সোমবার, ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ৩রা জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

গ্যাস্ট্রিক সমস্যার ঘরোয়া সমাধান

যাদের গ্যাসের সমস্যা আছে বা গ্যাস্ট্রিক হয়ে গেছে, তাদের এ সমস্যা থেকে রক্ষা পেতে জেনে নিন দারুণ কিছু সমাধান। সম্পূর্ণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াবিহীন এই সমাধানগুলো দূর করবে সাধারণ গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা।

লবঙ্গ: গ্যাস্ট্রিকের সমস্যার তাৎক্ষণিক সমাধান করবে লবঙ্গ। গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা শুরু হলে দুটি লবঙ্গ মুখে নিয়ে চিবুতে থাকুন। এবং চুষে রসটা খেয়ে ফেলুন। দেখবেন এসিডিটি দূর হয়ে গেছে কিছুক্ষণের মধ্যেই।

Default Ad Content Here

পুদিনা পাতা: পুদিনা পাতার রস গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর করতে সেই প্রাচীনকাল থেকেই ব্যবহার হয়ে আসছে। প্রতিদিন পুদিনা পাতার রস বা পাতা চিবিয়ে খেলে এসিডিটি ও গ্যাস্ট্রিকের থেকে মুক্তি পাবেন।

আদা: আদা বুক জ্বালাপোড়া এবং এসিডিটির সমস্যা সমাধানে বেশ কার্যকর। প্রতিবার খাবার খাওয়ার আধ ঘণ্টা আগে ছোট এক টুকরো আদা কাঁচা চিবিয়ে খান দেখবেন গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা একেবারেই থাকবে না।

তুলসী পাতা: ঔষধি গুণে ভরা তুলসী পাতার কথা কে না জানে। এসিডিটি দূর করতেও এটি বেশ কার্যকর। গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা শুরু হলে ৫/৬টি তুলসী পাতা চিবিয়ে খেয়ে দেখুন। গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর হবে। এছাড়া প্রতিদিন তুলসী পাতা পানির সঙ্গে ব্লেন্ড করে খেলে একেবারে দূর হবে গ্যাস্ট্রিক ও এসিডিটির সমস্যা।

গুড়: গুড় আপনার বুক জ্বালাপোড়া এবং এসিডিটি থেকে তাৎক্ষণিকভাবে রেহাই দিতে পারে। যখন বুক জ্বালাপোড়া করবে সঙ্গে সঙ্গে একটুকরো গুড় মুখে নিয়ে রাখুন। যতক্ষণ না সম্পূর্ণ গলে যায় ততক্ষণ মুখে রেখে দিন। তবে এ সমাধান অবশ্যই ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য নয়।

বোরহানি: বোরহানি গ্যাস্ট্রিক ও এসিডিটি এবং বদহজম থেকে রক্ষা করে। বোরহানি টক দই, বিট লবণ ইত্যাদি এসিডিটিবিরোধী উপাদান দিয়ে তৈরি। প্রতিদিন খাবারের পর এক গ্লাস বোরহানি খাওয়ার অভ্যাস করতে পারলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা অনেকাংশে দূর হবে।

বেকিং সোডা: বেকিং সোডা পেটের এসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এবং গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থেকে তাৎক্ষণিক রেহাই পেতে সাহায্য করে। এক গ্লাস পানিতে ১/৪ চা চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে পান করুন। ভালো ফলাফল পাবেন।

Archives

November 2025
S S M T W T F
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
2930