উঠতি নাস্তিকঃ আল্লাহ যদি সবকিছু সৃষ্টি করে থাকে, তাহলে তাকে সৃষ্টি করলো কে?
Admin |
২৮১ views |
ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৯ |
নাস্তিকদের প্রশ্নোত্তর
|
২:২০ পূর্বাহ্ণ
উঠতি নাস্তিক: আল্লাহ ﷻযদি সবকিছু সৃষ্টি করে থাকে, তাহলে তাকে সৃষ্টি করলো কে?
- উত্তরঃ আল্লাহ যদি সবকিছু সৃষ্টি করে থাকে, তাহলে তাকে সৃষ্টি করলো কে? প্রথমত প্রশ্নটা মহাবিশ্বের সৃষ্টির কোনো সমাধান নয়, বরং একটা পালটা প্রশ্ন। দিতীয়ত প্রশ্নটা অনেক সমস্যার সৃস্টি করে। স্টিফেন হকিংস এর মহাবিস্ফোরণ তত্ত্ব আমাদের বলে যে, বিগ ব্যাং এর আগে কোন ম্যাটার, এনার্জি; স্থান, সময় কিছুই ছিল না। একদম শুন্য। তাই স্রষ্টাকে কখন, কোথায়, কে সৃষ্টি করল প্রশ্নটি অবান্তর। কেননা যেহেতু স্রস্টা সময় এবং স্থান সৃষ্টি করেছেন তাই স্রস্টার কোন এক নির্দিষ্ট ‘স্থানে’ বা ‘সময়’ এর মদ্ধে সৃষ্টি হওয়া সম্ভব নয়। স্রস্টা স্থান ও কাল এর উর্ধে। এবং তিনি অতিত, বর্তমান, ভবিষ্যৎ সব কিছু একইসাথে দেখেন। আল্লাহকে ﷻ যে সৃষ্টি করেছে, তাকে তাহলে কে সৃষ্টি করেছে? সেই মহাসত্তাকে যে সৃষ্টি করেছে, সেই মহা-মহাসত্তাকে কে সৃষ্টি করেছে? সেই মহা-মহাসত্তাকে যেই মহা-মহা-মহাসত্তা সৃষ্টি করেছে, তাকে কে সৃষ্টি করেছে?… এই প্রশ্নের শেষ নেই। এটা চলতেই থাকবে। তৃতীয়ত, এই প্রশ্নটা একটা ভুল প্রশ্ন। কারণ এখানে সৃষ্টিকর্তা অর্থ ‘যে সৃষ্ট নন বরং যিনি সৃষ্টি করেন।’ সুতরাং কেউ যখন জিজ্ঞেস করে, “সৃষ্টিকর্তাকে কে বানিয়েছে?”, সে আসলে জিজ্ঞেস করছে— “যাকে কেউ সৃষ্টি করেনি, তাকে কে সৃষ্টি করেছে?” এধরনের অনেক প্যাঁচানো প্রশ্ন আপনারা ফিলোসফার এবং নাস্তিকদের কাছ থেকে পাবেন, যারা ভাষার মারপ্যাচ দিয়ে এমন সব প্রশ্ন তৈরি করে, যা পড়ে আপনার মনে হবে – “আসলেই তো! এর উত্তর কি হবে? হায় হায়! আমি কি তাহলে ভুল বিশ্বাস করি?” তাদের আসল সমস্যা হচ্ছে তারা ভাষা এবং বিজ্ঞান ঠিকমত বোঝে না এবং তাদের প্রশ্নগুলো যে ভাষাগতভাবে ভুল এবং বৈজ্ঞানিকভাবে অবাস্তব, সেটা তারা নিজেরাই ঠিকমত চিন্তা করে দেখেনি। এরা আপনাকে ভাষাগত ভাবে ভুল বাক্য তৈরি করে, বৈজ্ঞানিক ভাবে অবৈজ্ঞানিক একটা প্রশ্ন করে, তারপর আপনার কাছে দাবি করবে একটা বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা দেওয়ার। আগের পর্বে আমরা বিস্তারিত দেখিয়েছি, কেন এরকম অসীম পর্যন্ত পুনরাবৃত্তি হওয়া সম্ভব নয়। অসীম একটি ধারণা মাত্র, এর কোনো বাস্তব অস্তিত্ব নেই।
Default Ad Content Here