শনিবার, ২৫শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ই শাবান, ১৪৪৬ হিজরি
দেশে দুর্যোগ নেমে আসলে দুর্গত মানুষেরা যেমন হয় বিপদগ্রস্ত। তাদের চোখেমুখে নেমে আসে রাজ্যের হতাশা।
ঠিক তেমনি কতিপয় লোভীদের চেহারা তখন খুশিতে টগবগ করে।
টুপাইস কামানোর ফন্দি আঁটে।
বেসরকারী এনজিও সংস্থাগুলো তখন কামাই করে সারা বছরের সঞ্চয়। সেই সাথে কতিপয় মুখোশ পড়া দয়ালুরা হয় আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ।
একজন পেয়ার নয়। দেশজুড়ে হাজারো পেয়ার ব্র্যাক আশা সমিতির নামে ঘুরে বেড়ায়। কেউবা ধর্মের লেবাস লাগিয়ে। কেউবা জনদরদীর মুখোশে।
তাই সাধু সাবধান! আপনার আমার ঘাম ঝড়ানো মেহনতের টাকা যেন কোন জাত গোক্ষরের পেটে না যায়।
গরীবের টাকা আত্মসাৎকারী লোভীর পেটের আগুণ না হয়।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে ব্যাপক ত্রাণ কার্যক্রম দেখে দিলটা খুশ হয়ে গেল। সাথে শংকিতও। কতিপয় ভুঁইফোড় সংগঠন ও হঠাৎ জনপ্রিয় কিছু ব্যক্তিদের কাছে জমা হচ্ছে লাখো টাকা।
প্রশ্ন হল, আমরা তাদের কতটুকু চিনি? কতটুকু আস্থা রাখতে পারি?
ধর্মের দু’টি কথা লিখে বই প্রকাশ করলেই কি আমি আমানতদার?
ইসলামের নামে দু’টি বক্তৃতা দিতে পারলেই আমি নির্ভরযোগ্য?
চোখ কান খোলা রাখুন!
একান্ত বিশ্বস্ত ও নিজেদের চেনাজানা কিংবা আল্লাহওয়ালা আলেম, খোদাভীরু উলামাদের নিয়ন্ত্রিত সংস্থা, বা কাছের মানুষ ছাড়া যত্রতত্র অনুদান পাঠানো থেকে বিরত থাকুন।
স্পটে পৌঁছেও স্থানীয় প্রতিনিধির হাতে নয়। নিজ হাতে বিতরণ করুন ত্রাণ সামগ্রী।
আল্লাহ তাআলা আমাদের সঠিকভাবে বান্দার হক আদায় করে তার রেজামন্দী অর্জন করার তৌফিক দান করুন।