بسم الله الرحمن الرحيم
কাদিয়ানীরা কাফের হবার অনেক কারণ রয়েছে। যার কয়েকটি নিচে উদ্ধৃত করা হল।
১-
মির্যা বশীর আহমদ লিখেছে-
“মসীহ মওউদ [মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী] খোদ মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। যিনি ইসলাম প্রচারের জন্য দ্বিতীয়বার আগমণ করেছেন। এ কারণে আমাদের [কাদিয়ানীদের] কোন নতুন কালিমার প্রয়োজন নেই। হ্যাঁ, যদি মুহাম্মদ রাসূলের স্থলে যদি অন্য কেউ আসতো, তাহলে প্রয়োজন ছিল। {কালিমাতুল ফসল-১৫৮}
২
কাদিয়ানীদের মতে ১৪তম শতাব্দীর সমস্ত মানুষের রাসূল হল গোলাম আহমদ কাদিয়ানী। {তাযকিরা-৩৬০}
৩
কদিয়ানীদের মতে মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী রাহমাতুল্লিল আলামীন। {তাযকিরা-৮৩}
৪
কাদিয়ানীদের বিশ্বাস হল, খাতামুন নবী মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী।
মির্যার পত্রিকা “আলফজল”, ২৬শে সেপ্টেম্বর, ১৯১৫ ঈসাব্দের সংখ্যায় লিখেছে-
“এ মুসলমানরা কি মুখ নিয়ে অন্য ধর্মের মুকাবিলায় নিজের ধর্মকে পেশ করতে পারে, যতক্ষণ না তারা মসীহ মাওউদ [গোলাম আহমদ কাদিয়ানী] এর সত্যতার উপর ঈমান না রাখে। যিনিই মূলত ছিলেন শেষ রাসূল। তিনিই আল্লাহর ওয়াদা অনুপাতে দ্বিতীয়বার শেষ জমানায় আগমণ করেছেন। তিনিই [মির্যা] প্রথম ও শেষ জমানার গর্ব। যিনি আজ থেকে তেরশত বছর আগে রাহমাতাল্লিল আলামীন হয়ে এসেছিলেন। {কাদিয়ানী মাযহাব-২৬৪}
৫
কাদিয়ানীদের বিশ্বাস হল, আসমান জমিন এবং সমস্ত সৃষ্টিজীব শুধুমাত্র মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানীর কারণেই সৃষ্টি করা হয়েছে। {হাকিকাতুল ওহী-৯৯}
৬
কাদিয়ানীদের আকিদা হল, মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী আসমানী মর্যাদা সমস্ত নবীদের থেকে উপরে। {হাকিকাতুল ওহী-৮৯}
৭
কাদিয়ানীদের আকিদা হল, রাসূল সাঃ এর জমানা আত্মিক উন্নতির জন্য প্রথম পদক্ষেপ ছিল, আর মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানীর সময় তা পরিপূর্ণ বিকশিত হয়ে পড়ে। {খুতুবাতে ইলহামিয়া-১৭৭}
৮
কাদিয়ানীদের আকিদা হল, রাসূল সাঃ এর ছোট বিজয় অর্জিত হয়েছে, আর বড় বিজয় অর্জিত হয়েছে মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানীর। {খুতুবাতে ইলহামিয়া-১৯৩}
৯
কাদিয়ানীদের বিশ্বাস হল, রাসূল সাঃ এর জমানায় ইসলাম প্রথমে রাতের চাদের মত [আলোহীন] ছিল। আর মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানীর জমানায় চতুর্দশী চাদের মত আলোকিত ছিল। {খুতুবাতে ইলহামিয়া-১৮৪}
১০
কাদিয়ানীদের আকিদা হল, রাসূল সাঃ এর মুজিজা ছিল মাত্র তিন হাজার [তুহফায়ে গুলারিয়া-৬৩] আর মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানীর মুজিজা ছিল তিন লাখেরও উপরে। {হাকীকাতুল ওহী-৬৭}
১১
কাদিয়ানীদের বিশ্বাস হল, মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী রূহানী শক্তি রাসূল সাঃ থেকেও বেশি ও পূর্ণ ছিল। [নাউজুবিল্লাহ] {খুতুবাতে ইলহামিয়া-১৮১}
১২
কাদিয়ানীদের বিশ্বাস হল, মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী আল্লাহর সন্তান সমতুল্য। [নাউজুবিল্লাহ] {তাযকিরাহ-৪১২}
১৩
কাদিয়ানীদের আকিদা হল, মির্যা কাদিয়ানী আল্লাহ তাআলার অবতার। {তাযকিরাহ-৫৯৬}
১৪
কাদিয়ানীদের বিশ্বাস হল, মির্যা কাদিয়ানী আল্লাহর রূহ। {তাযকিরাহ-৭৪১}
১৫
কাদিয়ানীদের বিশ্বাস হল, গোলাম আহমদ কাদিয়ানী যা বলে তাই হয়ে যায়। {তাযকিরাহ-৫২৫}
১৬
কাদিয়ানীদের আকিদা হল, মির্যা কাদিয়ানী খোদার অন্তর্ভূক্ত, আর খোদা কাদিয়ানীর অন্তর্ভূক্ত। {আখবারে বদর, ২৫শে অক্টোবর, ১৯০৬ ঈসাব্দ}
১৭
কাদিয়ানীদের মতে বর্তমানে শুধু রাসূল সাঃ এর অনুসরণ দ্বারা মুক্তি পাওয়া যাবে না, বরং মির্যা কাদিয়ানীরও অনুসরণ করতে হবে। {আরবাঈন-৭}
১৮
কাদিয়ানীদের বিশ্বাস হল, যারা মির্যার অনুসরণ করবে না, তারা আল্লাহ ও রাসূল সাঃ এর নাফরমান এবং জাহান্নামী। {ইশতিহারে মিয়ারুল আখয়ার, ২৫মে মে, ১৯০০ ঈসাব্দ}
১৯
কাদিয়ানীর আকিদা হল, রাসূল সাঃ এর সামনে দাজ্জাল, ঈসা বিন মারইয়াম, ইয়াজুজ, মাজুজ, দাব্বাতুল আরদ ইত্যাদির আসল হাকিকত প্রকাশিত হয়নি, বরং মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানীর সামনে এ সকল বিষয়ের হাকিকত প্রকাশিত হয়েছে। {ইযালায়ে আওহাম-৬৯১}
২০
কাদিয়ানীদের আকিদা হল, রাসূল সাঃ এর মুজিজা স্বরূপ শুধু চন্দ্রগ্রহণ হয়েছিল, আর মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানীর মুজিজা স্বরূপ চন্দ্র সূর্য উভয়টির গ্রহণ হয়েছিল। {ইজাজে আহমদী-৭১}
উপরে মাত্র বিশটি কুফরী আকিদার কথা উল্লেখ করা হল। এরকম অসংখ্য কুফরী আকিদায় ভরপুর কাদিয়ানী ধর্মাবলম্বীদের। যার একটির মাধ্যমেই একজন ব্যক্তি কাফের হবার জন্য যথেষ্ট। এ কারনেই উলামায়ে ইসলামের সর্ব সম্মত মতানুসারে কাদিয়ানীরা কাফির। এতে কোন সন্দেহ নেই।