মঙ্গলবার, ২৫শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৮ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
হযরত সাওবান রাদি. থেকে বর্ণিত, রাসুলে আকরাম স. ইরশাদ করেন, আমার উম্মতের মধ্যে ত্রিশজন মিথ্যা নবুয়্যতের দাবীদার হবে। অথচ, আমিই সর্বশেষ নবী। আমার পরে আর কোনো নবী আসবে না (মুসলিম শরীফ)।
১৯০১ সালের দিকে মির্জা গোলাম আহমাদ কাদিয়ানী নবী হওয়ার দাবি করে। বৃটিশ সরকার তাদের আধিপত্য পাকাপোক্ত করতে ও মুসলমানদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির লক্ষ্যে পুর্ব পান্জাবের গুরুদাসপুর জেলার কাদিয়ানের অধিবাসি মির্জা গোলাম আহমদকে মিথ্যা নবুয়্যতের দাবীদার বানিয়ে দাঁড় করায়। সে তৎকালীন সরকারের সহযোগিতায় কিছু সংখ্যক সরল মুসলমানকে পথভ্রষ্ট করতে সক্ষম হয়।
কাফের কাদিয়ানীকে যারা নবী বলে মানে না তাদের সম্পর্কে ভন্ড কাদিয়ানী তার রচিত পুস্তকে যা লিখেছে –
• আমার এসব কিতাবকে প্রতিটি মুসলমান মহব্বতের দৃষ্টিতে দেখে, কিন্তু জারজ আর বেশ্যার সন্তানরা এটাকে মানে না (কাদিয়ানীর লিখিত আয়নায়ে কামালতে ইসলাম-৫৭৪ পৃষ্টা)।
• আমার বিরোধীরা জঙ্গলের শুকর হয়ে গেছে আর তাদের স্ত্রীরা কুকুরীর চেয়ে নিকৃস্ট (কাদিয়ানীর রচিত নাজমুল হুদা-১৫ পৃষ্টা)
• যারা আমাকে আমার বিজয়ের স্বীকৃতি দেবে না, তাদের হারামজাদা হওয়ার ইচ্ছা আছে (আনওয়ারুল ইসলাম-৩০ পৃষ্ঠা)
• যারা আমার বিরোধীতা করবে তারা ইহুদী খৃস্টান আর মুশরিক বলে গন্য হবে (নুযুলে মাসীহ-৪ পৃষ্টা)
• মানুষের মধ্যে যারা শয়তান তারাই আমাকে মানে না (চশমায়ে মারেফাত)।
أنا خاتم النبيين لا نبى بعدى (الحديث)
মানব জাতির হেদায়েতের জন্য আল্লাহ তাআলা যুগে যুগে যতো নবী রাসূল প্রেরণ করেছেন তার মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ এবং সর্বশৈষ নবী ও রাসুল হচ্ছেন হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। তিঁনি শেষ নবী/খাতামুন্নাবিয়্যীন। তাঁর পরে আর কোনো নবী আসবে না এবং আসার প্রয়োজনও নেই। এই আকীদা ও বিশ্বাসের নামই হচ্ছে আকীদায়ে খতমে নবুওয়্যত। ঈমানদার হওয়ার জন্য এই আকীদায় বিশ্বাসী হওয়া ফরজ। এই আকীদা অবিশ্বাসকারীরা কাফের।