নাস্তিকদের যুক্তি খন্ডন – মহাকাশ বিজ্ঞানী: মহাবিশ্ব শূন্য থেকে নিজে থেকেই সৃষ্টি হয়েছে
Admin |
৪৫৩ views |
ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৯ |
নাস্তিকদের প্রশ্নোত্তর
|
২:০৫ পূর্বাহ্ণ
মহাকাশ বিজ্ঞানী: মহাবিশ্ব শূন্য থেকে নিজে থেকেই সৃষ্টি হয়েছে। এর আগে কিছু ছিল না। মহাবিশ্বের কোনো সৃষ্টিকর্তা নেই। Quantum Vaccum কোয়ান্টাম শূন্যতা থেকে মহাবিশ্ব সৃষ্টি হয়েছে। মহাবিশ্ব কোনো স্রস্টা বানিয়েছে, তার প্রমাণ কী?
Default Ad Content Here
- উত্তরঃ মহাবিশ্ব সৃষ্টি হয়েছে শূন্য থেকে সবচেয়ে অবৈজ্ঞানিক এবং ফিলসফির দিক থেকে অবাস্তব দাবি হলো: মহাবিশ্ব নিজে থেকেই, শূন্য থেকে সৃষ্টি হয়েছে, এর কোনো কারণ/উৎপাদক নেই। এর মানে দাঁড়ায়: কোনো জিনিস একই সাথে অস্তিত্ব থাকতে পারে, আবার অস্তিত্ব নাও থাকতে পারে। একে সহজ ভাষায় বললে, আপনার মা নিজেই নিজেকে জন্ম দিয়েছেন, কেউ তাকে জন্ম দেয়নি। একদিন তিনি ছিলেন না। তারপর হঠাৎ করে তিনি নিজেই নিজেকে জন্ম দিলেন। P. J. Zwart তার বইয়ে দেখিয়েছেন, এটা কত অবাস্তব একটা দাবি— “If there is anything we find inconceivable it is that something could arise from nothing.” যদি অবিশ্বাস্য বলে কিছু থাকে, তাহলে সেটা হলো যে, কোনো কিছু শূন্য থেকে উৎপত্তি হতে পারে।[২১৬] এরপর বিজ্ঞানীরা তাদের খেলা পালটিয়ে ফেলেন। প্রফেসর স্টিফেন হকিন্স, লরেন্স ক্রাউস-এর মতো বিখ্যাত বিজ্ঞানীরা বলেন, শূন্য বলতে আসলে Quantum Vaccum বা কোয়ান্টাম শূন্যতা বোঝানো হচ্ছে। কোয়ান্টাম শূন্যতা হলো ভৌত কোনো কিছুর অনুপস্থিতি। এটি সব জায়গায় বিরাজমান একটি স্পন্দিত শক্তির ক্ষেত্র। “…is not‘nothing’; it is a structured and highly active entity.” “এটা ঠিক ‘শূন্য’ নয়; এটি বিশেষ গঠনের অত্যন্ত সক্রিয় অস্তিত্ব”[২১৭] মহাবিশ্ব তৈরি হয়েছে একদম শূন্য থেকে, কোয়ান্টাম ফ্ল্যাকচুয়েশানের মাধ্যমে। তখন ‘সময়’ (Time) এর আচরন আজকের সময়ের মতো ছিলো না। তখন সময়ের আচরন ছিলো ‘স্থান’ (Space) এর মতো। কারন, এই ফ্ল্যাকচুয়েশান হবার জন্য প্রাথমিকভাবে সময়ের দরকার ছিলো না, স্থানের দরকার ছিলো।কিন্ত এর সমস্যা হল, তারা এই কথা বলেন নি যে,যে সময় (Time) মহাবিশ্বের একদম শুরুতে ‘স্থান’ এর মতো আচরন করেছে, সেই ‘সময়’ পরবর্তীতে ঠিক কেন আবার Time এর মতো আচরন শুরু করল। তারা বলেছেন প্রকৃতি শূন্যস্থান পছন্দ করেনা। তাই, শূন্যস্থান পূরণ করতে আপনা আপনি কোয়ান্টাম ফ্ল্যাকচুয়েশান হয়ে মহাবিশ্ব তৈরি হয়েছে। প্রশ্ন হলো- যেখানে শূন্যস্থান নিয়ে কথা হচ্ছে, যখন সময় ছিলো না,স্থান ছিলো না, তখন প্রকৃতি কোথা থেকে আসল? এই কোয়ান্টাম শূন্যতা আসলো কোথা থেকে? কে একে সৃষ্টি করলো? কীভাবে এটি এমন সব গুণ পেল, যা থেকে এটি এক বিশাল মহাবিশ্ব বিশেষভাবে ডিজাইন করে তৈরি করতে পারে? কোয়ান্টাম শুন্যতার কি কনশাসনেস বা বুদ্ধিমত্তা রয়েছে? কোয়ান্টাম বিজ্ঞানের সেই নিয়মগুলো আসলো কোথা থেকে? এগুলো সবই হচ্ছে স্রস্টাকে অস্বীকার করার জন্য নানা অজুহাত। মহাবিশ্বের যে সৃষ্টি হয়েছে, সেটার কোনো সঠিক ব্যাখ্যা বিজ্ঞানীরা দিতে পারছে না।আবার একই সাথে মানতে পারছে না যে, স্রস্টা বলে কেউ আছে। তাহলে কী করা যায়? ‘কোয়ান্টাম ভ্যাকুয়ম’ নামের এক মহাজটিল অস্তিত্ব জন্ম দেই। তাহলে বেশ কিছুদিন এটানিয়ে মানুষকে ঘোল খাওয়ানো যাবে। আপনি মহাবিশ্বের অনেক বৈজ্ঞানিক ব্যাখা দিতে পারেন। কিন্তু সমস্যাটা হচ্ছে আপনার ব্যাখা গুলো শুধু কিভাবে হয়েছে তা নিয়ে। কিন্তু কেন হয়েছে তার ব্যাখা আজ পর্জন্ত বিজ্ঞ্যান দিতে পারেনি। আপনাকে জিজ্ঞেস করা হল আপনি কেন ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম গেলেন। আপনি বললেন ঢাকা-চট্ট রুটের বাসে উঠেছি। বাস এসে নামিয়ে দিয়ে গেছে। তাহলে তো উত্তর হল না।