Admin |
৭৩৪ views |
ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৯ |
নাস্তিকদের প্রশ্নোত্তর
|
২:৩৭ পূর্বাহ্ণ
ধরুন, একজন লোক তার স্ত্রীর সাথে খুব ভাল আচরণ করে, একেবারে আদর্শ স্বামী। কিন্তু এই একই ব্যক্তি তার পিতামাতার প্রতি সহানুভূতিশীল না, তাদের সাথে সে যাচ্ছে তাই ব্যবহার করে। এরকম ব্যক্তিকে আপনি কিভাবে সংজ্ঞায়িত করবেন? আপনি কি শুধু স্ত্রীর সাথে ভাল ব্যবহারের প্রেক্ষিতে তাকে ভালো মানুষ বলবেন? তেমনিভাবে কিছু মানুষ সৃষ্টির প্রতি হয়তো সহানুভূতিশীল, কিন্তু এই অসীম মহাবিশ্বের স্রষ্টা কর্তৃক আরোপিত দায়িত্বের প্রতি সে উদাসীন।
মূল প্রশ্নের উত্তর দেয়ার আগে আমাদের প্রথমে কিছু আনুষঙ্গিক বিষয়গুলো সম্পর্কে ক্লিয়ার কনসেপ্ট থাকতে হবে। প্রথম কথা হল, একজন মানুষ মুসলিম হিসেবে জন্মগ্রহণ করলেই কি সে জান্নাতের সার্টিফিকেট পেয়ে যায়? অবশ্যই না। তাকে জান্নাতে যাওয়ার জন্য যোগ্যতা অর্জন করতে হয়। আর যে এত এত মানুষের জাহান্নামে যাওয়ার কথা চিন্তা করতে পারে, সে কি নিজের জান্নাতে যাওয়ার কথা চিন্তা করতে পারে না? সেটা ভাবাই তো সম্ভবত বুদ্ধিমানের কাজ।
দ্বিতীয়ত, আল্লাহ্ কাকে জান্নাতে দিবেন বা কাকে জাহান্নামে, এটা একান্তই আল্লাহ্র ইচ্ছা। তিনি কারও কাছে এ ব্যাপারে জবাবদিহি করতে বাধ্য নন।
যে সমস্ত অমুসলিমরা ভালো কাজ করে, তাদের হিসাব আল্লাহ্ এই দুনিয়াতেই দিয়ে দিবেন। আর যদি দুনিয়াতে নাও দেন, জাহান্নামে তাদের শাস্তি লাঘব করবেন। যেমন- মুহাম্মাদ (সা) এর চাচা আবূ তালিব কাফির হওয়া সত্ত্বেও রাসূল (সা)-কে আগলিয়ে রাখার জন্য তিনি জাহান্নামে সবথেকে কম শাস্তি ভোগ করবেন।
মাদার তেরেসা, ফ্লোরেন্স নাইটেঙ্গেলরা হয়তো পৃথিবীর জন্য অনেক ভালো ভালো কাজ করে গিয়েছেন কিন্তু যে উদ্দেশ্যে তারা এই সুন্দর পৃথিবীতে এসেছিলেন, সে উদ্দেশ্য সঠিকভাবে খুঁজে পেতে তারা ব্যর্থ হয়েছিলেন। তাদের সমস্ত জীবনটাকে একটা থলের সাথে তুলনা করা যেতে পারে, যে থলেতে তারা আজীবন পরম মমতায় তাদের অর্থ জমা করেছেন কিন্তু সে থলের কোন তলা ছিল না।
“যারা তাদের রবকে অবিশ্বাস করে তাদের ভালো কাজগুলোর উদাহারণ ছাইয়ের মত যা ঝড়ো বাতাস উড়িয়ে নিয়ে যায়। তাদের উপার্জনের কোন অংশই তাদের কাছে থাকবে হবে না। এটাই চূড়ান্ত পথভ্রষ্টতা।”[৬]