বুধবার, ২১শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ২২শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরি
হজ্বের অপেক্ষায় হাজারো মানুষ, কখন ছুঁবেন কা’বার দেয়াল, কখন বলবেন আসসালাতু আসসালামু আলাইকা ইয়া রাসূলাল্লাহ।
জিবনের শেষ সম্বলটুকু বেঁচে প্রস্তুত অনেক মানুষও আছেন। বয়সের ভারে নুয়ে পড়া বৃদ্ধ মানুষটিও প্রস্তুত; কখন যাবেন!
কিন্তু এজেন্সী থেকে এখনো কনফার্ম হতে পারছেন না, অজানা আশংকা ভর করছে-যেতে পারবো তো?
মিডিয়ার কল্যাণে অনেকে জেনেও গেছেন ভিসা হয়নি বহু মানুষের!
অস্থীর হজ্ব গমনেচ্ছুরা। অস্থীর অামরাও।
সমস্যা বের করে ফেলেছি, সব দোষ ইসলাম বিদ্বেষী আওয়ামী সরকারের!
ও-বিমানমন্ত্রী কমরেডের কথাতো ভুলেই গিয়েছিলাম!
হজ্ব সংক্রান্ত যে কোন প্রবলেমে এই চিন্তাগুলো এখন কমন হয়ে গেছে!
কিন্তু এবারের মূল সমস্যাটা কোথায়?
১. সৌদি সরকার বহু আগেই জানিয়ে রেখেছে -২০১৫/১৬ তে হজ্ব করাদের এবারের হজ্বে পে করতে হবে অতিরিক্ত ২০০০ রিয়াল, এটা নিয়ে গড়িমসি করতে করতে ভিসা হয়নি অনেকের। সরকারের দোষটা কোথায়? (দোষ আছে, পরে বলছি)
২. সৌদির মোআল্লিম ফি থাকে সেবার মান হিসেবে বিভিন্ন রেঞ্জের, আমাদের এজেন্সিগুলো সবসময় চেষ্টা করে যত কমে পারা যায়, হাজ্বিদের সুবিধা গোল্লায় যাক। আর তাই মিনায় তাবু পরে পাহাড়ের উপর, নতুবা মিনা ছাড়িয়ে মুযদালিফায়। ফলে কঙ্কর মারতে হাজ্বিদের জিবন হয় উষ্ঠাগত; আহা কী যে কষ্ট তা কেবল ভুক্তভোগীরাই জানে!
কিন্তু সৌদি সরকার এবার কম রেঞ্জের মোআল্লিমদের কোটা রেখেছে কম, ফলে আমাদের ব্যবসায়ীদের লাভের অংশে পড়ে টান, শুরু হয় দেন-দরবার!
এসব করতে করতেই সময় পার, ভিসা মিলেনি বহু হজ্বযাত্রীর।
একবছর আগে বুকিং দিয়েও যদি অনিশ্চয়তায় থাকতে হয় তবে এর দায়টা কার?
সরকারকে মাথায় তুলছি না, তাদের দায় আছে অনেক। অব্যবস্থাপনার নজির আছে বহু। হজ্ব মিশনে কতগুলো অযোগ্য লোক বসে থাকে দলীয় বিবেচনায়। সরকারী খরচে সেবা দিতে গিয়ে ঘুরে মার্কেটে! এসব দেখে দেখে অভ্যস্ত আমি নিজেই। তারপর ও ভিসা না হওয়ার দায় সরকারের নয়, অধিক মুনাফাখোর এজেন্সীদের।
তবে সরকারের একটা দায় আছে, আর তা হচ্ছে, এসব ধোকাবাজ এজেন্সীর বিরুদ্ধে অজানা কারণে ব্যাবস্থা না নেওয়া!
মানুষের জিবনের শ্রেষ্ঠতম আকাঙক্ষিত ইবাদত হজ্ব নির্বিঘ্নে করতে যে সব এজেন্সী অস্বচ্ছতার পরিচয় দেয় তাদের বিরুদ্ধে সরকার লাইসেন্স বাতিলের মত কঠিন পদক্ষেপ নিলে আশাকরি অনেকটা দুর্ভোগ লাঘব হবে ইনশাআল্লাহ।
এদেরকে যে কোন বিবেচনায় ছাড় দিলে সব সমস্যার দায় সরকারেরই।