বৃহস্পতিবার, ২০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৩রা জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
মিয়ানমারের রাখাইনে দেশটির সেনাবাহিনীর নির্যাতনের মুখে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিমদের পাশাপাশি হিন্দু সম্প্রদায়ের অনেক মানুষও পালিয়ে এসেছেন। বাংলাদেশ সীমান্তের জিরো পয়েন্টে অবস্থান করা এসব হিন্দু নারীরা জানিয়েছেন, রাখাইনে মুসলিমদের সঙ্গে তাদের ওপর সেনাবাহিনী হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে।
রাখাইন রাজ্যের বিভিন্ন হিন্দুপাড়ায় দেশটির সেনাবাহিনীর বর্বর হামলার খবর আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমেও এসেছে।
এসব খবরে বলা হয়েছে, গত ২৫ আগস্ট থেকে এক সপ্তাহে রাখাইন রাজ্যের ফকিরাবাজারের ৭৫টি হিন্দু পরিবারের ঘরবাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত ৮৬ জন হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষকে হত্যা করা হয়েছে।
এমন প্রেক্ষাপটে মিয়ানমারের নোবেল বিজয়ী নেত্রী অং সান সুচির সঙ্গে আলোচনা করতে দেশটিতে দু’দিনের সফরে যাচ্ছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
আগামী মঙ্গলবার তিনি মিয়ানমার পৌঁছাবেন। বর্তমানে মোদি ব্রিকস সম্মেলনে অংশ নিতে চীনে অবস্থান করছেন।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এসব তথ্য জানিয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা শ্রীপ্রিয় রঙ্গানাথান জানান, রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে যে সংকট চলছে, সেটি কীভাবে সমাধান করা যায়, মিয়ানমারের নেত্রীর সঙ্গে বিষয়ে নিয়ে আলোচনা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গা সমস্যা মিয়ানমারই তৈরি করেছে। সমাধানও তাদের হাতে। প্রতিবেশী দেশ হিসেবে এসব নিয়ে আমাদের যথেষ্ট উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণ রয়েছে।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ও অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ভারতকে রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে তাদের অবস্থান পুনর্বিবেচনার অনুরোধ জানিয়েছে।