান করুন। জাহান্নামের চিরস্থায়ী আগুন থেকে বাঁচার তৌফিক দান করুন। আমিন।