রবিবার, ২১শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৩রা রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
ভাবুন। মাথা ঠান্ডা রেখে কাজ করুন। আমার দৃষ্টিতে সবার জন্য ফেইসবুক চালানো উচিত নয়। উচিত নয় সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করা। যা মনে চায় তাই শেয়ার মেরে দেয়া আহমকী বৈ কিছু নয়। টুপি দাড়িওয়ালা কিছু বনী আদম যখন একাজ করে তখন রাগটা দ্বিগুণ হয়।
তাসলিমা চুপিচুপি কী করছে? নাস্তিক মুহিউদ্দীন কি ভিডিও দিল?
এসব শেয়ার করে ফালতু লোককে লাইমলাইটে নিয়ে আসা আর যা’ই কিছু হোক, দ্বীনের কাজ হতে পারে না। বরং দ্বীনের কাজের নামে দ্বীনের ক্ষতি করা হচ্ছে।
তবে হ্যাঁ, এসব ভন্ডামীর, অপপ্রচারের দালিলীক জবাব দিতে হবে। সেটা হবে নাম উল্লেখ না করে। অভিযোগ উল্লেখ করে। তাহলে কাজের কাজও হবে। আবার মুরতাদ বা নাস্তিকটার প্রচারণাও হল না।
এক ভাই মুরতাদ হয়েছে। হতেই পারে। দ্বীন ইসলাম কোন দু’পয়সার সম্পদ নয়। যে ইচ্ছে সেই তা মৃত্যু পর্যন্ত বহন করতে পারে। এটি অমূল্য রতন। কেবলি ভাগ্যবানদের কপালে জোটে। দুনিয়ার এ পরীক্ষার হলে পদে পদে স্খলন হতে পারে যে কারো।
তাইতো সর্বদা দুআ করতে হবেঃ
رَبَّنَا لَا تُزِغْ قُلُوبَنَا بَعْدَ إِذْ هَدَيْتَنَا وَهَبْ لَنَا مِن لَّدُنكَ رَحْمَةً ۚ إِنَّكَ أَنتَ الْوَهَّابُ [٣:٨]
হে আমাদের পালনকর্তা! সরল পথ প্রদর্শনের পর তুমি আমাদের অন্তরকে সত্যলংঘনে প্রবৃত্ত করোনা এবং তোমার নিকট থেকে আমাদিগকে অনুগ্রহ দান কর। তুমিই সব কিছুর দাতা। [সূরা আলে ইমরান-৮]
দেশের উপর হামলাকারীকে যাচ্ছেতাইভাবে হত্যা করার প্রবক্তা হয়ে, উরাইনিয়্যীন কর্তৃক রাখালদের হত্যা করে ইসলামী রাষ্ট্রের সম্পদ চুরি করে পালানো ব্যক্তিদের কঠোর শাস্তি প্রদানকে ইসলাম ছেড়ে দেবার যুক্তি দেখানো বলদামী ছাড়া আর কিছু নয়।
এমন মাথামোটা ব্যক্তির ইসলাম ছেড়ে দেবার হাস্যকর যুক্তিনির্ভর ভিডিও শেয়ার করে আমরা আসলে কী করছি? কি প্রমোট করছি? কার প্রচার করছি?
এটা কি মাথামোটা লোকটা যা চাচ্ছে তা’ই বাস্তবায়ন করছি না। মুরতাদ হওয়া মানেই ফেমাস হয়ে যাওয়া। মুরতাদ হয়ে যাওয়া মানেই উন্নত রাষ্ট্রের সিটিজেনশীপ পাওয়া।
আর আমরা প্রতিবাদের নামে তাদের লেখা, নামও ভিডিও শেয়ার করে তাদের উদ্দেশ্যকে সহজ করে দেই অনেক সময়।
তাই সতর্ক পথচলাই কাম্য। জবাব দিতে হবে। তবে বুদ্ধিমত্মার সাথে। সাপটা মারতে হবে। কিন্তু লাঠিটা ভাঙ্গা যাবে না।
আল্লাহ তাআলা আমাদের ঈমানকে হিফাযত করুন। দ্বীনের খিদমাতের নামে দ্বীন ধ্বংসের কারণ না বানান। আমীন।