শুক্রবার, ১৯শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১লা রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

পুনর্জন্ম মতবাদের বিরুদ্ধে তিনটি প্রমাণ

পুনর্জন্ম বলতে কোনো ব্যক্তি বা প্রাণীর মৃত্যুর পরেও আবার নতুন কোনো দেহে তার আত্মার জীবিত হওয়াকে বোঝায়। এটি একটি ধর্মীয় মতবাদ যা প্রধাণত জৈনধর্ম, বৌদ্ধধর্ম, হিন্দুধর্ম, শিখধর্ম সহ প্রভৃতি ধর্মে প্রচলিত। বিভিন্ন সময়ে নানা দার্শনিক এবং গবেষকগণ গবেষণা করলেও এটি বৈজ্ঞানিকভাবে  প্রমাণিত হয়নি। 

১.পুনর্জন্মের অসারতা প্রমাণে সবচেয়ে বড় প্রমাণ হলো  পৃথিবীর সমস্ত বিজ্ঞানী এবং গবেষকদের তথ্যমতে, ভূপৃষ্ঠে সবার আগে সৃষ্টি হয়েছে উদ্ভিদ। এরপর জীব-জন্তু। তার আরো লক্ষ-কোটি বছর পর মানুষের অস্তিত্ব। তখন পর্যন্তযেহেতু মানুষের জন্মই হয়নি, কোনো আত্মা পাপ কর্ম করেনি, তাহলে কোন আত্মা ওই সব উদ্ভিদ এবং জীব-জন্তুরূপে সৃষ্টি হয়েছে?

Default Ad Content Here

২. পুনর্জন্মের মতবাদ বিশ্বাস করলে আবশ্যিকভাবে একথাও মানতে হবে যে, ভূপৃষ্ঠের প্রাণীর সংখ্যা ক্রমান্বয়ে হ্রাস পাচ্ছে। কারণ, যে সব আত্মা পুনর্জন্মের চক্র থেকে মুক্তি পেয়েছে-সেই পরিমাণ প্রাণীর সংখ্যাও হ্রাস পাওয়ার কথা। অথচ বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, প্রতিনিয়ত পৃথিবীর মানুষ, জীব-জন্তু এবং উদ্ভিদ এর সংখ্যা অবিশ্বাস্য গতিতে বেড়েই চলছে।

৩. পৃথিবীতে জন্মগ্রহণকারী ও মৃত্যুবরণকারীদের সংখ্যায় আসমান-জমিন ফারাক। মৃত্যুবরণকারী মানুষের তুলনায় জন্মগ্রহণকারী শিশুর সংখ্যা অনেক বেশি। কখনো কখনো লক্ষ-কোটি মশা-মাছি জন্মলাভ করে, অথচ বাস্তবে মৃত্যুবরণকারীদের সংখ্যা হয় অনেক কম। তাহলে এতসব মশা-মাছি কার আত্মার রূপ ধারণ করে পৃথিবীতে আসে?

শিশুদের সম্পর্কে অনেক সময় শোনা যায় যে, পূর্বজন্মে যেখানে সে বসবাস করতো সেই জায়গা সে চিনতে পারছে, তার পূর্বের নাম বলে দিচ্ছে এবং পুনর্জন্মের কথা বলে দিচ্ছে; এগুলো শয়তান ও ভূত-প্রেতের কারসাজি। মানুষের দ্বীন-ঈমান ধ্বংস করার জন্য এরা শিশুর মাথায় প্রবেশ করে আবোল তাবোল কথা বলে। মরণের পর মানুষ প্রকৃত মালিকের কাছে ফিরে যায় এবং দুনিয়ার কর্মফল হিসেবে শাস্তি বা পুরস্কার লাভ করে; এই প্রকৃত সত্যটি মৃত্যুর পর সবার সামনেই উন্মোচিত হবে।

Archives

October 2024
S S M T W T F
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
262728293031