রবিবার, ৫ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৯শে রজব, ১৪৪৬ হিজরি

ব্রিটিশদের ষড়যন্ত্রে স্বাধীন আরাকান এখন পরাধীনঃ মানবতার বুলি আউড়াতে পশ্চিমাদের লজ্জা হয় না? – লুৎফর ফরায়েজী

ইতিহাস এটা জানায় যে, ১৪৩০ থেকে ১৭৮৪ সাল পর্যন্ত ২২ হাজার বর্গমাইল আয়তনের রোহাঙ্গা স্বাধীন রাজ্য ছিল। মিয়ানমারের রাজা বোদাওফায়া এ রাজ্য দখল করার পর চরম বৌদ্ধ আধিপত্য শুরু হয়।

এক সময়ে ব্রিটিশদের দখলে আসে এ ভূখণ্ড। তখন বড় ধরনের ভুল করে তারা এবং এটা ইচ্ছাকৃত কিনা, সে প্রশ্ন জ্বলন্ত। তারা মিয়ানমারের ১৩৯টি জাতিগোষ্ঠীর তালিকা প্রস্তুত করে। কিন্তু তার মধ্যে রোহিঙ্গাদের নাম অন্তর্ভুক্ত ছিল না। এ ধরনের বহু ভূল করে গেছে ব্রিটিশ শাসকরা।

Default Ad Content Here

১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি মিয়ানমার স্বাধীনতা অর্জন করে এবং বহুদলীয় গণতন্ত্রের পথে যাত্রা শুরু হয়। সে সময়ে পার্লামেন্টে রোহিঙ্গাদের প্রতিনিধিত্ব ছিল। এ জনগোষ্ঠীর কয়েকজন পদস্থ সরকারি দায়িত্বও পালন করেন। কিন্তু ১৯৬২ সালে জেনারেল নে উইন সামরিক অভ্যুত্থান ঘটিয়ে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করলে মিয়ানমারের যাত্রাপথ ভিন্ন খাতে প্রবাহিত হতে শুরু করে। রোহিঙ্গাদের জন্য শুরু হয় দুর্ভোগের নতুন অধ্যায়। সামরিক জান্তা তাদের বিদেশি হিসেবে চিহ্নিত করে। তাদের নাগরিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়। ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়া হয়। ধর্মীয়ভাবেও অত্যাচার করা হতে থাকে। জোর করে কেড়ে নেওয়া হয়। বাধ্যতামূলক শ্রমে নিয়োজিত করা হতে থাকে। তাদের শিক্ষা-স্বাস্থ্যসেবার সুযোগ নেই। বিয়ে করার অনুমতি নেই। সন্তান হলে নিবন্ধন নেই। জাতিগত পরিচয় প্রকাশ করতে দেওয়া হয় না। সংখ্যা যাতে না বাড়ে, সে জন্য আরোপিত হয় একের পর এক বিধিনিষেধ। [সূত্র- https://bn.wikipedia.org/…/%E0%A6%B0%E0%A7%8B%E0%A6%B9%E0%A…]

একটি স্বাধীন ভূখন্ড পরাধীন হল। চলে গেল “প্রাণী হত্যা মহাপাপ” এর মেকি স্লোগানধারী “মগ” বৌদ্ধদের হাতে।
নাটের গুরু সেই পশ্চিমারাই এখন সমাধানদাতার আসনে। উপদেশের ঢালি নিয়ে বসেছে। ছেলে ভুলানো গল্প শুনিয়ে বুঝাতে চাইছে, তারা মানবতাবাদী। বার্মীজ গুণ্ডাদের জুলুম তারা মানছেন না। সমাধানে বিশ্বাসী।

এইসব ফাইজলামী। নিরেট ফাইজলামী।
পরিস্কার প্রমাণঃ সমস্ত অমুসলিম রাষ্ট্র ইসলামের শত্রু। মুসলমানদের শত্রু। ইসলাম ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে এরা এক ও একতাবদ্ধ।
মুসলিম বিশ্ব যতদিন কুরআনের বাণীটি দিল থেকে বিশ্বাস করে নিজেদের ছোটখাট ভুলগুলো শুধরে এক না হবে, ততদিন আমরা মার খাবোই। এটাই নিয়তি।

মেরুদণ্ড সোজা হোক। ইতিহাসের পাতা থেকে বাস্তবতার জমিনে মুসলিম বীর পুরুষেরা নেমে আসুক। শুধু সাময়িক ত্রাণ সাহায্য নয়, স্থায়ী সমাধানে মনযোগী হই।
আরাকান ভূখণ্ড মুসলিমদের। মুসলমানদের। মগ বৌদ্ধদের এ জমিন দখলে রাখার কোন অধিকার নেই। স্বীয় ভূখণ্ড থেকে আরাকানীদের তাড়িয়ে দেবার কোন অধিকার মগদের নেই।
আরাকান আমাদের। প্রতিটি মুসলমানের। যে কোন মূল্যে তা আরাকানীদের নিরাপদ বাসস্থানে পরিণত করতে হবে। সারা বিশ্বের মুসলিম শাসকবৃন্দ ভোগ বিলাসিতা আর পশ্চিমা তোষণনীতি পরিহার করে আত্ম প্রত্যয়ী না হলে ধীরে ধীরে এ জুলুম ছড়িয়ে পড়বে মুসলিম বিশ্বের প্রতিটি ভূখণ্ডে।
তাই এখনি সময় হুংকার দেবার। সাময়িক ত্রাণ নয়। তুরস্ক মালয়েশিয়াসহ মুসলিম রাষ্ট্রগুলোর প্রয়োজন জানবাজ সৈন্যবাহিনী প্রেরণ। মগদের বিষদাঁত উপড়ে ফেলে জানিয়ে দেয়াঃ মুসলিম মাথা উঁচু করা জাতি। শির দেগা নেহি দেগা আমামা।

Archives

January 2025
S S M T W T F
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
25262728293031